ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাইগারদের ভারত সফর চূড়ান্ত

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৪ আগস্ট ২০১৬

টাইগারদের ভারত সফর চূড়ান্ত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে চূড়ান্ত হলো টাইগারদের ভারত সফরের তিন তারিখ। আগামী বছর ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতিক্ষীতি এক টেস্টের এই সিরিজ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর নিজ মুখে সূচী ঘোষণা করে এটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির দ্বিস্তর টেস্টের পরিকল্পনা বিষয়ে বিসিসিআই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মতো দেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঠাকুর। একটি মাত্র টেস্ট হলেও গুরুত্বপূর্ণ কারণে টাইগারদের ভারত সফর আলোচিত। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল এই ভারত। এর পর ১৬ বছর কেটে গেলেও টাইগারদের ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি! অভিজাত্যের টেস্ট মর্যাদা লাভের পর একমাত্র ভারত ছাড়া প্রতি দেশ সফরের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ বছর আগস্টেই দীর্ঘ সেই হতাশা ঘুচে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সূচীর চাপে ভারত বার বার সেটি পিছিয়ে দেয়। অবশেষে আসছে কাক্সিক্ষত ক্ষণ। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় টেস্ট দল হিসেবে সবাইকে সমান সুযোগ করে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচটির তারিখ জানিয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত। ২০১৬-২০১৮ হোম সিজনের জন্য এটা হবে গ্রেট এডিশন।’ আনন্দিত বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের ক্রিকেটার, ভক্ত-অনুরাগী সবার জন্য এটা বহুল প্রত্যাশিত এক ম্যাচ। অনেক দিনের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে, এখন অপেক্ষা উদ্যাপনের।’ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২০০৬ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে ভারত গেলেও সাদা পোশাকের দ্বৈরথে অংশ নিতে দেশটিতে এটিই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সফর। ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ শেষের এক সপ্তাহ পরই বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে বিরাট কোহলির দল। অন্যদিকে ২৪ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ড সফরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শেষ করে ভারতে উড়ে যাবে টিম-বাংলাদেশ। ওদিকে আইসিসির দ্বিস্তর টেস্টের পরিকল্পনা নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে সেখানেও টাইগারদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে বন্ধুপ্রতীম প্রভাশালী এই ক্রিকেট শক্তি। এই প্রসঙ্গে বিসিসিআই বস বলেন, ‘আমরা দ্বিস্তর নীতির বিপক্ষে। কারণ এটি বাস্তবায়ন হলে নিচের সারির দলগুলো তাদের পথ হারিয়ে ফেলবে। আমরা তাদের সাহায্য করতে চাই। তাই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মতো দেশের চাওয়ার গুরুত্ব দেয়া উচিত।’ আইসিসি চাইছে টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোকে দুটি স্তরে ভাগ করতে। যেখানে প্রথম স্তরে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ সাত ও দ্বিতীয় স্তরে তিন টেস্ট খেলুড়ের সঙ্গী হবে সহাযোগী দুই দেশ। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড চাইলেও বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুইয়ে এর ঘোরতর বিরোধী। পিছিয়ে থাকা দলগুলো এবার প্রভাবশালী ভারতকেও পাশে পাচ্ছে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা আগে থেকেই বলে আসছিল, এতে তারা পিছিয়ে পড়বে এবং বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
×