ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুনতাসির সিয়াম

নীলাদ্রি এক্সপ্রেস

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৬ আগস্ট ২০১৬

নীলাদ্রি এক্সপ্রেস

আমরা চার বন্ধু। আমি, তন্ময়, তামান্না আর ঈশা। আমরা চারজনই রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষার্থী। কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বটার শুরু হয়েছিল মূলত কলেজের বাইরে। কলেজ ছুটির পর অর্থনীতি প্রাইভেট পড়তাম আমরা, উত্তরার ৬নং সেক্টরের ১৫ নম্বর রোডে। প্রাইভেটে যেতে আসতে, মাঝেমধ্যে ম্যাডামের আসতে দেরি হলে আলাদা যে সময়টুকু পেতাম, মূলত সেই সময়টাতেই আড্ডা, খুনসুটি, দুষ্টুমির মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছিল আমাদের বন্ধুত্বটা। ধীরেধীরে আমরা একে অপরের সম্পর্কে জানতে শুরু করলাম, বুঝতে শুরু করলাম নিজেদের। আর এভাবেই কলেজের দুটো বছর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমাদের চারজনের বন্ধুত্ব এতটাই গভীরতা লাভ করেছিল যে, অন্যরা মনেমনে বেশ হিংসেও করত। আমরা আমাদের চারজনের গ্রুপটার একটা নামও দিয়েছি, নীলাদ্রি এক্সপ্রেস। একবার আমি বন্ধুত্ব নিয়েই একটা গল্প লিখেছিলাম। যার মূল বিষয় ছিল স্কুল-কলেজের প্রিয় বন্ধুগুলো জীবনের একটা সময়ে এসে হারিয়ে যায়। হয়ত নিজেদের অজান্তে কখনও কখনও দুই একবার ভাগ্যক্রমে দেখা হয়েও যায়। আর সারাটা জীবন মনের মধ্যে সেসব স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। সেই গল্পটার নাম ছিল, নীলাদ্রি এক্সপ্রেস। আর আমাদের বন্ধুত্বটাও যেমন ট্রেনের গতিতে বেড়েই চলছিল প্রতিনিয়ত, সেসব মিলিয়েই আমরা চারজন ‘নীলাদ্রি এক্সপ্রেস’। এইসএসসি পরীক্ষার পর কলেজ জীবনের অধ্যায় শেষ। এখন আমরা সবাই একই শহরে থাকলেও যে যার জীবনকে এগিয়ে নিতে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যের পেছনে ছুটছি। প্রত্যেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ায় দেখা তো দূরে থাকুক, আজকাল ফোনে কথা বলারও সময় হয় না। তাই এবারের বন্ধু দিবসে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ব্যস্ততার ভিড়কে অতিক্রম করে অন্তত একটা দিনের জন্য হলেও আবার আগের মতন এক হব। শুরুটা যেখানে হয়েছিল ঠিক সেখানেই, উত্তরা ৬নং সেক্টরের ১৫ নম্বর রোড। ব্যস এটুকুই যথেষ্ট। কারণ, নীলাদ্রি এক্সপ্রেস একসঙ্গে হলে আড্ডা, ঘোরাফেরা, খুনসুটি, দুষ্টুমি আর ভালোবাসায় সময়কে থামিয়ে দেবে তারা এটাই নিয়ম। আর এসবের মধ্য দিয়ে আরও একবার রঙ্গিন হয়ে উঠবে ‘নীলাদ্রি এক্সপ্রেস’। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ
×