ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাচ্যনাট ॥ প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৪ আগস্ট ২০১৬

প্রাচ্যনাট ॥ প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর

‘হারানো দিনের দুয়ারে, মাতি প্রাণের জোয়ারে’- এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর উদ্যাপন করল ‘প্রাচ্যনাট স্কুল অব এ্যাকটিং এ্যান্ড ডিজাইন’। রাজধানী সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালায় শুক্রবার দিনভর ছিল তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ও স্কুলের ১৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রাণের ছন্দে মেতেছিল শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। প্রাচ্যনাটের মুখ্য সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমন জানান, জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনের পাশাপাশি বহিরাঙ্গনে মিলেছিল সবাই প্রাণের উৎসবে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, কোরিওগ্রাফি, সঙ্গীত, পারফর্মিং আর্ট, নাটক, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। সকাল থেকেই নাচে-গানে মুখরিত হয় জাতীয় নাট্যশালা।’ এদিন প্রাচ্যনাট স্কুলের ৩০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মঞ্চায়ন করে তাদের কোর্স সমাপনী প্রযোজনা ‘সিরাজদ্দৌলা’। দুপুরে নাট্যশালার মূল মিলনায়তনের ভেতরে হাসান শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় বসে শিক্ষার্থীদের মুক্ত আড্ডা। শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন প্রাচ্যনাট স্কুলে কাটানো দিনগুলোর। আনন্দের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি বেদনার কথাও ছিল। প্রাচ্যনাটের কর্মী প্রয়াত রিংকন শিকদার, নাট্য প্রশিক্ষক সাজিদুর রহমান চঞ্চলকে স্মরণ করেন শিক্ষার্থীরা। নাট্যশালার মূল মিলনায়তনের পাশাপাশি বহিরাঙ্গনেও ছিল উৎসবের আয়োজন। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, কোরিওগ্রাফি, সঙ্গীত, পারফর্মিং আর্ট, নাটক, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। বিকেলে দিনব্যাপী এই আয়োজনের অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, যাত্রাশিল্পী ও সংগঠক মিলন কান্তি দে, এভারস্টে বিজয়ী এম এ মুহিত ও নিশাত মজুমদার। এ সময় মামুনুর রশীদ বলেন, ‘তারণ্যের যে শক্তি এখানে দেখেছি। এই শক্তির কাছে সমস্ত অশুভ শক্তি পরাজিত হবে। এখানে এভারেস্টজয়ী দুজন বীর আছেন। তারা জানেন এভারেস্ট জয় কত কঠিন। নাট্যকর্মীরাও প্রতিদিন এভারেস্ট জয়ের মতোই কঠিন কাজ করে চলেছে থিয়েটারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কখনও হতাশা, কখনও স্বপ্ন এই নিয়ে নাটকর্মীরা থিয়েটারের এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারুণ্যের শক্তিই থিয়েটারের প্রাণ। প্রাচ্যনাট স্কুল অনেকগুলো তরুণকে নিয়ে থিয়েটারে প্রাণ সঞ্চারিত করে চলেছে।’ সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী এই আয়োজন চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। স্কুলের ১৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক ও বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের নাট্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় প্রাচ্যনাট স্কুলের ৩০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মঞ্চায়ন করে তাদের কোর্স সমাপনী প্রযোজনা ‘সিরাজদ্দৌলা’। তাসনুভা তাবাস্সুম
×