ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোহামেডান ০-০ ফেনী সকার

মোহামেডানকে রুখে দিল ফেনী সকার

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩ আগস্ট ২০১৬

মোহামেডানকে রুখে দিল ফেনী সকার

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ দুই দলেরই প্রত্যাশা ছিল জেতার। কিন্তু কারুরই সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কেউ জেতেনি, আবারও হারেওনি। মঙ্গলবার ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে দিনের প্রথম খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল লীগের ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব বনাম ফেনী সকার ক্লাব। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দুই দলের খেলাটি গোলশূন্য ড্রতে পর্যবসিত হয়। দুই ড্র ও এক হারে মোহামেডানের পয়েন্ট মাত্র ২। একই অবস্থা ফেনী সকারেরও। প্রথমার্ধের পুরো সময় মোহামেডানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে খেলে ফেনী সকার। ১০ মিনিটে তাদের মিডফিল্ডার উচে ফেলিক্স ডানপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে বক্সে থ্রু পাস বাড়ান সতীর্থ টুয়াম ফ্রাঙ্কের উদ্দেশ্যে। তিনি বলটি নিয়ন্ত্রণে এনে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শট নিলে সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায় বল। ২৭ মিনিটে ফ্রাঙ্কের প্লেসিং শটে অধিনায়ক আকবর হোসেন রিদনের হেড গোলবারের জালে জড়ালেও রেফারি অফসাইডের নির্দেশ দেন। ৩০ মিনিটে ফেলিক্স ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে শট নিলে মোহামেডান গোলরক্ষক কোনমতে হাত দিয়ে আটকালে ফেনী সকারের আক্রমণ ব্যর্থ হয়। মোহামেডান ৪৩ মিনিটে আক্রমণে যায়। অধিনায়ক ইসমাইল বাঙ্গুরার থ্রু পাস থেকে সেনেগালের ডিফেন্ডার ইয়াইয়া গোলকিপারকে একা পেয়ে গোল করতে পারেননি। তার দুর্বল শটটি জালে না জড়িয়ে গোলরক্ষকের হাতেই ঠাঁই নেয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে মোহামেডান কিছুটা চাপ প্রয়োগ করে খেলতে চেষ্টা করে। ৬০ মিনিট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আক্রমণও চালায় সাদাকালো জার্সিধারীরা। কিন্তু প্রতিপক্ষ ফেনী সকারের ডিফেন্ডারদের দক্ষতা আর মোহামেডানের স্ট্রাইকারদের দুর্বলতায় তা ব্যর্থ হয়। ৬৩ মিনিটে সকারের মিডফিল্ডার ফেলিক্সের লব অধিনায়ক রিদনের মাথায় লেগে গোলবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। বাকি সময়ে আর কোন গোল না হওয়াতে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ে দু’দল। ম্যাচ শেষে মোহামেডানের কোচ কাজী জসিম উদ্দিন আহমেদ জোসি বলেন, ‘এই ফলে আমি সত্যিই হতাশ। বিশেষ করে দলের বিদেশী খেলোয়াড়দের ওপর। তাদের কাছ থেকে যে সার্ভিস প্রত্যাশা করেছিলাম, তা তারা দিতে পারছে না। এই লীগে অংশ নেয়া অন্যান্য দলে জাতীয় দলের ভালমানের প্লেয়ার রয়েছে, মোহামেডানের তা নেই!’ জসি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে আসার আগে টার্গেট ছিল ৩ ম্যাচ থেকে কমপক্ষে ৭ পয়েন্ট কুড়িয়ে নেব। কিন্তু পেয়েছি ৫ পয়েন্ট। ফেনীর চেয়ে আমরা বেটার টিম। অথচ মাঠে সেটা প্রমাণ করতে পারিনি। ম্যাচে আমরা প্রচুর ভুল করেছি। খেলতে পারিনি সামর্থ্য অনুযায়ী। চেষ্টা করব ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত পরের রাউন্ডের খেলাগুলোতে জিততে।’ ফেনী সকারের নাইজিরিয়ান কোচ লাডি বাবা লোলা বলেন, ‘রেফারিং নিয়ে আমি সত্যিই হতাশ। আজকের ম্যাচসহ টানা তিন খেলাই আমরা একটি করে পেনাল্টি পেয়েছি। কিন্তু রেফারি একটাও দেয়নি। এতে আমরা জয়বঞ্চিত হয়েছি। আমরা ছোট দল বলেই কি এমনটা হচ্ছে?’
×