ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গোলটেবিল বৈঠক

এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থ সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে হবে

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ৪ আগস্ট ২০১৬

এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থ সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় অর্থ যোগানদাতাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশে এত কিছু হচ্ছে অথচ অর্থসন্ত্রাসীর ব্যাপারে কেউ মুখ খুলছে না। এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থসন্ত্রাসীদের রুখে দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়ে আসা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ যত বেশি অর্থনৈতিক কর্মকা- ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হবে দেশ তত বেশি সমৃদ্ধ হবে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়ন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ (বিইউপি)। জাতিসংঘের নেয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্য অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এসডিজিতে নির্ধারিত ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে সাতটি বিষয় সরাসরি ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করছেন তারা। তাই এসডিজির নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতের উন্নয়ন, দীর্ঘময়োদী পরিকল্পনা গ্রহণ, নতুন তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা সংস্কার ও প্রণয়নের তাগিদ দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে সাধারণ মানুষকে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ, ব্যবসা-বাণিজ্যে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এসডিজি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন ডেপুটি গবর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সংবিধানে লিপিবদ্ধ আছে-রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। সরকারের দায়িত্ব সময়ের সঙ্গে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করা সম্ভব। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সাধারণ মানুষকে ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশে জঙ্গী-সন্ত্রাসের কথা বার বার উঠে আসছে। কিন্তু অর্থ সন্ত্রাসীর কথা কেউ বলছে না। কারা জঙ্গীদের অর্থায়ন করছে তা খুঁজে বের করতে হবে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে অর্থ সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকারকে আরও ক্ষমতাশীল করা দরকার। তা না হলে এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু বলেন, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের (এমডিজি) আটটি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বাংলাদেশ সাতটি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দারিদ্র্য কমেছে। স্বাস্থ্যসেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। বর্তমান অবস্থান থেকে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য নতুন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য এবং ক্ষুধা পুরোপুরি দূর করতে এসডিজি ঘোষণা করা হয়েছে। গোলটেবিল বৈঠকে বিআইডিএসের প্রফেসরিয়্যাল ফেলো ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এসডিজি অর্থ সংস্থানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে আকর্ষণীয় সুদে ট্যাক্স ফ্রি বন্ড ছাড়তে হবে। তাহলে সরকারের অর্থের চিন্তা করতে হবে না, জনগণই অর্থের সংস্থান করবে। বৈঠকে রূপালী ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. আহমেদ আল কবীর বলেন, বিগত কয়েক বছরে অভাবনীয় উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। এসডিজির জন্য আলাদা কোন বাজেট করার প্রয়োজন নেই। সব মন্ত্রণালয় সঠিকভাবে কাজ করলেই এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে।
×