অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জঙ্গীবাদ ইস্যুতে সরকারের নেয়া দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি কুয়েলেনায়ারে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ তাৎক্ষণিক যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রশংসার যোগ্য। এতে নেদারল্যান্ডস সন্তুষ্ট। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা যেন সন্ত্রাসী কর্মকা-ে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য পাশে থাকারও আশ্বাস দেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যেভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তাতে বিদেশীরা খুশি। গুলশান, শোলাকিয়া এবং কল্যাণপুরে সন্ত্রাসীদের অল্প সময়ের মধ্যে সফলভাবে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করায় তৈরি পোশাকের ক্রেতারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নেদারল্যান্ডস রাষ্ট্রদূত এ প্রশংসা করেন। লিওনি কুয়েলেনায়ারে বলেন, নিরাপত্তা ইস্যু এবং জঙ্গীবাদ সারা বিশ্বের সমস্যা। এজন্য মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে না। জঙ্গীবাদ ইস্যুতে বাংলাদেশ যে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে, নেদারল্যান্ডস তাতে সন্তুষ্ট। বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম ও ব্যবসা বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে আস্থার সঙ্গে পাশে থাকবে নেদারল্যান্ডস। ওই সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। বন্ধুরাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগীরা জঙ্গী ও সন্ত্রাস ইস্যুতে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের যতগুলো দেশে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে কোথাও সন্ত্রাসীদের জীবিত উদ্ধার করা হয়নি। তারপরও বিএনপির নেতারা বলছেন, সন্ত্রাসীদের জীবিত গ্রেফতার করা হলে ভাল হতো। এমনকি তারা আরও বলছেন, কল্যাণপুরের ঘটনার সবাই সন্ত্রাসী নয়। আসলে তাদের এ ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে বিএনপি সন্ত্রাসী ও জঙ্গী মোকাবেলায় আন্তরিক নয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এভাবে ইনডাইরেক্টলি সন্ত্রাসীদের মদদ দেবে আর জাতীয় ঐক্যের কথা বলবে, এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, বিদেশী ব্যবসায়ীরা এখন স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা করছেন, কোন সমস্যা নেই। সব স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বাংলাদেশ এখন প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করছে নেদারল্যান্ডসে। দিন দিন এ রফতানি বাড়ছে। নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত আরও আধুনিক ও টেকসই করে গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। এজন্য আগামী মাসে ঢাকায় ‘সাসটেইনেবল সোর্সিং ইন দি গার্মেন্ট সেক্টর’ শিরোনামে একটি সেমিনারের আয়োজন করবে।