ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেখ কামালের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হানিফ

জামায়াত-বিএনপি পাকি ভাবাদর্শে বিশ্বাসী, ওরা বিচ্ছিন্ন হবে না

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৬ আগস্ট ২০১৬

জামায়াত-বিএনপি পাকি ভাবাদর্শে বিশ্বাসী, ওরা বিচ্ছিন্ন হবে না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ রুখে দিয়ে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় এবং প্রতিকৃতি ও মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ নানান আয়োজনে শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালের ৬৭তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সকাল ৮টায় ধানম-ি আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ছাড়াও মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, ঢাকা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, আবাহনী পরিচালকবৃন্দ, আবাহনী সমর্থকগোষ্ঠী, আবাহনী কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়বৃন্দসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াত ও বিএনপি পাকিস্তানী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী। তাই তারা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারবে না। সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতেই বিএনপি ঐক্যের ধোঁয়া তুলছে। পরে সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত শহীদ শেখ কামালের সমাধিতে নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেখানে কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়। এদিকে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে স্মৃতিচারণ সভার আয়োজন করা হয়। শেখ কামালের ৬৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংবাদ চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তার দল বিএনপি এবং জোটে থাকা সন্ত্রাসী-অপরাধীদের তালিকা দিলেই দেশ থেকে জঙ্গী-সন্ত্রাস নির্মূল হবে। তিনি বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলার পর যখন দেশের সাধারণ মানুষ জঙ্গী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নতুন করে রাজনৈতিক খেলা শুরু করেছেন। এ খেলার নাম হচ্ছে ‘জাতীয় ঐক্য-ঐক্য খেলা’। খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের ডাকের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আপনি কিসের ঐক্য চান? আমরা তো বহুবার বলেছি, আপনার সঙ্গে ঐক্যের প্রয়োজন নেই। জাতীয় ঐক্যের আগে আপনার দলের মধ্যে যারা সন্ত্রাসী আছে, যারা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে ব্যর্থ হয়েছেÑ আগে তাদের তালিকাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দিন। আপনার জোটের মধ্যে যারা মানবতাবিরোধী আছে, তাদের অপরাধ সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেয়ার জন্য তিনি খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। জাতীয় ঐক্য নিয়ে ‘সুশীল সমাজের একটি প্রতিনিধি দলের’ খালেদার সঙ্গে সাক্ষাতের সমালোচনাও করেন হানিফ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু তথাকথিত সুশীল সমাজ আছে যারা খালেদা জিয়ার ঐক্যের কথা শুনে আগবাড়িয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে গেল। এরপর এই এক মাস জাতীয় ঐক্যের ধোঁয়া তুলে প্রতিদিন নিউজ করাচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে ‘পাকিস্তানের এজেন্ট’ অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে জামায়াতকে নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত থাকারও অভিযোগ করেন হানিফ। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হানিফ বলেন, সামনে আমাদের কঠিন সময় পাড়ি দিতে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে বড় বাধা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ। আর তাদের মদদদাতা কারা, এটাও আজ প্রমাণিত ও স্পষ্ট হয়েছে। কারণ তাদের মদদদাতা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। তাই তাদের শক্ত হাতে দমন করে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেনÑ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল মজিদ হুমায়ুন, প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু প্রমুখ।
×