ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিমিয়ার ক্রিকেটের পারিশ্রমিক পুরোপুরি না পাওয়াতে বিসিবির কাছে নাফীসদের আবেদন

ক্রিকেট খেলাটাই কষ্ট হয়ে যাবে ॥ নাফীস

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৩ আগস্ট ২০১৬

ক্রিকেট খেলাটাই কষ্ট হয়ে যাবে ॥ নাফীস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ক্রিকেট আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (ডিপিএল)। পেশাদার ক্রিকেটারদের অন্যতম আয়ের উৎস এ প্রিমিয়ার ক্রিকেট। কিন্তু ক্রমেই পারিশ্রমিক বেড়ে যাওয়াতে ক্লাবগুলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে সেটা একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থানে রাখার আবেদন করেছিল। বিসিবিও প্লেয়ার বাই চয়েস ফর্মুলা দিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির জন্য পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। আর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক যাতে ক্লাবগুলো পরিশোধ করে সেই দায়িত্বটাও বিসিবি নিয়েছিল। গত ২২ জুন প্রিমিয়ার ক্রিকেট শেষ হয় এবং ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধের সময়টাও শেষ হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ছাড়া কোন অর্থই পাননি অনেকে। এ কারণে মঙ্গলবার বিসিবির কাছে শাহরিয়ার নাফীসসহ অনেক ক্রিকেটারই এ বিষয়ে বিসিবির হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। পুরো একটা বছর দেশের ক্রিকেটারদের আয়ের উৎস প্রিমিয়ার লীগ না হওয়াতে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। অথচ এবারের প্রিমিয়ার লীগের পারিশ্রমিক এখনও পাননি অনেক ক্রিকেটারই। এ বিষয়ে নাফীস বলেন, ‘আমরা ৩০ ভাগ পেমেন্ট পেয়েছি। কিন্তু এই সময়ে শতভাগ পেমেন্ট হয়ে যাওয়ার কথা। আমরা খেলোয়াড়রা এক হয়ে বিষয়টা সিইওকে জানালাম। কারণ এই বছর বিসিবি এ বিষয়ে অনেক কঠোর ছিল। তারা কিন্তু আমাদের একটা কথা দিয়েছিল যদি কোন কারণে পেমেন্ট ঠিকমতো না হয় তবে বিসিবি পদক্ষেপ নেবে। আমরা আবেদন করেছি যেন আমাদের বিষয়টা খুব ভালভাবে দেখা হয়। কারণ হিসাব করে দেখলে ২০১৪ সালের আগস্টে প্রিমিয়ার লীগে হয়েছে। আমাদের ৯০ ভাগ খেলোয়াড়ের কিন্তু মূল আয়ের উৎস প্রিমিয়ার লীগ। যদি পেমেন্টটা ঠিকমতো না হয় তাহলে আমাদের খেলোয়াড়দের ক্রিকেট খেলাটাই কষ্ট হয়ে যাবে।’ খেলোয়াড়রা নিজ নিজ ক্লাবগুলোকে পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য বার বার ধর্না দিয়ে গেলেও সন্তোষজনক কিছু জানানো হচ্ছে না। গত ঈদের পর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত ক্লাবগুলো উদাসীন। এমনটাই দাবি নাফীসের। তবে প্লেয়ার বাই চয়েস ফর্মুলার জন্য এমন হচ্ছে সেটা মনে করেন না এ ওপেনার। নাফিস বলেন, ‘এটা করার পেছনে ক্লাবগুলোর মূল দাবি ছিল খেলোয়াড়দের পেমেন্টের অনুপাত অনেক বেড়ে যাচ্ছে এবং তাদরে পেমেন্ট করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রায় প্রতিবছরই ১০ বা ৫ ভাগ পাওনা ছেড়ে দিয়ে থাকি। কারণ বাংলাদেশের ক্রিকেটে ক্লাবগুলোর অনেক অবদান এবং তাদের কিন্তু স্থায়ী আয়ের উৎস নেই। কিন্তু প্লেয়ার বাই চয়েস হওয়ার পরও যদি ক্লাবগুলো পেমেন্ট দিতে গড়িমসি করে তাহলে ক্রিকেট খেলে জীবিকা নির্বাহ করাটাই কষ্ট হয়ে যাবে ক্রিকেটারদের জন্য।’ তবে নাফীস আশা করে প্লেয়ার্স ইউনিয়ন এবং বিসিবি ও ক্লাব একযোগে এ বিষয়ে কাজ করলে সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে।
×