ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এক বছরেও মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়নি

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্ত হয়, বাস্তবায়ন হয় না

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৬ আগস্ট ২০১৬

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্ত হয়, বাস্তবায়ন হয় না

রাজন ভট্টাচার্য ॥ দেশের সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে ফের নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নেমেছে সরকার। মাঠপর্যায়ে বার বার সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়ায় এবার অনেকটা আটঘাট বেঁধেই চেষ্টা শুরু। যদিও শেষ পর্যন্ত এর সফলতা কতটুকু আসবে তাই দেখার বিষয়। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকদের ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এক বছর আগে দেশের ২২ মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিক্সাসহ অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল মহাসড়কে এখনও বহাল তবিয়তে নিষিদ্ধ যানবাহন চলার অভিযোগ করে আসছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা। এছাড়া একাধিকবার সড়ক-মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও রাজনৈতিক কারণে একপর্যায়ে পিছু হটে সরকার। এমন বাস্তবতায় নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আবারও নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা থাকলে নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলা কঠিন কোন বিষয় নয়। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জেলা প্রশাসকদের দেয়া নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কঠোর হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি। এদিকে সরবে বন্ধ হয়ে নীরবে আবারও সড়ক-মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। স্বল্পগতির এসব যানবাহনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা আরও বাড়বে এমন আশঙ্কা তাদের। ব্যাপক প্রচার চালিয়ে গত বছরের ১ আগস্ট জাতীয় মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। এসব যানের মালিক-শ্রমিকদের প্রতিবাদে মহাসড়কে নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কিছুটা পিছু হটে সরকার। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ২২ মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, অটোটেম্পো এবং অযান্ত্রিক যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এবং মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা বিধানে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাতীয় মহাসড়ক ছাড়া আঞ্চলিক সড়ক বা জেলা সড়কে অটোরিক্সা চলাচলে বাধা নেই বলে জানান তিনি। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অটোরিকশা, টেম্পোসহ কম গতির তিন চাকার যানবাহনকে মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে গত বছরের ১ আগস্ট থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। এতে দুর্ঘটনাও অনেকাংশে কমেছে। বর্তমানে দেশের আড়াই লাখ কিলোমিটার জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও গ্রামীণ সড়ক রয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সড়ক মহাসড়ক বিভাগের অধীন দেশে সড়ক-মহাসড়কের পরিমাণ ২১ হাজার কিলোমিটার আর জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার। দেশের আড়াই লাখ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২১ হাজার ৩০২ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের অধীন। এর মধ্যে তিন হাজার ৮১২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকা নিষিদ্ধ। অন্যত্র চলতে বাধা নেই। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে মহাসড়কে ধীরগতির গাড়ির জন্য পৃথক লেন হবে। ডিসিদের ১৩ দফা নির্দেশনা ॥ জেলা প্রশাসকদের দেয়া নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, যোগাযোগ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের কাজটি স্বল্পসময়ে দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা; সারাদেশের ২২ মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা; সড়ক-মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইকসহ সকল অননুমোদিত যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা; জেলা পর্যায়ে নিয়মিত আরটিসি সভা আয়োজন নিশ্চিত করা। এছাড়াও রুট পারমিট প্রদানের সময় গাড়ির ফিটনেসসহ সকল বিষয়াদি ভালভাবে দেখা। মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের চলাচলের সুবিধার্থে আসন সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা; হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল ও দুইজনের বেশি আরোহী চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আরো কঠোর হওয়া; জাতীয় মহাসড়কসহ, আঞ্চলিক ও জেলা সড়কগুলোর ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়ক-মহাসড়কের জায়গা উদ্ধার করা; জনগণকে মহাসড়কে চলাচল, সড়ক পারাপার, গাড়ি চালনা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা; জেলাভিত্তিক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের যৌক্তিক ও আইনসম্মত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা। এছাড়াও আসন্ন কোরবানির ঈদে বড় চ্যালেঞ্জ হলো পশুরহাট। সড়ক-মহাসড়ক কিংবা মহাসড়কসংলগ্ন স্থানে কোরবানির পশুরহাট বসানো থেকে বিরত থাকতে হবে, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে পশু পরিবহন উৎসমুখে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে; ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ভিজিলেন্স টিমের কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে হবে; গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলোর অত্যন্ত কাছ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে সেতুগুলো। সেতুর সন্নিকটে ইজারা প্রদান ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আরও কঠোর হতে হবে; দেশের মহাসড়কগুলোতে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন মহাসড়কে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করেছে। অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই যানবাহন নিয়ন্ত্রণেও জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে ১৩ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কাছে এসব নির্দেশনা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পৃথক চিঠিও পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মহাসড়কের ১৪৪ ঝুঁকিপূর্ণস্থান সংস্কার করা হচ্ছে। ৫০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়াও পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফোর লেন, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। যে ২২ মহাসড়কে ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চলাচল করে, সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কঠোরভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছি। তিনি বলেন, মহাসড়কের পাশে যেন পশুরহাট না বসে সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মালিগাঁও, ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার তুরাগ নদীর তীরে হাট বসে। মন্ত্রী বলেন, যে কোন সময়ের চেয়ে সড়কের অবস্থা এখন ভাল। কিছু সড়কের সংস্কার কাজ প্রক্রিয়াধীন। বৃষ্টি কমলেই কাজ শুরু হবে। দুই লেনের সড়কগুলো পর্যায়ক্রমে চার লেনে উন্নীত করা হবে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭৫২ কিলোমিটার সড়কের সম্ভাব্যতা-সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় মোটরসাইকেলে হেলমেটসহ দুই আরোহী চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়ায় সাফল্য পাওয়া গেছে। সারাদেশে এই অভিযান চলছে, অভিযান জোরদার করতে ডিসিদের বলা হয়েছে। মহাসড়ক যেন দখল হয়ে না যায়, তা দেখতেও জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চাওয়ার কথাও জানান মন্ত্রী। ২২ মহাসড়কেই চলছে নিষিদ্ধ পরিবহন ॥ দেশের জাতীয় মহাসড়কে সিএনজিচালিত তিন চাকার যানবাহন, অটোরিক্সা, অটোটেম্পো ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। গত বছরের সাত আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ প্রধান মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য আঞ্চলিক ও জেলা সড়কে অটোরিক্সা চলাচলে কোন বাধা নেই অথচ সব সড়কেই চলছে এসব যানবাহন। যেসব মহাসড়কে অটোরিক্সা ও অযান্ত্রিক যানবাহন নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়েছে সেগুলো হলোÑ এন-১ : কাঁচপুর সেতু থেকে মদনপুর-কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম-রামু (কক্সবাজার), এন ২ : কাঁচপুর সেতু-ঢাকা-ভেলানগর (নরসিংদী)-ভৈরব-সরাইল-মাধবপুর-মিরপুর-শেরপুর-সিলেট বাইপাস, এন ৩ : জয়দেবপুর চৌরাস্তা-ময়মনসিংহ বাইপাস পয়েন্ট, এন ৪ : জয়দেবপুর চৌরাস্তা-টাঙ্গাইল-জামালপুর, এন ৫ : আমিনবাজার সেতু ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া ঘাট-খয়েরচর ঘাট-কাশিনাথপুর-হাঁটিকুমরুল-বগুড়া বাইপাস-রংপুর বাইপাস-সৈয়দপুর বাইপাস-দশমাইল (দিনাজপুর)-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা, এন ৬ : কাশিনাথপুর (পাবনা)-পাবনা বাইপাস-দাশুরিয়া-নাটোর বাইপাস-রাজশাহী বাইপাস-নবাবগঞ্জ-সোনা মসজিদ-বালিয়াদীঘি স্থলবন্দর, এন ৭ : দৌলতদিয়া-ফরিদপুর (রাজবাড়ী মোড়)-মাগুরা-ঝিনাইদহ বাইপাস-যশোর বাইপাস-খুলনা সিটি বাইপাস-মংলা, এন ৮ : তেঘরিয়া মোড় (ঢাকা)-মাওয়া-কাওড়াকান্দি-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী, এন ১০২ : ময়নামতি (কুমিল্লা)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাইপাস-সরাইল, এন ১০৫ : মদনপুর-ভুলতা-মীরের বাজার-ভোগড়া-কড্ডা (ঢাকা বাইপাস), এন ৪০৫ : এলেঙ্গা-নলকা-হাটিকুমরুল, এন ৫০২ : বগুড়া-নাটোর, এন ৫০৬ : রংপুর-বড়বাড়ি-কুড়িগ্রাম, এন ৫০৭ : হাঁটিকুমরুল-বনপাড়া, এন ৫০৯ : বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী, এন ৫৪০ : নবীনগর-ইপিজেড-চন্দ্রা, এন ৭০২ : যশোর-মাগুরা, এন ৭০৪ : ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-দাশুরিয়া, এন ৭০৬ : চাষাড়া মোড় (যশোর)-বেনাপোল, এন ৮০৪ ও ৮০৮ : ভাঙ্গা-ফরিদপুর বাইপাস-রাজবাড়ী মোড়, এন ৮০৫ : ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-মোল্লারহাট-ফকিরহাট-নোয়াপাড়া, এন ৮০৬ : ভাটিয়াপাড়া-কালনা-লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, উন্নত দেশগুলোর মহাসড়কে অযান্ত্রিক কিংবা স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলের কোন ব্যবস্থা নেই। আমাদের দেশে অপরিকল্পিতভাবে সড়কগুলো নির্মাণ হয়েছে। অযান্ত্রিক বা স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলের বিষয়টি মাথায় না রেখেই সড়ক হয়েছে অথচ পৃথক লেন করে দিলেই সমস্যার সমাধান হতো। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহাসড়কের সঙ্গে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে পৃথক লেন করার পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি রুস্তম আলী জনকণ্ঠকে বলেন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রুট ও চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন নিয়মিত চলাচল করছে। এছাড়া এসব মহাসড়কে একটু পর পর বাজারসহ স মিলের শেষ নেই। রাস্তার ওপর রাখা হচ্ছে কাঠ। অবৈধ টার্মিনাল তো আছেই। এসব সমস্যা দূর করতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জনকণ্ঠকে বলেন, এই টার্মিনাল থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৪০ রুটে বাস চলাচল করে। সকল রুটেই অটোরিক্সাসহ অনুমোদনহীন যানবাহন চলছেই।
×