ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরায় ড্রাগন চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৫ আগস্ট ২০১৬

মাগুরায় ড্রাগন চাষ ব্যাপক  সাড়া ফেলেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ মেক্সিকান ‘ড্রাগন’ ফল মিষ্টি ও হালকা টকজাতীয় স্বাদের হয়ে থাকে। এ ফলে নানা পুষ্ঠিগুণ রয়েছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কলেস্টোরোল ও শরীরের চর্বি কমায়। মাগুরা সদর উপজেলার রাওতড়া গ্রামের শতকত হোসেন নতুন জাতের ড্রাগন ফল চাষ করে সফল হয়েছেন। মাত্র ৪০ শতক জমিতে ড্রাগন চাষে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনি ৪০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন। এ মৌসুমে তার বাগান থেকে কমপক্ষে দুই লাক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন। তার এ সফলতা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিন বহু মানুষ আসছেন তার ড্রাগন বাগান দেখতে। শওকত হোসেন জানান, আগে তিনি ধান, পাট, সরিষা, মসুরের মতো গতানুগতিক চাষাবাদ করতেন। কিন্তু তাতে তেমন লাভ হতো না। এরপর ৪০ শতক জমিতে ড্রাগন বাগান গড়ার পরিকল্পনা করেন। ২০১৪ সালে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার থেকে বিনামূল্যে পাঁচ শ’ ড্রাগন চারা ও শতাধিক সিমেন্টের পিলার নিয়ে বাগান তৈরি করেন। ক্ষেত তৈরি, গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করতে তার মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। পরের বছর থেকেই গাছে ড্রাগন ফল আসতে শুরু করে। পাকা ড্রাগন ফল তুলতে শুরু করেছেন। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ২০ থেকে ২৫ কেজি করে ড্রাগন ফল পাচ্ছেন। ঢাকার ব্যাপারীরা বাগান থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অগ্রিম টাকার ভিত্তিতে গাড়িতে করে ঢাকায় পাঠনো হচ্ছে। স্থানীয় বাজারেও ড্রাগন ফলের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। নবেম্বর মাস পর্যন্ত গাছে একই ধরনের ফল পাবেন, যা থেকে তিনি এ মৌসুমে কমপক্ষে দুই লাক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশাবাদী। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের পরিচালক উদ্যানতত্ত্ববিদ আমিনুল ইসলাম জানান, মেক্সিকান এ ফল বর্তমানে এশিয়ার চায়না, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষের উপযোগী। মাগুরা হর্টিকালচার থেকে চারা নিয়ে যে কেউ ড্রাগন চাষ করতে পারেন।
×