ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জোকোভিচের সঙ্গে ফেলপসের বিশেষ সাক্ষাত...

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৫ আগস্ট ২০১৬

জোকোভিচের সঙ্গে ফেলপসের বিশেষ সাক্ষাত...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা। দুজনেই ক্রীড়া তারকা। একজন জলদানব, যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল ফেলপস। আরেকজন টেনিসম্যান, সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচ। দুজনেই এখন রিও অলিম্পিকে অংশ নিতে ব্রাজিলে। দুজনেই বসবাস করছেন ‘অলিম্পিক ভিলেজ’-এ। একই জায়গায় থাকলে যা হয়, দেখা হয়েই যায়। দুজনের মধ্যেও দেখা হয়ে গেল। দুজনে মিলে দিছেন জম্পেশ আড্ডা। তুলেছেন একটি বিশেষ ছবিও। যুক্তরাষ্ট্র ক্রীড়া দলের হয়ে দেশের পতাকা মার্চপোস্টে বহন করবেন ফেলপস। এটাকে তিনি ‘বিশেষ সম্মানের’ বলে জানান। তিনি আরও জানান, ‘এ রকম পরিবেশে আবারও আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’ ফেলপস হচ্ছেন সেই জাতের অলিম্পিয়ান, যিনি ক্রীড়াবিদ হিসেবে অলিম্পিকে (২০০৪, ০৮ ও ১২) সবচেয়ে বেশি ২২ পদক জিতেছেন। শুধু তাই নয়, অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি ১৮ স্বর্ণপদকের মালিকও তিনি। তবে এবারের অলিম্পিকে ফেলপসের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ পুরোপুরি আগের ফর্মে নেই তিনি। ‘৫৫৫ সদস্যের যুক্তরাষ্ট্র দলে ঠাঁই পাব কিনা, এ নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে যখন শুনলাম আমি রিও যাচ্ছি, তখন খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলাম।’ তবে মজার বিষয় হচ্ছেÑ এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো অলিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়া ফেলপসের অভিষেক অলিম্পিকটা কিন্তু ছিল ব্যর্থতায় মোড়ানো! সেটা ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকনিষ্ঠ পুরুষ প্রতিযোগী হিসেবে সে অলিম্পিকে অংশ নিয়ে রেকর্ড গড়েন ‘দ্য বাল্টিমোর বুলেটস’ এবং ‘ফ্লাইং ফিশ’ খ্যাত ফেলপস। তবে বয়সের রেকর্ড গড়লেন সেবার রিক্ত হস্তেই পুল থেকেই বাড়ি ফিরতে হয় তাকে। তবে বাছাইয়ে বাদ না পড়লেও ২০০ মিটার বাটারফ্লাই সাঁতারের চূড়ান্তপর্বে খেলেন এবং পঞ্চম হন। এই ব্যর্থতাই হয় তো তাতিয়ে তোলে ফেলপসকে। পরের ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে অংশ নিয়ে জেতেন ছয়-ছয়টি সোনা! পরের ২০০৮ বেজিংয়ে জেতেন আটটি এবং সর্বশেষ ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে জেতেন আরও ৪ সোনা, ২ রুপা এবং ২ তামা। ২০০৮ সালে এক অলিম্পিকে সর্বোচ্চ সোনা জেতার রেকর্ড গড়েন স্বদেশী মার্ক স্পিজের ৭ সোনা (১৯৭২) জয়ের রেকর্ড ভেঙ্গে। ১০০ ও ২০০ মিটার বাটারফ্লাই ও ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে বিশ্বরেকর্ডের মালিক ফেলপস। সাতবার জিতেছেন বিশ্ব বর্ষসেরা সাঁতারুর পুরস্কার। নয়বার হয়েছেন আমেরিকার বর্ষসেরা সাঁতারু। সবমিলিয়ে সাঁতার তো বটেই, বিশ্ব ক্রীড়ার অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদও তিনি। এবারের অলিম্পিকই শেষ। বয়স হয়েছে ৩১। আর কোন অলিম্পিকের সুইমিংপুলের নীল পানিতে আর ঝড় তোলা হবে না ফেলপসের। তবে তার আগে রিও অলিম্পিকের পুরোটা উপভোগ করে নিতে চান ইতিহাসের এই সেরা অলিম্পিয়ান। ফেলপস যেখানে অলিম্পিকে জিতেছেন কাড়ি কাড়ি স্বর্ণপদক, সেখানে এখনও সোনা জেতেননি বিশ্ব টেনিসের অন্যতম নক্ষত্র এবং বর্তমান র‌্যাঙ্কিংসেরা নোভাক জোকোভিচ। ২০০৮ অলিম্পিকে এককে জিতছিলেন তাম্রপদক।
×