ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নৃ-গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ অর্থ গেল জাদুঘরে

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৫ আগস্ট ২০১৬

নৃ-গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ অর্থ গেল জাদুঘরে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ৪ আগস্ট ॥ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ নাটোরের গুরুদাসপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের (আদিবাসী) মাঝে বণ্টন না করে চলনবিল জাদুঘরের সংস্কারার্থে ব্যয় করা হয়েছে। বিশেষ এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের আর্থিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ থোক বরাদ্দ ও বণ্টন করা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য বরাদ্দকৃত সেই অর্থ কৌশলে চলনবিল জাদুঘরের সংস্কারার্থে ব্যয় করা হয়েছে। ফলে চলতি বছর সরকার প্রদত্ত আর্থিক উন্নয়ন সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রতিবছর প্রকল্প প্রস্তাবের আলোকে ‘বিশেষ এলাকার উন্নয়ন সহায়তা’ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চলতি বছরের ৩০ মার্চ ড. দেওয়ান হুমায়ন কবীর স্বাক্ষরিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নাটোর সদর, বাগাতিপাড়া, সিংড়া, লালপুর, বড়াইগ্রাম, নলডাঙ্গা এবং গুরুদাসপুর উপজেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগোষ্ঠীর আর্থিক উন্নয়ন সহায়তা বাবদ ৫২ লাখ টাকা থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই অর্থ অন্যান্য উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি, স্যানিটেশন, টিউবওয়েল, রিক্সা-ভ্যান, সেলাই মেশিনসহ নানা উপকরণ বাবদ পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে গুরুদাসপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য বরাদ্দ সাত লাখ ১০ হাজার টাকা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কৌশলে চলনবিল জাদুঘরের সংস্কারার্থে ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সূত্র আরও জানায়, বিগত বছরগুলোতেও গুরুদাসপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গুরুদাশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আকতার জানান, চলতি বছর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের উন্নয়ন তহবিলে কোন বরাদ্দ আসেনি। যার কারণে এ বছর তাদের মাঝে কোন উন্নয়ন উপকরণ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
×