ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আড়াইহাজারে কনেকে অপহরণ করতে বিয়েবাড়িতে হামলা, গুলিতে পুলিশসহ আহত ২০

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ৬ আগস্ট ২০১৬

আড়াইহাজারে কনেকে অপহরণ করতে বিয়েবাড়িতে হামলা, গুলিতে পুলিশসহ আহত ২০

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ৫ আগস্ট ॥ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিয়ে নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। গোপালদী পৌর মেয়রের গাড়িসহ বর পক্ষের ৫টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫০ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। কনের বাবার অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হলে স্থানীয় বিশনন্দী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী কনেকে অপহরণের উদ্দেশ্যে বিয়েবাড়িতে হামলা চালালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী মধ্যপাড়া এলাকার রিপন মিয়ার মেয়ে সোনিয়া আক্তারের সঙ্গে গোপালদী পৌরসভাধীন রামচন্দ্রদী এলাকার আলী মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার বিয়ে চলছিল। এমন সময় বিশনন্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরজু হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে দুই শতাধিক লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে কনেকে অপহরণ করার চেষ্টা চালায়। ওই সময় কনে ও বর পক্ষের লোকজন বাধা দিতে গেলে হামলাকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনার সময় হামলাকারীরা ২০-২৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলাকারীরা বর পক্ষের অতিথি গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদারের ওপর ও হামলা চালিয়ে তাকে ১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তার গাড়িটিসহ বরযাত্রীদের ৫টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে। আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল হাসান জানান, আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সফিউল আজমসহ ৪ পুলিশ সদস্য হামলাকারীদের ইটের আঘাতে আহত হন। সংঘর্ষের সময় ককটেল ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আরজু (৩৮), রুহুল আমিন (২৬), সফিকুল (৩০), আক্তার (২৮) ও খাইরুল (২২), ডালিম সিকদারকে মারাত্মক অবস্থায় মাধবদী ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ১০-১২ জন বরযাত্রী আহত হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে।
×