ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতে স্বীকারোক্তি

কুমিল্লা ভার্সিটিতে ছাত্রলীগ নেতার ঘাতক বিপ্লব গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৭ আগস্ট ২০১৬

কুমিল্লা ভার্সিটিতে ছাত্রলীগ নেতার  ঘাতক বিপ্লব গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৬ আগস্ট ॥ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহর ঘাতক বিপ্লব চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। শনিবার বিকেলে তাকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হলে সে খালিদকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার এবং জড়িতদের নামোল্লেখসহ চাঞ্চল্যকর জবানবন্দী দেয়। গ্রেফতারকৃত বিপ্লব সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুর গ্রামের বাবুল চন্দ্র দাসের ছেলে। শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্বলনের পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবদমান ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ও কবি নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ্। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত দেড় শ’ জনের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি জেলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ওই মামলায় আবুবকর ছিদ্দিক, মোঃ রেজাউল ইসলাম, জাহিদুল আলম, সুদীপ্ত নাথ, রুপম চন্দ্র দেবনাথ, সজন বরণ বিশ্বাসসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছয়জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। শনিবার তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই মোঃ শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল শুক্রবার ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র বিপ্লব চন্দ্র দাসকে (২৫) গ্রেফতার করে রাতে কুমিল্লা ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে শনিবার কুমিল্লার আদালতে হাজির করে। আদালতে বিপ্লব হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে এবং তার সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে। সে জানায়, খালিদকে গুলি করে হত্যার পর পিস্তলটি তার এক বন্ধুর কাছে দিয়ে সে ঢাকায় আত্মগোপন করে। ডিবি’র ওসি একেএম মনজুর আলম জানান, গ্রেফতারকৃত বিপ্লব হত্যার দায় স্বীকার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দী দেয়ার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
×