ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্নিগ্ধ রহমান

স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘জেসন বর্ন’

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৪ আগস্ট ২০১৬

স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘জেসন বর্ন’

জেসন বর্ন সিরিজের লেটেস্ট মুভি ‘জেসন বর্ন’ এর ওয়ার্ল্ডওয়াইড রিলিজ ডেট ছিল জুলাই মাসের ২৯ তারিখে। বহু জল্পনা কল্পনা শেষে প্রায় একযুগ পর পরিচালক পল গ্রীনগ্রাস এবং ম্যাট ডেমন হাইস্কিল্ড এসাসিন ‘জেসন বর্ন’ কে নিয়ে পর্দায় আবার উপস্থিত হয়েছেন। তাই এটি নিয়ে আমাদের মত জেসন বর্ন ফ্যানদের আগ্রহও অনেক বেশি। কিন্তু মুভি রিলিজ হওয়ার আগেই ক্রিটিকসরা মনে হয় ফ্যানদের এই আগ্রহে পানি ঢেলে দেয়ার ধান্ধায় আছেন। বর্নের নতুন মুভির প্লট এমন একটা জায়গা থেকে শুরু“ হয়েছে যে, আগের মুভিগুলো দেখা না থাকলে স্পয়লার খেয়ে যাবেন। তারপরও যথাসম্ভব চেষ্টা করছি স্পয়লারগুলো এড়িয়ে যাবার। জেসন বর্নের স্মৃতিশক্তি একটু একটু করে ফিরে আসছে। আল্টিমেটামে আমরা জানতে পারি, বর্ন স্বেচ্ছায় ব্ল্যাকব্রায়ার-ট্রেডস্টোন প্রজেক্টে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু এই পর্বে এসে দেখা যায়, সিআইএ চাইছিল বর্ন তাদের এ্যাসাসিন হিসেবে কাজ করুক। আর সেজন্য তারা ‘ট্রিক খাটিয়ে’ বর্নকে নিজেদের দলে নিয়ে আসে। যেহেতু সত্যের মৃত্যু নাই, তাই এই সত্য আর দুটি মৃত্যুকে আবারও বাধ্য করে স্বরূপে আবির্ভূত হতে। বর্নকে মারতে উঠে-পড়ে লাগে সিআইএর ডিরেক্টর টমি লি জোনস আর এ্যাসাসিন ভিনসেন্ট ক্যাসেল। আর বর্নকে সাহায্য করতে থাকে এজেন্ট হিদার লি (এ্যালিশিয়া ভিকান্দার)। বরবারের মতো এবারও পরিচালক ছিলেন পল গ্রিনগ্রাস। ভাল দিকগুলো বলি, মুভিটা টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড। ডিরেকশন, এডিটিং, সিনেম্যাটোগ্রাফি, সাউন্ড ইফেক্টস, প্রোডাকশন ডিজাইন দুর্দান্ত। গ্রীসে রায়টের দৃশ্যগুলো অবাক করার মতো বাস্তব লেগেছে। সেখানকার চেজ সিকোয়েন্সটাও দারুণ। চেয়ারের পায়া খুলে কাউকে পিটানোর মতো দৃশ্য একমাত্র বর্নেই পাওয়া সম্ভব। প্রত্যেকের অভিনয় খুব ভাল ছিল, বিশেষ করে এ্যালিশিয়া ভিকান্দার। এবার খারাপ দিকগুলো বলি। বর্নের যা প্লাস-পয়েন্ট ছিল বা যেসব কারণে বর্ন আর সবার চাইতে আলাদা, তার অনেকটাই এই মুভিতে পাইনি। গল্পটা আমার কাছে এনগেজিং তো লাগেইনি, বরং ক্ষেত্রেবিশেষে সুপ্রিম্যাসিকে মনে করিয়ে দিয়েছে। ‘জেসন বর্ন’ এখনকার আর দশটা এ্যাকশন মুভির চে ভাল, এন্টারটেইনিং। কিন্তু মুভিটা দেখতে দেখতে শুধু মনে হচ্ছিল, ‘চাইর নম্বর মুভিটা করার কোন দরকার আছিলো না, ডেমন মামা।’ আমার প্রিয় বর্ন মুভির তালিকায় তাই একে আমি চারে রাখব। এতকিছুর পরেও মুভি শেষে যখন ট্রেডমার্ক স্টাইলে ‘এক্সট্রিম ওয়েজ’ বেজে উঠল, মনে বর্ন ট্রিলোজির সেই হেভেনলি হ্যাপিনেসের স্মৃতিও যেন ফিরে এলো। ঙয নধনু! ঞযবহ রঃ ভবষষ ধঢ়ধৎঃ, রঃ ভবষষ ধঢ়ধৎঃ!!
×