ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একক, দ্বৈত এমনকি মিশ্র দ্বৈতেও খেলবেন নাদাল

সরে দাঁড়ালেন ওয়ারিঙ্কাও

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ৪ আগস্ট ২০১৬

সরে দাঁড়ালেন ওয়ারিঙ্কাও

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার সরে দাঁড়ালেন স্ট্যানিসøাস ওয়ারিঙ্কাও। মূলত পিঠের ইনজুরির কারণেই রিও অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়ালেন সুইজারল্যান্ডের এই টেনিস তারকা। মঙ্গলবার অলিম্পিকে না খেলার কথা নিশ্চিত করেন তিনি। এর ফলে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের পুরুষ এককে শীর্ষ দশের পাঁচজনকেই পাচ্ছে না রিও অলিম্পিক। তবে অনিশ্চয়তার ভেলায় ভাসতে থাকা রাফায়েল নাদাল ক্রীড়াজগতের মহাযজ্ঞে খেলার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। উইম্বলডনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কা। মৌসুমের তৃতীয় গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের পর সদ্যসমাপ্ত রজার্স কাপ দিয়ে কোর্টে ফিরেন তিনি। আর কানাডার এই টুর্নামেন্টেই পিঠের ইনজুরিতে পড়েন সুইজারল্যান্ডের এই টেনিস তারকা। আর এই চোটের কারণেই কপাল পুড়ল তার। শুধু তাই নয়, অলিম্পিকও যে কিছুটা রং হারাবে তাও নিশ্চিত। কেননা এর আগে স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কারই স্বদেশী টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি রজার ফেদেরার ইনজুরির কারণে নিজের নাম সরিয়ে নেন। বিশ্ব টেনিসের অন্যতম সেরা দুই তারকার অনুপস্থিতিতে রীতিমতো হতাশ এ্যান্ডি মারেও। সময়ের সেরা দুই খেলোয়াড় না থাকাটাকে খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ বিষয়ে মারে বলেন, ‘রজার ফেদেরার এবং স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কা না থাকাটা গেমসের জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। তারা দুজনই অসাধারণ মাপের খেলোয়াড়, যাদের উভয়েই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তাদের মতো খেলোয়াড় না থাকাটা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।’ গত বছর লন্ডন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেন এ্যান্ডি মারে। সম্প্রতি উইম্বলডনেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ব্রিটেনের এই সফল প্রতিনিধি। তাই অলিম্পিকের শিরোপা ধরে রাখার জন্য এবারও ফেবারিট ব্রিটেনের এই শীর্ষ তারকা। তবে তার বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন রাফায়েল নাদাল। মঙ্গলবারই যিনি অলিম্পিকে খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন। স্পেনের এই টেনিস তারকা ফ্রেঞ্চ ওপেনের পর থেকেই আর কোর্টে নামেননি। মূলত কব্জির ইনজুরির কারণেই রিও অলিম্পিকের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয়ের মধ্যে ছিলেন। অবশেষে মঙ্গলবার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দিলেন রিও অলিম্পিকে একক, ডাবলস এবং মিশ্র দ্বৈতে অংশগ্রহণ করবেন। এর আগে রিও অলিম্পিক থেকে নাম সরিয়ে নেন চেকপ্রজাতন্ত্রের টমাস বার্দিচ, কানাডার মিলোস রাওনিক এবং ডমিনিক থিয়েম। আর মহিলা একক থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপও। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে নেই মারিয়া শারাপোভাও। তাই রিও অলিম্পিকের টেনিস যে তার আসল রূপ-সৌন্দর্য হারাবে তা অনেকাংশেই নিশ্চিত করে বলা যায়।
×