ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

সব শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ৭ আগস্ট ২০১৬

সব শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে সব ধরনের মূল্য সূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ৮৭ শতাংশ। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে দশমিক ৭৬ শতাংশ। বাজার-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দৈনন্দিন লেনদেনে দেশী-বিদেশী, ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান সব শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে ২৫৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ২১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৬৩ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯২ দশমিক ৯১ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৪টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। আর ২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় রবিবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। তবে পরদিন থেকেই সূচক বাড়তে শুরু করে, যা সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫৭৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে। স্টক এক্সচেঞ্জটির নির্বাচিত ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে ডিএসইর শরীয়া সূচকও। ডিএসইতে কেনাবেচার দৈনিক গড় ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়ে ৪৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এদিকে সাম্প্রতিক বাজার চিত্র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সরকারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি কিছু স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারদর দ্রুত বেড়েছে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আগ্রহী করতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খাতভিত্তিক চিত্র বলছে, বাজার মূলধন বৃদ্ধির দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল সিমেন্ট খাত। সপ্তাহ শেষে এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর গড়ে ৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বৃদ্ধির তালিকায় এর পর পরই ছিল পাট ১ দশমিক ৭, মিউচুয়াল ফান্ড ১ দশমিক ৪১, বিদ্যুত-জ্বালানি দশমিক ৯৮, ব্যাংক দশমিক ৯৪, প্রকৌশল দশমিক ৯৩, বিবিধ দশমিক ৯৫, বস্ত্র দশমিক ৭৯ ও ওষুধ-রসায়ন দশমিক ৪৬ শতাংশ। বিপরীতে দর হারিয়েছে কাগজ-মুদ্রণ, টেলিযোগাযোগ, সিরামিক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত, জীবন বীমা, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য-আনুষঙ্গিক ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মবিল যমুনা বিডি, তিতাস গ্যাস, ইসলামী ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, একমি ল্যাবরেটরিজ, বিএসআরএম স্টিল, ব্র্যাক ব্যাংক, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ন্যাশনাল টিউবস ও আইপিডিসি। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, জেমিনি সী ফুড, নদার্ন জুটস, উসমানিয়া গ্লাস, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, জাহিন স্পিনিং, উত্তরা ব্যাংক, লিব্রা ইনফিউশন, মুন্নু স্টাফলারস ও আইপিডিসি। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, আনালিমা ইয়ার্ন, ফাস ফাইন্যান্স, ইভিন্স টেক্সটাইল, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, প্রগেসিভ লাইফ ও মাইডাস।
×