ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টালমাটাল বিএনপি

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৭ আগস্ট ২০১৬

টালমাটাল বিএনপি

শরীফুল ইসলাম ॥ অবশেষে জাতীয় কাউন্সিলের সাড়ে ৪ মাস পর বিএনপির ৫০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কমিটি ঘোষণা করেন। এ কমিটিতে যুদ্ধাপরাধের বিচারে ফাঁসি হওয়া নেতাদের সন্তানদের এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামিদেরও কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। এ কমিটিতে সংস্কারপন্থী নেতাদের কোনঠাসা করা হয়েছে। এদিকে কমিটিতে স্থান পেয়েও কিছু কিছু নেতা চরম অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাদের ডিঙ্গিয়ে জুনিয়রদের সিনিয়র পদে দেয়ায় এ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নতুন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু পদত্যাগ করেছেন। তিনি এখন ব্যাঙ্ককে চিকিৎসাধীন। শনিবার বিকেলে তার পক্ষে একটি পদত্যাগপত্র বিএনপি কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অসমর্থিত এক সূত্র জানিয়েছে, তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ আশা করেছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। আগের কমিটিতে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ছিলেন। দল ক্ষমতায় থাকাকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। পরে তিনি ঢাকার একটি আসনে উপনির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আগের কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম নতুন কমিটিতে সহ-প্রচার সম্পাদক পদ পেয়েছেন। তার পদাবনতি করা হয়েছে মনে করে তিনি কমিটি থেকে তার নাম প্রত্যাহার করতে মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে নতুন নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে ১০৪ নম্বরে নাম রয়েছে চট্টগ্রামের হুম্মাম কাদের চৌধুরীর। তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারে ফাঁসি হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে। নতুন নির্বাহী সদস্যদের এ তালিকায় ৮৫ নম্বরে নাম রয়েছে জয়পুরহাটের ফয়সাল আলীমের। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত অবস্থায় কারাগারে মারা যাওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রাজাকার আব্দুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম। ৫০২ সদস্যের বিএনপির নতুন নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্থান পেয়েছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি আব্দুস সালাম পিন্টু। কর্মকর্তাদের মধ্যে তার নাম রয়েছে ২২ নম্বরে। কারাবন্দী এ বিএনপি নেতা আরও ক’টি স্পর্শকাতর মামলার আসামি। কমিটিতে নতুন নির্বাহী কমিটির সদস্য তালিকায় ৭৫ নম্বরে নাম রয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে সবাইকে যথোপযুক্ত পদ দিয়ে নতুন নির্বাহী কমিটি করার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত নতুন কমিটিতে সংস্কারপন্থীদের কোনঠাসা করা হয়েছে। সাবেক সেনাপ্রধান ও আগের কমিটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল(অব) মাহবুবুর রহমানের নাম আগের কমিটিতে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও তরিকুল ইসলামের নামের ওপরে থাকলেও এবার স্থায়ী কমিটিতে তাদের পরে তার নাম দেয়া হয়েছে। বিএনপির আগের কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হচ্ছে এমন আলোচনা দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মুখে মুখে থাকলেও এবারও তাকে একই পদে রাখা হয়েছে। অথচ তার চেয়ে অনেক জুনিয়র আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদকে এবার স্থায়ী কমিটির নতুন সদস্য করা হয়েছে। জানা যায়, খালেদা জিয়ার আত্মীয় এবং তারেক রহমানের আস্থাভাজন হওয়ায় তাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়েছে। গতবছর টানা অবরোধ চলাকালে ভারতে অবৈধ অভিবাসনের দায়ে তিনি ওই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। বর্তমানে ওই দেশের আদালতের বিচারাধীন মামলার কারণে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। এবার বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে নতুন আরেকজন স্থান পেয়েছেন চট্টগ্রামের আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাকে চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতিতে নিয়ে এসেছিলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। কিন্তু তার স্থান এখন নোমানের অনেক ওপরে হওয়ায় দীর্ঘকাল ধরে রাজনীতি করা আব্দুল্লাহ আল নোমান চরম ক্ষুব্ধ বলে তার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বিএনপির এমন নেতাকর্মীরা বলাবলি করছেন। সংস্কারপন্থী নেতা হওয়া এবং বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভুইয়ার ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ার কারণেই তাকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির আরেক সংস্কারপন্থী নেতা ও আগের কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে এবারও একই পদে রাখা হয়েছে। তবে কমিটি ঘোষণার আগে তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য হচ্ছেন এমন আলোচনা ছিল সবার মুখে মুখে। সংস্কারপন্থী নেতা ও আগের কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ আশা করলেও এবার তাদের একই পদে রাখা হয়েছে। সংস্কারপন্থী আরেক নেতা বিএনপির আগের কমিটির অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র আব্দুস সালাম। তাকে এবারের কমিটিতে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন পদ চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে। সংস্কারপন্থী আরেক বিএনপি নেতা আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ডাকসু ভিপি আমানউল্লাহ আমানকে নতুন কমিটিতে উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে। এ ছাড়াও সংস্কারপন্থী বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন, সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ও জহিরউদ্দিন স্বপনসহ অনেক সংস্কারপন্থী নেতা নতুন কমিটিতে কোন পদ পাননি। এদিকে বিএনপির বর্তমান কমিটিতে স্থান পাননি আগের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম সামসুল ইসলাম। নতুন কমিটিতে তাকে কোন পদে রাখা হয়নি। আগের কমিটির বিশেষ সম্পাদক নাদিম মোস্তফাকে এবার রাজশাহী জেলা কোটায় নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। অথচ তার অনেক জুনিয়রদেরও বড় বড় পদ দেয়া হয়েছে। এ জন্য নাদিম মোস্তফা চরম ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাকে এবারের কমিটিতে স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে। অথচ তার চেয়ে অনেক জুনিয়রদেরও বড় পদে বসানো হয়েছে। এ নিয়ে শিরিন সুলতানা চরম ক্ষুব্ধ হলেও আগেই তার স্বামী খায়রুল কবির খোকন যুগ্ম মহাসচিব পদ পাওয়ায় তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না বলে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন সূত্রে জানা গেছে। সংস্কারপন্থী আরেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজের স্ত্রী রাবেয়া সিরাজকে দেয়া হয়েছে সহ-তাঁতীবিষয়ক সম্পাদকের পদ। অথচ তার সন্তানতুল্য অনেক নেতাকে বড় বড় পদ দেয়া হয়েছে। এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আগের কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের মালিক জাকারিয়া তাহের সুমনকে এবার পদাবনতি করে কর্মসংস্থানবিষয়ক পদ দেয়া হয়েছে। আগের কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম নতুন কমিটিতে সহ-প্রচার সম্পাদক পদ পেয়েছেন। তার পদাবনতি করা হয়েছে মনে করে তিনি কমিটি থেকে তার নাম প্রত্যাহার করতে মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ জন্য তিনি এ ছাড়াও আগের কমিটির আরও ক’জনের পদাবনতি হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির ৫ম জাতীয় কাউন্সিলের পর ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে ৩৮৬ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর সাড়ে ৬ বছর পর এ বছর ১৯ মার্চ বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় কাউন্সিলের কর্ম অধিবেশনে প্রথম দফায় খালেদা জিয়াকে চেয়ারপার্সন ও তার লন্ডন প্রবাসী ছেলে তারেক রহমানকে পুনরায় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এর পর ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় আগের কমিটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিব, রুহুল কবির রিজভীকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মিজানুর রহমান সিনহাকে পুনরায় কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। ৯ এপ্রিল তৃতীয় দফায় ঘোষণা করা হয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির ১৬ নেতার নাম। এর মধ্যে ৭ জন যুগ্ম মহাসচিব ও ৯ জন সাংগঠনিক সম্পাদক। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া ৭ জন যুগ্ম মহাসচিবের মধ্যে রয়েছেন আগের কমিটির একই পদে থাকা ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান সারোয়ার, আগের কমিটির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আগের কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, আগের কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও আগের কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আসলাম চৌধুরী। তৃতীয় দফায় ঘোষিত বিএনপির ৯ সাংগঠনিক সম্পাদকরা হলেন আগের কমিটির একই পদে থাকা ফজলুল হক মিলন (ঢাকা বিভাগ) ও আসাদুল হাবিব দুলু (রংপুর বিভাগ) রয়েছেন। বাকি ৭ জন নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন (চট্টগ্রাম বিভাগ), আগের কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু (খুলনা বিভাগ), আগের কমিটির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (রাজশাহী বিভাগ), আগের কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক ইমরান সাহেল পিন্স (ময়মনসিংহ বিভাগ), আগের কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন জীবন, আগের কমিটির নির্বাহী সদস্য শ্যামা ওবায়েদ (প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগ) ও আগের কমিটির নির্বাহী সদস্য বিলকিস জাহান শিরিন (বরিশাল বিভাগ)। বিএনপির নতুন নির্বাহী কমিটিতে সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল চতুর্থ দফায় ঘোষিত তালিকায় স্থান পান আরও ২১ নেতা । এদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে স্থান পান সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব) আনোয়ারুল আজিম(প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগ)। আর বাকি ২০ জন হলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা হলেন ঢাকা বিভাগে আবদুস সালাম আজাদ ও শহীদুল ইসলাম বাবুল, চট্টগ্রাম বিভাগে মাহাবুবুর রহমান শামীম ও আবুল হাশেম বকর, রাজশাহী বিভাগে আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা ও শাহীন শওকত, খুলনা বিভাগে অনিন্দ ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কু-, বরিশাল বিভাগে আখন্দ কুদ্দুস ও মাহবুবুল হক নান্নু, সিলেট বিভাগে দিলদার হোসেন সেলিম ও কলিম উদ্দিন মিলন, রংপুর বিভাগে শামসুজ্জামান ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগে মোশতাক মিয়া ও আবদুল আউয়াল খান, ময়মনসিংহ বিভাগে শরীফুল আলম ও ওয়ারেস আলী মামুন, প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে আলী নেয়াজ মাহমুদ খৈয়াম ও সেলিমুজ্জামান সেলিম। শনিবার ৫০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে স্থায়ী কমিটির ২টি পদ এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও যুববিষয়ক সম্পাদকসহ কয়েকটি পদ খালি রাখা হয়েছে। পরে দলীয় হাইকমান্ড পছন্দসই নেতাদের দিয়ে এসব পদ পূরণ করবেন বলে জানা গেছে। এবারের ৫০২ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ছাড়াও ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটি ও ৭৩ সদস্যের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্যও পদাধিকার বলে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য। এদিকে কমিটি ঘোষণার পর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সময়ের পরিক্রমায় বিএনপি একটি বড় দলে পরিণত হয়েছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মূল দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্য হয়েছেন। তাদের জায়গা করে দিতেই কমিটি কিছুটা বড় হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে এটা একটি ভাইব্রেন্ট ও ডাইনামিক কমিটি হয়েছে। দেশের রাজনীতিতে এই কমিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। স্থায়ী কমিটিতে ৩ নতুন মুখ ॥ বিএনপির ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে ২টি পদ খালি রেখে ১৭ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটির ৩ জন নতুন মুখ। তারা হলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আগের কমিটির বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। আর স্থায়ী কমিটির আগের সদস্যদের মধ্যে যাদের রাখা হয়েছে তারা হলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ, এমকে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান। স্থায়ী কমিটির আগের সদস্য সারোয়ারী রহমানকে নতুন কমিটিতে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য করা হয়েছে। আগের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম সামসুল ইসলামকে এবার কোন পদ দেয়া হয়নি। তবে স্থায়ী কমিটির ২ শূন্য পদে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও বিএনপি পন্থী একজন বুদ্ধিজীবীকে স্থান দেয়া হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ ২২ জন ॥ আগের কমিটিতে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান পদ ছিল ১৭টি। আর এবার বিএনপির নতুন কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদ রাখা হয়েছে ৩৫টি। এর মধ্যে নতুন মুখ রয়েছেন ২২ জন। ঘোষিত নতুন কমিটিতে বিদায়ী কমিটির কাউকে বাদ দেয়া হয়নি। তবে বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে শমসের মোবিন চৌধুরী গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন। এর আগে অপর ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ মারা গেছেন। ভাইস চেয়ারম্যন পদে নতুনরা হলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর নাছির, এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মোসাদ্দেক আলী ফালু (কমিটি ঘোষণার পর পদত্যাগ করেন) , ড. ওসমান ফারুক, মেজর জেনারেল (অব) রুহুল আলম, মেজর (অব) মাহমুদুল হাসান, এনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, এ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াস কাদের চৌধুরী ও শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মান্নান। আগের কমিটিতে থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে যারা নতুন কমিটিতেও স্থান পেয়েছেন তারা হলেন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টিএইচ খান, এম মোর্শেদ খান, হারুন আল রশিদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, রাবেয়া চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও আব্দুস সালাম পিন্টু। চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ৭৩ জন ॥ আগের কমিটিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিল ৩৭ জন। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৩ সদস্যের। নতুন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হলেন সরোয়ারী রহমান, রিয়াজ রহমান, হারুন অর রশীদ খান মুন্নু, মুশফিকুর রহমান, এ জে মোহাম্মদ আলী, ফজলুর রহমান পটল, কবির হোসেন, উকিল আবদুস সাত্তার, লুৎফর রহমান খান আজাদ, আখতার হামিদ সিদ্দিকী, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কাজী মাজহারুল আনোয়ার, এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেইন, অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, জাফরুল হাসান, জয়নুল আবদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), মনিরুল হক চৌধুরী, মেজর (অব) কামরুল ইসলাম, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, ফজলুল হক আসপিয়া (সুনামগঞ্জ), নুরুল হুদা (চাঁদপুর), সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, আবদুল হালিম, এম এ কাইয়ুম, শহীদুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, ক্যাপ্টেন (অব) সুজাউদ্দিন আহমেদ, আবদুর রশীদ, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, অধ্যাপিকা তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, এ্যাডভোকেট রেজ্জাক খান, রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, কাজী আসাদ, কবির মুরাদ, অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, একরামুজ্জামান, ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, নাজমুল হক নান্নু, তাহমিনা রুশদীর লুনা (নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী), ড. ইনামুল হক চৌধুরী, ডা. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, সঞ্জীব চৌধুরী, আবদুল হক (সিলেট), এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, এ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান, এ্যাডভোকেট কামরুল মুনির, এ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক আবদুল বায়েস ভুঁইয়া, আফরোজা খান রীতা, আবদুস সালাম (ঢাকা মহানগর), মইনুল ইসলাম শান্ত, মোঃ শাহজাদা মিয়া, এসএস ফজলুল হক, কর্নেল এম এ লতিফ, ডাঃ মোঃ আবদুল কুদ্দুস, সৈয়দ আলমগীর হোসেন এমবিএ ও আমিনুল হক এফসিএ। চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ঘোষণা করেন। এতে ডা. শাহাদাত হোসেনকে সভাপতি, আবু সুফিয়ানকে সহ-সভাপতি এবং আবুল হাশেম বকরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতির পদ পাওয়ার পর এক নেতা ২ পদে থাকার সুযোগ না থাকায় ডাঃ শাহাদাত হোসেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। সম্পাদকীয় পদে ২০৯ জন ॥ এবারের কমিটিতে সম্পাদক ও সহসম্পাদক মিলিয়ে ২০৯ জন নেতাকে পদায়ন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সম্পাদক বিশেষ দায়িত্বে আসাদুজ্জামান রিপন, আবু নাসের মোঃ ইয়াহিয়া, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিলন, মাহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, আইন সম্পাদক এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শিক্ষা সম্পাদক প্রফেসর ড. ওবায়দুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, কর্মসংস্থান সম্পাদক জাকারিয়া সুমন, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, শিল্প সম্পাদক আবুল কালাম (চৈতি কামাল), বাণিজ্য সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ শ্যামল, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী ইয়াসিন আলী, গবেষণা সম্পাদক আবু সাঈদ খান খোকন, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ওয়াহিদুজ্জামান, ব্যাংকিং ও রাজস্ব লায়ন হারুন রশিদ, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন উজ্জল, মহিলা বিষয়ক নূরে আরা সাফা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, রাশেদা বেগম হীরা, শ্রমিক বিষয়ক নাজিম উদ্দিন (চট্টগ্রাম), কৃষি বিষয়ক শামসুজ্জোহা, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, গণশিক্ষা বিষযক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, ধর্ম বিষয়ক বদরুজ্জামান খসরু, প্রান্তিক জনশক্তি বিষয়ক আব্দুল মালেক, বন ও পরিবেশ বিষযক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, স্বাস্থ্য বিষযক ডাঃ ফওয়াজ হোসেন শুভ, পরিবার কলাণ বিষয়ক ডাঃ মহসিন, সমবায় বিষয়ক আলহ্জ গউছ, পল্লী উন্নয়ন বিষযক এ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক মোজাফ্ফর হোসেন (রংপুর), গ্রাম সরকার বিষয়ক আনিসুজ্জামান বাবু (গাইবান্ধা), প্রকাশনা বিষয়ক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, স্বনির্ভর বিষয়ক শিরীন সুলতানা, তাঁতি বিষয়ক হুমায়ুন ইসলাম খান, শিশু বিষয়ক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দীকী, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক ফরিদ হোসেন মানিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক শরীফ শাহ কামাল তাজ, মানবাধিকার বিষযক এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক এমএ কাইয়ুম, উপজাতি বিষয়ক মা-মা চিন, মৎস্যজীবী বিষয়ক লুৎফুর রহমান কাজল, উপ কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান বাবু। সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল হোসেন, মহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, আসাদুল করিম শাহীন, শামীমুর রহমান শামীম, সহ. আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, এ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নি, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বেবী নাজনীন, শাকিরুল ইসলাম শাকিল, সহঃ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ একরামুল হক, সহঃ আইন সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, এ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরীন খান, ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন (মেডিক্যাল কলেজ), সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবু (লক্ষীপুর), আবুল বাসার, সহ কর্মসংস্থান বিষয়ক আব্দুল ওয়াদুদ ভুইয়া, সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মুনির খান, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সহ প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ক বিষয়ক সম্পাদক অপর্ণা রায়, সহঃ ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মোক্তাদির (সিলেট), সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, সহঃ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দ্বীপেন দেওয়ান, জন গোমেজ, অমলেন্দু অপু, আব্দুল বারী ড্যানি, সহ শ্রমিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ বিমান, সহ কৃষি সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফরুক, সহ সমবায় সম্পাদক নাজমুল হক সনি, সহ শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন নিজাম, হাজী আমিনুল ইসলাম, সহঃ পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক মোজাহার আলী প্রধান, সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক শামসুজ্জামান, সহঃ ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম মিলন, নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহঃ প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ, সহঃ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নুসু, কাদের গনি চৌধুরী, কামরুজ্জামান খান শিমুল, সহঃ গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির, আমজাদ হোসেন (সৈয়দপুর), সহঃ স্থানীয় সরকার সম্পাদক শাম্মী আক্তার, সহ জলাবায়ু পরিবর্তন বিষযক সম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান বাবলু, সহঃ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হোসেন খান, ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান বাদল, রেহেনা আব্কার রানু, সহ গণশিক্ষা সম্পাদক আনিসুজ্জামান খোকন, সহঃ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু, সহঃ স্বনির্ভর সম্পাদক নিলুফার মনি, সহ তাঁতি বিষয়ক সম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, সহঃ স্বাস্ব্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফরহাদ হোসেন ডিনার, ডাঃ এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডাঃ রফিকুল ইসলাম, সহঃ নার্সেস ও স্বাস্থ্য সহকারী সম্পাদক মিসেস জাহানারা বেগম, সহঃ পরিবার কল্যাণ সম্পাদক ডাঃ রফিকুল কবির লাবু, ডাঃ দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, সহ প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম ইউকে, সহঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সহঃ তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এসএম গালিব, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন চৌধুরী পাহিন, সহঃ মানবাধিকার সম্পাদক এ্যাডভোকেট আশিফা আশরাফি পাপিয়া, সহঃ ক্ষুদ্রঋণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সহঃ উপজাতি সম্পাদক কর্নেল (অব) মনীষ দেয়ান। এ ছাড়াও বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে রয়েছে ২৯৩ জন নির্বাহী কমিটির সদস্য। এর মধ্যে পুরনো ১৮০ জন এবং নতুন ১১৩ জন।
×