ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার পল রায়ানকে সমর্থন করলেন। এর আগে দু’ জনের মধ্যে সম্পর্কে বেশ তিক্ততা দেখা দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছেন। শুক্রবার রিপাবলিকান দলের তিন শীর্ষ নেতার প্রতি ট্রাম্প সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়া ট্রাম্প জাপান সম্পর্কে হতাশাজনক মন্তব্যও করেছেন। খবর এএফপি, ফক্স নিউজ ও বিবিসি অনলাইনের।
রায়ানের নিজ অঙ্গরাজ্য উইসকনসিনে প্রাইমারিতে মুখোমুখি হওয়ার আগে তিনি ট্রাম্পের সমর্থন পান। প্রাইমারিতে রায়ান পল নেহলেনের কাছ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমখি হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রায়ান সম্পর্কে ট্রাম্প মন্তব্য করেন যে, তিনি একজন ভাল মানুষ। তিনি বলেন, ‘যদিও রায়ানের সঙ্গে আমার কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বন্ধু হিসেবেই আমাদের এসব পারস্পরিক মতপার্থক্য। জয় অর্জন ও প্রকৃত পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমরা পরস্পর এক সঙ্গে কাজ করে যাব।’ এদিকে রায়ানকে ট্রাম্পের সমর্থন নেহলেন স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি প্রকৃত নেতৃত্বের লক্ষণ। এর আগে ট্রাম্প যে রায়ানকে সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সে কথা উল্লেখ করে নেহলেন বলেন, ওই ঘটনায় উইসকনসিনের ভোটারদের কাছে এই বার্তায় পৌঁছেছিল যে, রায়ান প্রতিযোগিতার কোন উপযুক্ত প্রার্থী নন। তিনি আরও দাবি করেন, রায়ান আমাদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে অবমূল্যায়ন করেছিলেন। এক সপ্তাহ আগে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া সাক্ষাতকারে ট্রাম্প রায়ানকে এনডোর্স করতে অস্বীকার করেছিলেন। রায়ান রিপাবলিকান পার্টির সর্বোচ্চ পদে থাকা নির্বাচিত কর্মকর্তা। রায়ান ট্রাম্পের সমর্থন পাবেন কি না সে নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। শুক্রবার রায়ানের নিজ অঙ্গরাজ্য উইসকনসিনের গ্রিন বে’তে যাত্রা বিরতি করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে প্রয়োজন ঐক্য। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমাদের জিততেই হবে।’ রায়ান ছাড়া আরিজোনার গবর্নর জন ম্যাককেইন ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের সিনেটর কেলি আয়োটাকে সমর্থন জানান ট্রাম্প।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এশীয় মিত্র জাপান সম্পর্কে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘জাপান আক্রান্ত হলে আমরা তাদের রক্ষা করব। কিন্তু আমরা আক্রান্ত হলে তারা ঘরে বসে সনি টিভি দেখবে।’ ন্যাটো সদস্য দেশগুলো যে তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না সে বিষয়ে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের উদাহরণ দেন। এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সেবা ভোগ করলেও বিনিময়ে কিছু করছে না। আইওয়া অঙ্গরাজ্যে তিনি সাংবাদিক ও কর্মী সমর্থকদের বলেন, আপনারা জানেন জাপানের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে তারা আক্রান্ত হলে আমরা আমাদের শক্তিমত্তা নিয়ে পাশে দাঁড়াব। কিন্তু আমরা আক্রান্ত হলে তারা কি করবে? তারা কিছুই করবে না, ঘরে বসে টিভি দেখবে কেবল।