ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হেরাথের অনন্য হ্যাটট্রিক গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার দাপট

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৬ আগস্ট ২০১৬

হেরাথের অনন্য  হ্যাটট্রিক  গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার দাপট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই দিনেই গল টেস্টে চালকের আসনে শ্রীলঙ্কা। ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে হয়ত ম্যাচ ও সিরিজ দুটোই জিততে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। চার ইনিংস মিলিয়ে ১৭২ ওভারে পড়েছে ৩৩ উইকেট! শ্রীলঙ্কা ২৮১ ও ২৩৭ রানে অলআউট। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ ওভারেই হারিয়ে বসেছে ৩ উইকেট! জয়ের জন্য চাই আরও ৩৮৮ রান, লঙ্কার ৭ উইকেট। তবে আর সবকিছু ছাপিয়ে গেছেন রঙ্গনা হেরাথ। প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট নেয়ার পথে সবচেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিকের নতুন রেকর্ড গড়েছেন শ্রীলঙ্কান স্পিনার। সেটিও ৭৮ বছর পর! শুক্রবার হেরাথের বয়স ছিল ৩৮ বছর ১৩৯ দিন। রেকর্ডটি এতদিন ছিল ইংল্যান্ডের টম গর্ডাডের দখলে। ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের সময় তার বয়স ছিল ৩৮ বছর ৮৭ দিন। ওভারের শেষ তিন বলে হ্যাটট্রিক পূরণের পথে হেরাথ একে একে তুলে নেন এ্যাডাম ভোগস (৮), পিটার নেভিল (০) ও মিচেল স্টার্ককে (০)। প্রথম জন কাভারে ক্যাচ তুলে দেন, নেভিল এলবিডব্লিউ, আর স্টার্কের আউট নিয়ে ছিল নাটকীয়তা। বল প্যাডে আঘাত হানলেও আম্পায়ার ‘নটআউট’ দেন। হ্যাটট্রিকের বল বলেই রিভিউ নেন এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। লঙ্কান অধিনায়ককেও খুব একটা আশাবাদী মনে হচ্ছিল না। রিপ্লেতে দেখা যায় বল লাইনে থেকেই প্যাডে আঘাত হেনেছে। শুরু উল্লাস। টেস্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বশেষ হ্যাটট্রিক করেছিলেন নুয়ান জয়সা। সেটি ১৬ বছর আগে, ২০০০ সালে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে। দেশটির হয়ে অপর হ্যাটট্রিকম্যানের নামটা অবধারিত স্মরণীয়, তিনি টেস্ট ইতিাহাসের সর্বধিক উইকেটের (৮০০) মালিক মুত্তিয়া মুরলিধরন। ১৯৯৯ সালে হারারেতে টানা তিন বলে জিম্বাবুইয়ের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছিলেন কিংবদন্তি অফস্পিনার। সেই মুরালি যার জন্য অমিত সম্ভবনা নিয়েও হেরাথ দলে নিয়মিত সুযোগ পাননি। টেস্ট ইতিহাসের ৪১তম হ্যাটট্রিক এটি। ১৯৯২ সালে জনি ব্রিগসের পর মাত্র দ্বিতীয় বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন হেরাথ। ইনিংসে তার বোলিং ফিগার ১১-২-৩৫-৪। সঙ্গী দিলরুয়ান পেরেরা ১৫-৪-২৯-৪। ফল ৩২.২ ওভারে ১০৬ রানে অলউট অস্ট্রেলিয়া! যা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশটির সর্বনিম্ন স্কোরের নতুন রেকর্ড। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও অবশ্য মিচেল স্টার্কের তোপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৫৯.৩ ওভারে অলআউট হয় ২৩৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া অসি পেসারের দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার ৬। সংক্ষিপ্ত স্কোর ॥ শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস ২৮১/১০ (৭৩.১ ওভার; কুশল মেন্ডিজ ৮৬, ম্যাথুস ৫৪, কুশল পেরেরা ৪৯; স্টার্ক ৫/৪৪, লেয়ন ২/৭৮) ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৩৭/১০ (৫৯.৩ ওভার; দিলরুয়ান ৬৪; স্টার্ক ৬/৫০, লেয়ন ২/৮০) অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ১০৬/১০ (৩৩.২ ওভার; ওয়ার্নার ৪২, মিচেল মার্শ ২৭; হেরাথ ৪/৩৫, দিলরুয়ান ৪/২৯) ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৫/৩ (৬ ওভার; ওয়ার্নার ২২*, স্মিথ ১*; দিলরুয়ান ২/৯, হেরাথ ১/১৬) ** দ্বিতীয় দিন শেষে হ্যাটট্রিক সোনায় দৃষ্টি জার্মানির স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে ২৬তম বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে পুরুষ হকি। ১৯০৮ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে প্রথমবার হকি শুরু হয়েছিল। হকির প্রথম সেই আসরে স্বর্ণপদক জয় করে আয়োজক ব্রিটেনের দলটি। তবে দ্বিতীয় আসর থেকে শুরু করে একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল ভারতের। টানা ৬ বারসহ মোট ৮ বার স্বর্ণ জিতেছে তারা। সে সময় ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ১৯৯২ অলিম্পিকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বর্ণজয়ী জার্মানি এখন মহাশক্তিধর দল। গত দুই অলিম্পিকেই স্বর্ণ জিতেছে তারা। এবার স্বর্ণপদক জয়ের হ্যাটট্রিক করতে চায় জার্মানরা। ভারত-পাকিস্তান যুগ শেষ হয়ে গেছে তখন থেকেই। তবে ভারত এবার চাইছে স্বর্ণপদক পুনরুদ্ধার করতে। জার্মানির বড় প্রতিপক্ষ বর্তমান সময়ে অস্ট্রেলিয়া, হল্যান্ড ও স্পেন। সেই হকির স্বর্ণপদকের লড়াই শুরু হচ্ছে হল্যান্ড-আর্জেন্টিনা ম্যাচ দিয়ে। সর্বশেষ ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিকে হকির স্বর্ণপদক জিতেছিল ভারতীয় দল। ১৯৮৪ সালে পাকিস্তান। এরপর পাকরা একবার করে ব্রোঞ্জ ও চতুর্থ হলেও ভারত কোনটাই পারেনি। এবার ভারতীয় দলের প্রত্যাশা পদক জয়ের। কিন্তু এখন অনেক শক্তিধর দল জার্মানি। গত ৬ আসরের তিনটিতেই স্বর্ণ জিতেছে তারা। ২০০৮ সালে বেজিংয়ে এবং ২০১২ সালে লন্ডনেও স্বর্ণপদক জয় করে দলটি। এবার হ্যাটট্রিকের সুযোগ তাদের সামনে। রিও থেকে অবশ্য অলিম্পিক হকি ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে। আগে দুই অর্ধে ৩৫ মিনিট করে খেলা হয়েছে। এবার ১৫ মিনিট করে চার অর্ধে হবে খেলা। ১৫ মিনিট পর পর ২ মিনিটের বিরতি থাকবে। ৩০ মিনিট শেষে হবে ১৫ মিনিটের বিরতি। খেলার আকর্ষণ বাড়ানো এবং আরও প্রতিযোগিতামূলক করতেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে এ নতুন ফরমেট প্রণয়ন করেছে। এ ফরমেট নিয়ে দলগুলোও বেশ সন্তুষ্ট। এখন লড়াইয়ে নামার অপেক্ষা। হল্যান্ড ১৯৯৬ ও ২০০০ সালে টানা দুইবার হকির স্বর্ণ জিতেছিল। তাদের ২০০৪ সালে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে হেরে রৌপ্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ডাচ্দের। গত আসরেও জার্মানদের কাছে হেরে সেই রৌপ্যই পায় তারা। কিন্তু এবার চ্যাম্পিয়নশিপ পুনরুদ্ধার করতে উন্মুখ ডাচ্রা। শুরুতেই লড়াইয়ে নামছে তারা। প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। অলিম্পিক হকিতে কোন পদক জিততে না পারলেও গত বছর ওশেনিয়া কাপে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর্জেন্টাইনরা বেশ শক্ত প্রতিপক্ষই। আজই লড়াইয়ে নামবে দু’দল। শেষ হবে ১৮ আগস্ট। দুই গ্রুপে ভাগাভাগি হয়ে মোট ১২ দল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে উভয় গ্রুপ থেকে শীর্ষ চার করে দল খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রথম দিনে আরও খেলবে ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক ব্রাজিল-স্পেন, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ও বেলজিয়াম-গ্রেট ব্রিটেন এবং ‘বি’ গ্রুপে ভারত-আয়ারল্যান্ড এবং জার্মানি-কানাডা। চট্টগ্রাম আবাহনী-শেখ জামালের লড়াই অমীমাংসিত স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রচুর দর্শক সমাগম আর উৎসাহ-উন্মাদনা নিয়ে শুক্রবার থেকে ময়মনসিংহে শুরু হয়েছে ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলের নবম আসরের চতুর্থ রাউন্ডের খেলা। উদ্বোধনী দিনে রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড বনাম চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। খেলাটি গোলশূন্য ড্র হয়। চার খেলায় চট্টগ্রাম আবাহনীর দ্বিতীয় ড্র। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন শীর্ষে। পেছনে ফেলল ৭ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে। সমান খেলায় এটা জামালের তৃতীয় ড্র। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান আগের মতোই, চতুর্থ। তবে শুক্রবারের ম্যাচে জিতলে শীর্ষে চলে যেত শেখ জামাল। আর ড্র করলে চট্টগ্রাম আবাহনী। শেষের দলটিরই ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। একই ভেন্যুতে আজ বিকেল ৪টায় ২০১২ লীগ চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড মোকাবেলা করবে ফেনী সকার ক্লাবের। চলতি লীগে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায় আছে রাসেল। তিন খেলার প্রতিটিতেই বিস্ময়করভাবে হেরেছে তারা! ১২ দলের মধ্যে তলানিতে। সে তুলনায় ৩ খেলায় ২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে থাকা সকার ক্লাব মোটামুটি ভাল অবস্থানেই আছে। গত লীগে দু’দলের মোকাবেলায় দুবারই জিতেছে রাসেল যথাক্রমে ২-১ এবং ৪-৩ গোলে। সর্বশেষ সাক্ষাত এবারের স্বাধীনতা কাপে। গ্রুপ পর্বের সেই দ্বৈরথের ফল ছিল গোলশূন্য ড্র।
×