ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ বাণিজ্য স্থাপনা উচ্ছেদে উত্তরা বনশ্রী গুলশানে অভিযান

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ৩ আগস্ট ২০১৬

অবৈধ বাণিজ্য স্থাপনা উচ্ছেদে উত্তরা বনশ্রী গুলশানে অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবৈধভাবে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে রাজধানীর উত্তরা, বনশ্রী ও গুলশানে পৃথক পৃথক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ওলিউর রহমান গুলশানে, খন্দকার জাকির হোসেন উত্তরায় ও মোঃ নাসির বনশ্রীতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে গুলশান-১ এর ৭/১২ নং রোড থেকে ১৪ নং রোডে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে দু’টি দোকান ও একটি সুপার শপ বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া একটি ভবনের কার-পার্কিংয়ের জায়গা উদ্ধার ও ছয়টি ভবনের সামনের ফুটপাথের ওপর নির্মিত অবৈধ র‌্যাম্প (গাড়ি ওঠার জন্য ঢালু স্থাপনা) অপসারণ করা হয়। এ সময় অন্যান্য সেবাদানকারী সংস্থা এসব প্রতিষ্ঠানে তাদের বিদ্যুত-গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। রাজউকের জোন-৬ এর অধীনে বনশ্রী আবাসিক এলাকায় ডি-ব্লক ও ই-ব্লকে ৪ নং ও এ্যাভিনিউ রোডে পরিচালিত অভিযানে ৩২টি ভবনের সামনের ফুটপাথের ওপর নির্মিত অবৈধ র‌্যাম্প (গাড়ি ওঠার জন্য ঢালু স্থাপনা) অপসারণ করা হয়। রাজউক এর এই উচ্ছেদ কার্যক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য সেবাদানকারী সংস্থা সহায়তা প্রদান করেন। অপরদিকে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানোয় রাজধানীর উত্তরায় দুটি হোটেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার একটির মালিক রাজউকেরই এক সাবেক কর্মকর্তা। অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট কমফোর্ট ইন এবং নগর ভ্যালি এই দুটি হোটেল বন্ধ করে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেন। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের শায়েস্তা খান এ্যাভিনিউর ২৭ নম্বর বাড়ির নগর ভ্যালি হোটেলের মালিক রাজউকের সাবেক নগর পরিকল্পনাবিদ কাজী গোলাম হাফিজ। এছাড়া চার নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কের ৫০ বাড়ির কমফোর্ট ইন-এর মালিক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর চাচাত ভাই আবুল হাসনাত বাসু বলে জানিয়েছেন হোটেলের ব্যবস্থাপক রাতুল চৌধুরী সুমন। তবে কমফোর্ট ইন হোটেলের ভবন থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সরিয়ে নিতে একদিনের সময় বেঁধে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দুইটি আবাসিক হোটেল সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার জাকির হোসেন বলেন, আবাসিক এলাকার এ ভবনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের কোন অনুমোদন নেই। হোটেল কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি। তাই এ হোটেলের গ্যাস ও বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। তিনি বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই স্থাপনা সরানোর অঙ্গীকারনামা দিয়েছে তাই তাদের এক দিন সময় দেয়া হয়েছে।
×