ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ নারী ও শিশুর প্রতি বর্বরতা

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৪ আগস্ট ২০১৬

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ নারী ও শিশুর প্রতি বর্বরতা

সমাজে শিশু হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ নিষ্পাপ অবস্থান- যেখানে কোন প্রশ্ন আসতে পারে না। আর মানুষের সমঅধিকারের ভিত্তিতে নারীর অবস্থান চিহ্নিত হলেও সে বিশ্বের প্রায় সব সমাজেই করুণার পাত্র। কেন বিশ্বজুড়ে শিশু ও নারীর এই অবস্থান- বিষয়গুলো চিহ্নিত ও প্রতিরোধ করতে পারলে কমে আসবে বর্বরতা। কিছু চলমান সমস্যা তুলে ধরা হলো- সমস্যা : ১. পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু শ্রমিককে হত্যা (খুলনার রাকিব, নারায়ণগঞ্জের সাগর) দেশবাসীর জানা। এ ছাড়াও শহর-গ্রামে শিশু (বাবা-মা ও শিক্ষক কর্তৃক), গৃহশ্রমিক (শিশু ও নারী), শিশু শ্রমিক (কারখানা, পাথর, ইটভাঁটি), হোটেল ও দোকানে কাজ করা প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্যাতনের শিকার। তাদের মারধর, ছেঁকা দেয়া পাশবিক নির্যাতন। এ ছাড়াও শিশু পাচার করে তাকে উটের জকি বানানো, বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, হাত-পা নষ্ট করে তাকে দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করানো। ২. গৃহশ্রমিক নারী নির্যাতন (তাদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন, যৌন আকাক্সক্ষা পূরণ) ৩. দেশ থেকে নারী পাচার এবং বিক্রি করে নারীকে যৌনকর্মী বানানো। ৪. সাধারণ গৃহে নারী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১৮ ঘণ্টা কাজ করে (রান্নাবান্না, ঘরবাড়ি, ঝাড়ু দেয়া, মোছা, কাপড় ধোয়া, শিশু পালন, স্বামী-সঙ্গ, গ্রামে মেয়েরা মাঠে কাজ করে, শহরে গার্মেন্টসসহ অন্যান্য সেক্টরে) অর্থাৎ নারী ঘরে কাজ করেই সংসারের ৬০% কাজ করে এবং চাকরিজীবী নারীরা ৮০% কাজ করছে। এগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেই নারীদের গৃহে নির্যাতন, অফিসে বৈষম্য ও যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ৫. রাজনীতিতেও এই বৈষম্যমূলক আচরণ দেখা যায়। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই শুধু শোভা বর্ধন করতে বাধ্য হন। পুরুষতন্ত্রের দাপটে অনেক ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এই লজ্জাজনক আপত্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে প্রথমত প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুশ্রম বন্ধ করা। সেইসঙ্গে নারী শ্রমিক পাচার কঠোরভাবে বন্ধ করা। মেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান। গ্রাম ও শহরে আলাদা নারী এবং শিশু নির্যাতন সেল গঠন করে অভিযোগ অনুযায়ী নির্যাতনকারীকে কঠোর শাস্তি দেয়া। কালিয়াগঞ্জ, পঞ্চগড় থেকে
×