ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সেবা সংস্থার সমন্বয়ে গ্রীন সিটি বাস্তবায়ন চান চসিক মেয়র

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৪ আগস্ট ২০১৬

সেবা সংস্থার সমন্বয়ে গ্রীন সিটি বাস্তবায়ন চান চসিক মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সেবাদানকারী সরকারী, আধা সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রীন ও ক্লিন সিটির ভিশনসহ চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে গৃহীত সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। নানামুখী সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নাগরিক সেবা নগরবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। নগরীর জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনের লক্ষ্যে দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তায় সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। নাগরিক চাহিদা পূরণে সেবা সংস্থাগুলো কর্পোরেশনের সহযোগী হলে সেবার মান বৃদ্ধি ও নাগরিক সেবা ত্বরান্বিত করা সহজ হবে। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বুধবার সকালে বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় সভায় এ কথাগুলো বলেন। সভায় তিনি তার ক্লিন ও গ্রীন সিটির ভিশনসহ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করে বলেন, সেবায় নিয়োজিত সকল সরকারী, আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে নগরবাসীর সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিক সেবা দিতে গিয়ে নানামুখী জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতার কারণে কাক্সিক্ষত সেবা যথাসময়ে দেয়া যাচ্ছে না। মেয়র বলেন, নাগরিকদের প্রদেয় ট্যাক্সনির্ভর সিটি কর্পোরেশনের সেবা। সেদিকে প্রাধান্য দিয়েই নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। মেয়র বলেন, সরকার ঘোষিত পে-স্কেল বাস্তবায়ন করার কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক খরচ ৯ কোটি থেকে বেড়ে ১৬ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। খরচ বাড়লেও কর্পোরেশনের আয়ের পথ সীমিত। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পরিপত্রের মাধ্যমে সেবাদানকারী সরকারী, আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সমন্বয় করার বিধান জারির প্রেক্ষিতে বুধবার এই সমন্বয় সভা করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলমের পরিচালনায় এ সভায় উপস্থিত থেকে অভিমত রাখেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল খালেদ ইকবাল, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক চৌধুরী প্রমুখ। আল্টিমেটাম চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষ অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে উল্লেখ করে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে অপরপক্ষ। বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানায়। একই দাবিতে তারা প্রশাসনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তারা আগামী শনিবারের মধ্যে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করা না হলে পরদিন থেকে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন করা পক্ষটি স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল মোস্তফা টিনুর অনুসারি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি সুভাষ মল্লিক সংঘর্ষের ঘটনার জন্য নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে দায়ী করে সুভাষ বলেন, নুরুল আজিম রনির সঙ্গে যারা চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের নাম বহন করছে তারা অধিকাংশই অনুপ্রবেশকারী। পরে তিনি ৩১ জুলাইয়ের ঘটনায় গুলিবর্ষণকারী অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ৪ আগস্ট পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ৬ আগস্ট কলেজে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং ৭ আগস্ট থেকে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট পালন করার ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মোক্তার হোসেন রাজু ও খালেদ মাহবুব চৌধুরী টুটুল। উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল মোস্তফা টিনু ও নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
×