ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গীবাদ রুখে দাঁড়ান ॥ পীর মাশায়েখদের প্রতি ইসলামী ফ্রন্টের আহ্বান

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৭ আগস্ট ২০১৬

জঙ্গীবাদ রুখে দাঁড়ান ॥ পীর মাশায়েখদের প্রতি ইসলামী ফ্রন্টের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় গোড়ায় যে গলদ তা দূর করতে হবে। ধর্মকে পুঁজি করে যারা সাম্প্রতিক হামলা চালিয়েছে যারা ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে আলেম, ওলামা ও পীর মাশায়েখদের। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন হলেও কওমী মাদ্রাসায় মানববন্ধন না হওয়ায় প্রশ্ন থেকেই যায়। আহলে হাদিস অনুসারীরা ইসলামকে কলুষিত করছে। হেফাজতে ইসলাম জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করলেও দেশের মানুষ জানে না তারা কোন শিক্ষানীতির অধীনে।’ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট আয়োজিত ‘ইসলামের নামে তথাকথিত জঙ্গীবাদ : কারণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার প্রতিবাদ ও দেশে চলমান জঙ্গী তৎপরতা প্রতিকারের লক্ষ্যে ওই আলোচনা হয়। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন হলেও কওমী মাদ্রাসায় মানববন্ধন না হওয়ায় প্রশ্ন তুলে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এমএ মতিন বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবিরোধী মানববন্ধন হলেও কওমী মাদ্রাসায় মানববন্ধন হয়েছে কিনা দেখুন। যদি না হয় তাহলে তারা কার অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, তাদের দুর্বলতা কোথায়? আহলে হাদিস অনুসারীরা ইসলামকে কলুষিত করছে। এ সময় হেফাজতে ইসলাম জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করলেও তারা কোন শিক্ষানীতির অধীনে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এমএ মতিন। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ বৈশ্বিক সমস্যা হলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটেই এ সঙ্কটের মোকাবেলা করতে হবে। সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার সঙ্গে জড়িতদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেশবাসীকে নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় গোড়ায় যে গলদ তা দূর করতে হবে। এ সময় তিনি দেশের সকল প্রকার নাস্তিক্যবাদীর চর্চা বন্ধ, আহলে হাদিসের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও পিস টিভির চিহ্নিত আলোচকদের গ্রেফতার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য চ্যানেল আইয়ের আলোচক আল্লামা শাইখ নুরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ জঙ্গীবাদ দমনে বৃহত্তর ঐক্যের দাবি জানান। দলের চেয়ারম্যান এমএ মান্নান বলেন, ইসলাম ধর্মকে পুঁজি করে জঙ্গী হামলা করে ইসলামকে কলুষিত করা হচ্ছে। সুন্নি, আলেম, মাশায়েখদেরই এ অবস্থা থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আবদুল করিম বলেন, আইএস মুসলমান হতে পারে না। ইসলামের নাম ব্যবহার করে হামলা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে আলেম সমাজকে ভূমিকা পালন করতে হবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে বিতর্কিত ইসলামী কনটেন্ট ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেন, জঙ্গীরা প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। তাদের মোকাবেলায় সমপরিমাণ বা তার থেকে শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। আজ যে অবস্থা তৈরি হয়েছে আমরা মুসলমান হিসেবে তার দায় এড়াতে পারি না।
×