ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ

ইতিহাসের আলোয় ‘অলিম্পিক’ গেমস

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩ আগস্ট ২০১৬

ইতিহাসের আলোয় ‘অলিম্পিক’ গেমস

সে অনেক অনেক বছর আগের কথা। প্রাগৈতিহাসিক যুগ পেরিয়ে তখন সবে আর্য সভ্যতা বিস্তৃত হচ্ছে। তখন মানুষের বিনোদন বা খেলা অথবা জীবিকা নির্বাহের মাধ্য ছিল তীর-ধনুক দিয়ে পাহাড়ে জীব-জন্তু শিকার করা, হিংস্র জীব-জন্তুর হাত থেকে দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করা, নদী বা সমুদ্রে মাছ মারা। তার জন্য সাঁতার শেখা। আর্য সভ্যতার বিস্তৃতির ফলে মানুষ উন্নত জীবনে প্রবেশ করতে থাকে। ঘর বাঁধতে শেখে, রান্না করতে শেখে, প্রচলন হয় বিয়ের। বিয়ের কারণে সন্তান উৎপাদন, সংসার করা এসব মানুষের জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ে। বিয়ের সময় উৎসবের অংশ হিসেবে লোকগান-নাচের পাশাপাশি শারীরিক কসরত, অস্ত্রচালনা, কুস্তিসহ বিভিন্ন বিনোদনের প্রথা প্রচলিত হয়। এসব দৌড়ঝাঁপ, সাঁতার, বর্ষা নিক্ষেপ, কুস্তিই পরবর্তীতে আজকের খেলায় পরিণত হয়। আটলান্টার স্কাইরোজের রাজকুমারীর স্বয়ম্বরা সভায় এ্যাপোলো ও হায়ান্থিসের ‘কোয়েট’ প্রতিযোগিতার কথা অনেকের জানা। এটি ছিল একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সে সময়ের মহাকাব্য, উপকথা ও গীতি কবিতায় এসব তথ্য জানা যায়। ক্রীড়া গবেষকদের মতে, খ্রিস্টের জন্মের এক হাজারের আগে গ্রিসের রাজা মাইনোসের রাজপ্রাসাদের দেয়ালে অনেক খেলার ছবি দেখা যায়। একটি ছবিতে ষাড়ের দৌড়ের চিত্র দেখা যায়। এ রকম আরও অনেক খেলার ছবি সেখানে দেখতে পাওয়া যায়। আর্য সভ্যতাকে পূর্ণতা দেয় গ্রীক সভ্যতা। তখনকার গ্রীস ছিল তিন দিকে সমুদ্রবেষ্টিত পাহাড় আর জঙ্গলে ভরা। আর্য সভ্যতার হাত ধরে গ্রীকরাই প্রথম সভ্যতার আলোয় স্নান করে। গ্রীকরা ছিল উৎসবমুখর জাতি। সারা বছরজুড়ে গ্রীসে মেলা লেগেই থাকত। তখন গ্রীসে ‘প্যানোগারিস’ নামে একটি মেলা হত। সেখানে নাচ-গানের পাশাপাশি রথ চালনা, খালি হাতে মুষ্টিযুদ্ধ, ভারি পাথর ছোড়া, বর্শা নিক্ষেপ, কুস্তিসহ বিভিন্ন খেলারও আয়োজন থাকত। রথের মেলা, পূজা, বর্ষবরণসহ বিভিন্ন উৎসবেও মেলা অবধারিত ছিল। এসব খেলা নিয়েই গ্রীসে একসময় আয়োজন করা হয় ‘হেলেনিক ন্যাশনাল গেমস’র। যা পরবর্তীতে অলিম্পিয়াড ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অন্যতম স্থান দখল করে নেয়। অলিম্পিয়া ছিল গ্রীসের একটি নগরীর নাম। যেখানে জিউস দেবের মন্দির ছিল। অলিম্পিয়া কথাটি এসেছে অলিম্পাস থেকে। যার অর্থ ‘স্বর্গ বা দেবতালয়’। গ্রীকরা তখন মূর্তি পূজা করত। মহাকবি হোমারের মহাকাব্যে উল্লেখ আছে, নিজেদের ভাগ্য বদলের জন্য গ্রীকরা জিউস দেবকে খুশি করার জন্য পূজার পাশাপাশি নাচ-গান ও খেলাধুলারও আয়োজন করত। গ্রীসে তখন চারটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রচলিত ছিল। জিউস দেবতার সম্মানে অলিম্পিয়া মাঠে ‘অলিম্পিক’ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পসিডন দেবতার সম্মানে কোরিন্থযোজ মাঠে ‘ইসথমিয়ান’ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ডেলফির এ্যাপোলো দেবতার সম্মানে ‘পাইথিয়ান’ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও নেম্যান দেবতার সম্মানে আর্গেলিস মাঠে ‘নেম্যান’ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। প্রতি অলিম্পিয়াডের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বছরে গ্রীষ্ম ও বসন্তে ‘অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হতো। ইসথমিয়ান, পাইথিয়ান, নেম্যান ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা এই অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিত। একটা সময় ইসথমিয়ান, পাইথিয়ান, নেম্যান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বিলুপ্ত হয়ে যায়। টিকে থাকে একমাত্র অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। শুধু গ্রিস নয়, আস্তে আস্তে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়ার খেলোয়াড়রাও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে থাকে। কবে প্রথম অলিম্পিকের সূচনা হয়েছিল তা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। ক্রীড়া গবেষকরা নিজেরাই দ্বিধাবিভক্ত। অনেকে মনে করেন, রাজা ক্রোনানের বিরুদ্ধে জিউস দেবের বিজয় উদ্যাপনের যে অনুষ্ঠান হয় তার মাধ্যমে প্রাচীন অলিম্পিকের সূচনা। আবার অনেকে মনে করেন, টিটিয়ানদের বিরুদ্ধে জিউস দেবের বিজয় উদ্যাপনের যে অনুষ্ঠান হয় তার মাধ্যমে অলিম্পিক যাত্রা শুরু করে। আবার কারও কারও মতে, এ্যাপোলো দেবের বিরুদ্ধে হারকিউলিস যুদ্ধ বিরতি দিয়ে ১২টি শর্ত পূরণ করে বিজয় লাভ করে। বিজয় উদ্যাপনের যে অনুষ্ঠান হয় তার মাধ্যমে অলিম্পিকের পথচলা শুরু। অন্য একদল ক্রীড়াগবেষক মনে করেন, রাজা আগোয়াসকে সম্মুখ যুদ্ধে হারিয়ে হারকিউলিসের বিজয় উৎসবের মাধ্যমে অলিম্পিকের সূচনা। সে যাই হোক, যদ্দুর জানা যায় খ্রিস্টের জন্মের এক হাজার বছর আগে প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়ার সূচনা হয়। তবে তখনকার সেসব ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কোন তথ্য সংরক্ষণ করা হত না। খ্রিস্টের জন্মের ৮৮৪ বছর আগে একবার গ্রিসে মহামারী দেখা দিলে রাজা এলিস তখন জিউস দেবের সন্তুষ্টির জন্য অলিম্পিয়া মাঠে ২২ জুলাই একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা অলিম্পিয়াডের আয়োজন করেন। সে সময়ে ৫ দিন ধরে সে অলিম্পিয়াড চলে। সে অলিম্পিয়াডে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সঙ্গে নাচ-গান ও পূজা চলে। খেলোয়াড়, কোচ ও জাজেরা খেলার আগে জিউস দেবের মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনার পর মাঠে নামেন। যদিও দার্শনিক এ্যারিস্টোটলের বইয়ে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৭৭৬ এ হেরা দেবীর মন্দিরে তিনি একটি ডিসকাস থ্রোর মূর্তি দেখেছিলেন। এ সময় থেকেই অলিম্পিয়াডের বর্ষ গোনা শুরু হয়। ধারণা করা হয়, অলিম্পিয়াডের প্রথম খেলা ছিল দৌড় প্রতিযোগিতা। এরপর দিনে দিনে লং জাম্প, হাই জাম্প, পোলভল্ট, মুষ্টিযুদ্ধ, পেন্টথলন, অশ্বচালনা, সাঁতার, অন্য খেলা যোগ হতে থাকে। ক্রিস্টের জন্মের ৭৭৬ বছর আগে যে অলিম্পিয়াডের সূচনা হয়েছিল তা চলে দীর্ঘদিন ধরে। প্রাচীন এই অলিম্পিয়াড গ্রিসকে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সভ্যতায় এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার, লুণ্ঠন, হত্যা, নারী নির্যাতন ও গ্রীকবাসীকে ধরে নিয়ে ক্রীতদাসে পরিণত করার পরিণতি গ্রীক ইতিহাসে ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর মেসোডোনিয়া ও এটোনিয়ানদের গৃহযুদ্ধ একটি বিশ্বজয়ী জাতিকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে তোলে। এ সময়ে রোমানরা শক্তির বিচারে গ্রীকদের ছাড়িয়ে যেতে থাকে। গ্রীকরা রোমানদের থেকে সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে। ফলে অলিম্পিয়াডেও রোমানরা নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট হয়। তারা নিয়ম ভেঙে পেশাদার প্রতিযোগী পাঠাতে থাকে। এ নিয়ে গ্রীসদের সঙ্গে রোমানদের বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। ফলে সে সময়ে প্রাচীন অলিম্পিক সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে রোম সম্রাটের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শিথিল হলেও অলিম্পিকের হৃৎগৌরব আর ফিরে আসেনি। ৩৯৩ সালে ২৯৩তম অলিম্পিয়াডে রোম সম্রাট প্রথম থিয়োডোসাসের এক কর্মচারীর সঙ্গে গ্রীক এ্যাথলেটদের মারামারির জের হিসেবে গ্রীসের সঙ্গে রোমের যুদ্ধ বেঁধে যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলে সে যুদ্ধ। ৪২৬ সালে রোমান সৈন্যরা অলিম্পিয়ায় জিউস দেবের মন্দির আক্রমণ করে জিউসের সোনার মূর্তি, ধন-রতœ, হাতির দাঁতের জিনিসপত্র লুট নিয়ে যায়। গ্রীকরাজের নির্দেশে সৈন্যরা অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামের চারদিকের প্রাচীর ভেঙে ফেলে। মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ৪৭৬ সালে এক ভয়াবহ অগ্নিকা-ে জিউস দেবের মন্দির আবারও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগেই প্রাচীন অলিম্পিক স্থায়িভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তার পরের ঘটনা আরও মর্মান্তিক। ৬ শতকে এক মারাত্মক ভূমিকম্পে অলিম্পিয়া শহর, জিউস দেবের মন্দির, মাঠ পানির নিচে তলিয়ে যায়। হারিয়ে যায় হাজার বছরের অলিম্পিকের চারণক্ষেত্র অলিম্পিয়া নগরী। যদিও পরে পলি পড়ে চর জাগলেও আর ফিরে আসেনি পৃথিবীর ক্রীড়া জগতের প্রাচীনতম পীঠস্থান অলিম্পিয়া মাঠ। একসময় তা পরিণত হয় গভীর জঙ্গলে ভরা হিংস্র জীবজন্তুর আশ্রয়স্থলে। ১৮৭৪ সাল। জার্মানির অর্কিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অলিম্পিয়ার মাঠ, বর-জঙ্গল খোঁড়ার কাজ শুরু করে। প্রায় ৭ বছর ধরে খনন কাজ চালিয়ে ১৮৮১ সালে প্রাচীন অলিম্পিকের অনেক নিদর্শন আবিষ্কার করে। যদিও এর আগে ১৮৫৮ সালে গ্রীস প্রথমবারের মতো ‘বেসরকারী অলিম্পিক প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করে আবার অলিম্পিককে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ শুরু করে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, তখন খেলার উপযুক্ত মাঠ না থাকায় প্রথম আয়োজনটা করা হয় এথেন্সের রাস্তায়। এ আয়োজনে ছিল ২০০ মিটার দৌড়, ডিসকাস থ্রো, দৌড় ও ইপস্টেপ জাম্প। এর ১২ বছর পর ১৮৭০ সালে দ্বিতীয় বেসরকারী অলিম্পিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় সেই এথেন্সে। জুলস নামের এক জার্মান এ আয়োজনের দায়িত্ব নেন। এবারে আগের খেলার সঙ্গে কুস্তি ও দড়ি টানাটানি যোগ হয়। এভাবে কয়েকটি আয়োজনের পর ফ্রান্সের ‘ব্যারন পিয়েরে দ্য কুবের্তিন’ অলিম্পিক নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি এ নিয়ে কাজ শুরু করেন ও অলিম্পিকের হাল ধরেন। বিশ্ব-ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করার লক্ষ্যে ১৮৮৪ সালে আধুনিক অলিম্পিক প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বছরই ‘আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি’ গঠিত হয়। কুবের্তিন তাঁর নিজস্ব পরিকল্পনায় আধুনিক অলিম্পিকের একটি খসড়া তৈরি করেন। তিনি বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপে শান্তি ও সৌহার্দ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১৮৮৯ সালে প্রাচীন অলিম্পিকের আদলে একটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৬ বছর। তিনি জনমত তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিরি ১৮৯২ সালে বিশ্ব দরবারে তাঁর পরিকল্পনার খসড়া পেশ করেন। তিনি বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য ১৯৯৩ সালে আমেরিকা সফর করেন। তিনি সানফ্রান্সিসকোর অলিম্পিক ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ১৯৯৪ সালের ১৬ জুন ১৪টি দেশের ৪৯টি ক্রীড়াসংস্থার ৭৯ জন প্রতিনিধি নিয়ে প্রথম অলিম্পিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে কুবের্তিনের খসড়া পরিকল্পনা গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত হয়, এটি হবে একটি অপেশাদার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ৪ বছর পরপর এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বায়ন করার লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া হবে। গ্রিসের দিমিত্রিস ভিকোলাস অলিম্পিকের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হন। তিনি ১৮৯৪ থেকে ‘৯৬ পর্যন্ত সভপাতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ফ্রান্সের ‘ব্যারন পিয়েরে দ্য কুবের্তিন’ সভাপতির দায়িত্ব পান। তাকে অলিম্পিকের জনক বলা হয়। তিনি ১৮৯৬ থেকে ১৯২৫ সাল পযন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বলতে গেলে তাঁর হাত ধরেই আধুনিক অলিম্পিকের বেকেুবেড় ওঠা। কুবের্তিনের ইচ্ছে ছিল ১৯০০ সালে আধুনিক অলিম্পিকের প্রথম আসর বসবে প্যারিসে। কিন্তু সভা তা মানেনি। সবার সিদ্ধান্ত হয়, যে গ্রীসে অলিম্পিকের সলিল সমাধি ঘটেছিল সেই গ্রীস থেকেই আবার যাত্রা শুরু হোক। ফলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ১৯৯৬ সালে গ্রীসের এথেন্সে বসবে আধুনিক অলিম্পিকের প্রথম আসর। ১৯৯৬ সালের ৬ এপ্রিল গ্রীসের এথেন্সে বসে আধুনিক অলিম্পিকের প্রথম আসর। চলে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এ দিনটি ছিল তুরস্ক সম্রাজ্য থেকে গ্রীসের বেরিয়ে আসার ৭৫তম দিবস। স্বাগতিক ফ্রান্স ছাড়াও আমেরিকা, রাশিয়া, জার্মানি, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, হাঙ্গেরি, ইতালি, স্পেন, বেজিয়াম ও বোহেমিয়া এই ১৪টি দেশ প্রথম অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে। অলিম্পিক সঙ্গীতের পর গ্রীসরাজ জর্জ প্রথম আধুনিক অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। ২৪১ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রথম অলিম্পিকে এ্যাথলেটিক্স (১০০, ৪০০, ৮০০, ১৫০০ মিটার দৌড়, ১১০ মি. হার্ডলস, হাই জাম্প, লং জাম্প, পোলভল্ট, ইপস্টেপ জাম্প, গোলক ও ডিসকাস থ্রো ও ম্যারাথন), জিমন্যাস্টিক, ওয়েটলিফটিং, রেসলিং, সাঁতার, টেনিস, সাইক্লিং, ফেন্সিং অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম গোল্ড পান টমাস বার্ক। আমেরিকা ১১টি স্বর্ণপদক, ৭টি রৌপ্য ও ২টি ব্রোঞ্জসহ মোট ২০টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান লাভ করে। স্বাগতিক গ্রিস ১০টি স্বর্ণপদক ৭টি রৌপ্য ও ১৯টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪৬টি পদক পেয়ে দ্বিতীয় স্থান ও জার্মানি ৬টি গোল্ড ৫টি রৌপ্য ও ২টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৪টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। কুবের্তিনের ইচ্ছের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১৯০০ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে আধুনিক অলিম্পিকের দি¦তীয় আসর বসে। যদিও এ আয়োজন ছিল অগোছালো ও অসংগঠিত। এ অলিম্পিকে ২৪টি দেশের ৯৭৫ জন পুরষ ও ২২ জন মহিলাসহ ৯৯৭ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৯টি গেমসের ৮৫টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভূক্ত হয়। স্বাগতিক ফ্রান্স ২৬টি স্বর্ণপদক, ৪১টি রৌপ্য ও ৩৪টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০১টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, যুক্তরাষ্ট্র্র ১৯টি স্বর্ণপদক ১৪টি রৌপ্য ও ১৪টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪৭টি পদক পেয়ে দ্বিতীয় স্থান ও গ্রেট ব্রিটেন ১৫টি গোল্ড ৬টি রৌপ্য ও ৯টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩০টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯০৪ সালেও ১ জুলাই আমেরিকার সেন্ট লুইতে অলিম্পিকের তৃতীয় আসর বসে। রাশিয়া ও জাপানের যুদ্ধের কারণে এ অলিম্পিক ততটা জমেনি। এ অলিম্পিকে ১২টি দেশের ৬৪৫ জন পুরুষ ও ৬ জন নারীসহ ৬৫১ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৬টি গেমসের ৯৬টি ইভেন্টে এ প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। অন্য মহাদেশ থেকে গিয়ে আমেরিকায় কেউ ভাল করতে পারেনি। একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়ে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র্র ৭৮টি স্বর্ণপদক, ৮২টি রৌপ্য ও ৭৯টি ব্রোঞ্জসহ মোট ২৩৯টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, র্জামানি ৪টি স্বর্ণপদক ৪টি রৌপ্য ও ৫টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১৩টি পদক পেয়ে দ্বিতীয় স্থান ও কিউবা ৪টি গোল্ড ২টি রৌপ্য ও ৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৯টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯০৬ সালের ২২ এপ্রিল গ্রীসের এথেন্সে অলিম্পিকের আদলে প্যান হেল্লেনিক গেমসের আসর বসে। গ্রীস আবার অলিম্পিকের আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা করতে না দিয়ে অলিম্পিকের আদলে প্যান হেল্লেনিক গেমসের আসর আয়োজনের সুযোগ দেয়া হয়। এ প্রতিযোগিতায় ২০টি দেশের ৮৪৮ জন পুরুষ ও ৬ জন নারীসহ ৮৫৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। ১৩টি খেলার ৭৮টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। ফ্রান্স ১৫টি স্বর্ণপদক ৯টি রৌপ্য ও ১৬টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪০টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, যুক্তরাষ্ট্র্র ১২টি স্বর্ণ ৬টি রৌপ্য ও ৬টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ২৫টি পদক পেয়ে দ্বিতীয় স্থান ও গ্রিস ৮টি গোল্ড ১৩টি রৌপ্য ও ১৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩৪টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯০৮ সালের ২৭ এপ্রিল গ্রেট ব্রিটেনের লন্ডনে অলিম্পিকের চতুর্থ আসর বসে। অলিম্পিকের আসর যাতে সামারেই বসে তা নিয়ে শুরু থেকেই আন্দোলন চলে আসছিল। এ প্রতিযোগিতার আগে সেটা জোরদার হয়। এ অলিম্পিকে এ্যাথলেটরা নিজ দেশের পতাকা নিয়ে মার্চপাস্ট করে। হোয়াইট সিটি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। এ অলিম্পিকে ২২টি দেশের ১৯৭১ জন পুরুষ ও ৩৭ জন মহিলাসহ ২০০৮ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২২টি গেমসের ১১০টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। গ্রেট ব্রিটেন ৫৬টি স্বর্ণ ৫১টি রৌপ্য ও ৩৯টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১৪৬টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, যুক্তরাষ্ট্র্র ২৩টি গোল্ড ১২টি রৌপ্য ও ১২টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪৭টি ২২টি স্বর্ণ পেয়ে দ্বিতীয় স্থান ও সুইডেন ৮টি গোল্ড ৫টি রৌপ্য ও ১১টি ব্রোঞ্জসহ মোট ২৫টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯১২ সালের ৬ জুলাই সুইডেনের স্টকহোমে অলিম্পিকের পঞ্চম আসর বসে। এটি ছিল পেছনের সবগুলো অলিম্পিকের মধ্যে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, সুপরিকল্পিত ও গোছালো আসর। এ অলিম্পিকে ২৮টি দেশের ২৩৫৮ জন পুরুষ ও ৪৭ জন নারী এ্যাথলেটসহ ২৪০৬ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৪টি গেমসের ১০২টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্র্র ২৫টি স্বর্ণ ১৯টি রৌপ্য ও ১৯টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ৬৩টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, স্বাগতিক সুইডেন ২৪টি গোল্ড ২৪টি রৌপ্য ও ১৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৬৫টি এবং গ্রেট ব্রিটেন ১০টি গোল্ড ১৫টি রৌপ্য ও ১৫টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪১টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯১৬ সালে অলিম্পিকের ৬ষ্ঠ আসর জার্মানিতে বসার কথা থাকলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে বসেনি। ১৯২০ সালের ৩০ আগস্ট অলিম্পিকের সপ্তম আসর বসে বেলজিয়ামের এন্টায়ার্পে। যদিও ১৯১৩ সালে বার্নোপায়রি কোয়ার্তিন অলিম্পিকের প্রতীক বা লোগো তৈরি করেন। ৫টি যুক্ত বৃত্ত বা রিং অলিম্পিকের প্রতীক বা লোগো। যুক্ত ৫টি বৃত্ত বা রিং দিয়ে ‘বিশ্ব মানবতা, ভ্রাতৃত্ব, সংহতি ও একাত্মতা’ বোঝানো হয়েছে। ১৯২০ সালের ১৪ আগস্ট বেলজিয়ামের এন্টায়ার্প অলিম্পিকে সে লোগোর প্রচলন করা হয়। অলিম্পিক পতাকার ভাবনাও প্রথম অলিম্পিকের জনক ব্যারন পিয়ের দ্য কুবার্তের মাথায় আসে। তৈরি হয়ে যায় অলিম্পিক পতাকা। অলিম্পিক পতাকার রঙ পাঁচটি বৃত্তের রঙ অনুসারে করা হয় লাল, নীল, সবুজ, হলুদ ও কালো। বেলজিয়াম অলিম্পিকে প্রথম অলিম্পিক পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ অলিম্পিকে এ অলিম্পিকে ২৯টি দেশের ২৫৬১ জন পুরুষ ও ৬৫ জন নারী এ্যাথলেটসহ ২৬২৬ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২২টি গেমসের ১৫৬টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্র্র ৪১টি স্বর্ণ ২৭টি রৌপ্য ও ২৭টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ৯৫টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, সুইডেন ১৯টি গোল্ড ২০টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৬৪টি এবং গ্রেট ব্রিটেন ১৫টি গোল্ড ১৫টি রৌপ্য ও ১৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪৩টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯২৪ সালের ৪ মে অলিম্পিকের অষ্টম আসর বসে ফ্রান্সের প্যারিসে। এটি প্যারিসের দ্বিতীয়বারের মতো অলিম্পিক আযোজন। এর আগে ১৯০০ সালে প্যারিস দ্বিতীয় অলিম্পিক আয়োজন করে। এ অলিম্পিকে ৪৪টি দেশের ২৯৫৪ জন পুরুষ ও ১৪৫জন নারী এ্যাথলেটসহ ৩০৮৯ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ফ্রান্সের রাষ্টপ্রতি গ্যাস্টোন এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। ১৭টি গেমসের ১২৬টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এই আসরে ফিনল্যান্ডের ফ্লাইং ফিন প্যাতো রুর্মি একাই ৪টি স্বর্ণপদক লাভ করে অলিম্পিকটাকে নিজের করে নেন। এই আসরে ২২টি ফুটবল দল অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্র্র ৪৫টি স্বর্ণ ২৭টি রৌপ্য ও ২৭টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ৯৯টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, ফিনল্যান্ড ১৪টি গোল্ড ১৩টি রৌপ্য ও ১০টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩৭টি এবং ফ্রান্স ১৩টি গোল্ড ১৫টি রৌপ্য ও ১০টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩৮টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯২৮ সালের ২৯ জুলাই অলিম্পিকের নবম আসর বসে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে। এ অলিম্পিকে ৪০টি দেশের ৭০৬ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৭টি খেলা এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এই আসর সবদিক থেকে পূর্ণতা পায়। যুক্তরাষ্ট্র্র ৯টি স্বর্ণ ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ২৫টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, ফিনল্যান্ড ৫টি গোল্ড ৫টি রৌপ্য ও ৪টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৪টি এবং কানাডা ৪টি গোল্ড ২টি রৌপ্য ও ২টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৮টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৩২ সালের ৩০ জুলাই অলিম্পিকের দশম আসর বসে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার লসএঞ্জলসে। এ অলিম্পিকে ৩৭টি দেশের ১২০৬ জন পুরুষ ও ১২৬ জন নারী এ্যাথলেটসহ ১৩৩২ জন প্রতিযোগী (১২৬ জন মহিলাসহ) এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৭টি খেলা এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এই আসরে অলিম্পিকের সভাপতি কুবার্তিন অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। নতুন সভাপতি হন বেলজিযামের কাউন্ট অঁরি দ্য বাঈ লাটু। রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির উদ্বোধন করার কথা থাকলেও এ অলিম্পিকে প্রথা ভেঙে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্লোস কার্টিস উদ্বোধন করেন। এ অলিম্পিকে ভারতের হকি দল চ্যাম্পিয়ন হয়। যুক্তরাষ্ট্র্র ৪১টি স্বর্ণ ৩২টি রৌপ্য ও ৩০টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১০৩টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, ইতালি ১২টি গোল্ড ১২টি রৌপ্য ও ১২টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩৬টি এবং ফ্রান্স ১০টি গোল্ড ৫টি রৌপ্য ও ৪টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৯টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৩৬ সালের ১ আগস্ট অলিম্পিকের একাদশ আসর বসে জার্মানির বার্লিনে। এ অলিম্পিকে ৪৯টি দেশের ৩৬৩২ জন পুরুষ ও ৩৩১ জন মহিলাসহ ৩৯৬৩ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৯টি গেমসের ১২৯টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। জার্মানির চ্যান্সেলর রুডলফ হিটলার এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। জার্মানি ৩৩টি স্বর্ণ ২৬টি রৌপ্য ও ৩০টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ৮৯টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, যুক্তরাষ্ট্র্র ২৪টি গোল্ড ২০টি রৌপ্য ও ১২টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৫৬টি এবং হাঙ্গেরি ১০টি গোল্ড ১টি রৌপ্য ও ৫টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৬টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪০ ও ‘৪৪ সালে অলিম্পিকের ১২তম ও ১৩তম আসর বসতে পারেনি। ১৯৪৮ সালের ১ আগস্ট অলিম্পিকের ১৪তম আসর বসে লন্ডনে। এটি লন্ডনের দ্বিতীয়বার আয়োজন। বিশ্বযুদ্ধ না হলে এ অলিম্পিকের আসর বসার কথা ছিল এশিয়ায়। অলিম্পিকে ৫৯টি দেশের ৩৭১৪ জন পুরুষ ও ৩৯০ জন মহিলাসহ ৪১০৪ প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৭টি খেলার ১৩৬টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। রাজা জর্জ এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। যুক্তরাষ্ট্র্র ৩৮টি স্বর্ণ ২৭টি রৌপ্য ও ১৯টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ৮৪টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, সুইডেন ১৬টি গোল্ড ১১টি রৌপ্য ও ১৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪৪টি এবং ফ্রান্স ১০টি গোল্ড ৬টি রৌপ্য ও ১৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ২৯টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৫২ সালের ১৯ জুলাই অলিম্পিকের ১৫তম আসর বসে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে। রাশিয়া ১৯১২ সালের পর আবার অংশগ্রহণ করে। এই অলিম্পিককে বলা হয় জ্যাটোপেকের অলিম্পিক। চেক এ খেলোয়াড় ৫ হাজার, ১০ হাজার মিটার ও ম্যারাথনেও গোল্ড পান। অলিম্পিকে ৬৯টি দেশের ৪৪৩৬ জন পুরুষ ও ৫১৯ নারী এ্যাথলেটসহ ৪৯৫৫ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৭টি খেলার ১৪৯টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট জুহো পাসিকিভি এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। যুক্তরাষ্ট্র্র ৪০টি স্বর্ণ ১৯টি রৌপ্য ও ১৭টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১৭৬টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ২২টি গোল্ড ৩০টি রৌপ্য ও ১৯টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৭১টি হাঙ্গেরি ১৬টি গোল্ড ১০টি রৌপ্য ও ১৬টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪২টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৫৬ সালের ২২ নবেম্বর সামার অলিম্পিকের ১৬তম আসর বসে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। অলিম্পিকে ৭২টি দেশের ২৯৩৮ জন পুরুষ ও ৩৭৬ জন নারীসহ ৩৩১৪ জন এ্যাথলেট এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৭টি খেলার ১৩৬টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়। ডিউক অব এডিনবার্গ এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ৩৭টি স্বর্ণ ২৯টি রৌপ্য ও ৩২টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ৯৮টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, যুক্তরাষ্ট্র্র ৩২টি গোল্ড ২৫টি রৌপ্য ও ১৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৭৪টি এবং অস্ট্রেলিয়া ১৩টি গোল্ড ৮টি রৌপ্য ও ১৪টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩৫টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৬০ সালের ২৫ আগস্ট সামার অলিম্পিকের ১৭তম আসর বসে ইতালির রোমে। এ অলিম্পিকে ইথিপিয়ার আবেবে বিকেলে ম্যারাথনে খালি পায়ে দৌঁড়ে শিরোপা জিতে বিস্ময়ের সৃষ্ট করেন। মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি এ অলিম্পিকে লাইট ওয়েটে স্বর্ণ জয় করেন। অলিম্পিকে ৮৩টি দেশের ৪৪২৭ জন পুরুষ ও ৬১১ জন মহিলাসহ ৫৩৩৮ জন এ্যাথলেট এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৭টি খেলার ১৫০টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়। প্রেসিডেন্ট জিওভানি এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ৪৩টি স্বর্ণ ২৯টি রৌপ্য ও ৩১টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১০৩টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, যুক্তরাষ্ট্র্র ৩৪টি গোল্ড ২১টি রৌপ্য ও ১৬টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৭১টি এবং ইতালি ১৩টি গোল্ড ১০টি রৌপ্য ও ১৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩৬টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৬৪ সালের ১০ অক্টোবর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ১৮তম আসর বসে এশিয়ার জাপানের টোকিওতে। যদিও ১৯৪০ সালেই এশিয়ায় অলিম্পিকের আসর বসার কথা ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বসতে পারেনি। তাই এটাই এশিয়ায় প্রথমবারের মতো অলিম্পিকের আসর। অলিম্পিকে ৯৩টি দেশের ৪৪৭৩ জন পুরুষ ও ৬৭৮ জন মহিলাসহ ৫১৫১ জন এ্যাথলেট এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৯টি খেলার ১৬৩টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়। জাপানের এম্পায়ার সওয়া এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। যুক্তরাষ্ট্র্র ৩৬টি স্বর্ণ ২৬টি রৌপ্য ও ২৮টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ৯০টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ৩০টি গোল্ড ৩১টি রৌপ্য ও ৩৫টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৯৬টি এবং স্বাগতিক জাপান ১৬টি গোল্ড ৫টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জসহ মোট ২৯টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ১৯তম আসর বসে মেক্সিকোতে। সমুদ্র থেকে প্রায় ৮ হাজার ফুট উঁচু এই শহরে কেনিয়ার এ্যাথলেটরা সাফল্য পান। অলিম্পিক চলাকালে মেক্সিকোতে ছাত্র আন্দোলন চললে সরকার তা কফোর হাতে দমন করেন। এ কারণে নোবেল পাওয়া কবি অক্টাভিও পাজ এ অলিম্পিক বর্জন করেন। অলিম্পিকে ১১২টি দেশের ৪৭৩৫ পুরুষ ও ৭৮১ মহিলাসহ ৫৫১৬ জন এ্যাথলেট এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৮টি গেমসের ১৭২টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট গ্যাস্টাভ দিয়াজ এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। যুক্তরাষ্ট্র্র ৪৫টি স্বর্ণ ২৮টি রৌপ্য ও ৩৪টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১০৭টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ২৯টি গোল্ড ৩২টি রৌপ্য ও ৩০টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৯১টি এবং স্বাগতিক জাপান ১১টি গোল্ড ৭টি রৌপ্য ও ৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ২৫টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৭২ সালের ২৬ আগস্ট সামার অলিম্পিকের ২০তম আসর বসে জার্মানির মিউনিখে। এর আগে ১৯৩৬ সালে জার্মানির বার্লিনে অলিম্পিকের আসর বসে। সন্ত্রাসী তৎপরতায় ২১জন ইসরাইলি এ অলিম্পিকে মারা যায়। অলিম্পিকে ৯২টি দেশের ৬০৭৫ জন পুরুষ ও ১০৫৯ জন মহিলাসহ ৭১৩৪ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২১টি খেলার ১৯৫টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভ হ্যানিম্যান এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ৫০টি স্বর্ণ ২৭টি রৌপ্য ও ২২টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ৯৯টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, যুক্তরাষ্ট্র্র ৩৩টি গোল্ড ৩১টি রৌপ্য ও ৩০টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৯৪টি এবং পূর্ব জার্মানি ২০টি গোল্ড ২৩টি রৌপ্য ও ২৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৬৬টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সামার অলিম্পিকের ২১তম আসর বসে কানাডার মন্ট্রিলে। অলিম্পিকে ৯২টি দেশের ৪৮২৪ জন পুরুষ ও ৬১১ জন মহিলাসহ মোট ৬০৮৪ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২১টি খেলার ১৯৮টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। কুইন এলিজাবেথ এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ৪৯টি স্বর্ণ ৪১টি রৌপ্য ও ৩৫টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১২৫টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, পূর্ব জার্মানি ৪০টি গোল্ড ২৫টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৯০টি এবং যুক্তরাষ্ট্র্র ৩৪টি গোল্ড ৩৫টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৯৪টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৮০ সালের ৩ আগস্ট সামার অলিম্পিকের ২২তম আসর বসে রাশিয়ার মস্কোয়। অলিম্পিকে ৮০টি দেশের ৪০৬৪ জন পুরুষ ও ৬১১ জন মহিলাসহ ৫১৭৯ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২১টি খেলার ২০৩টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান অব দ্য সুপ্রিম সোভিয়েত ইউনিয়ন ব্রেজনেভ এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ৮০টি স্বর্ণ ৬৯টি রৌপ্য ও ৪৬টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১৯৫টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, পূর্ব জার্মানি ৪৭টি গোল্ড ৩৭টি রৌপ্য ও ৪২টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১২৬টি এবং বুলগেরিয়া ৭টি গোল্ড ১৬টি রৌপ্য ও ১৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪১টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৮৪ সালের ২৮ জুলাই সামার অলিম্পিকের ২৩তম আসর বসে আমেরিকার লসএঞ্জেলসে। অলিম্পিকে ১৪০টি দেশের ৫২৬৩ জন পুরুষ ৬১১ জন মহিলাসহ ৬৮২৯ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২১টি খেলার ২২১টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। যুক্তরাষ্ট্র ৮৩টি স্বর্ণ ৬১টি রৌপ্য ও ৩০টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১৭৪টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, রুমানিয়া ২০টি গোল্ড ১৬টি রৌপ্য ও ১৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৫৩টি এবং প. জার্মানি ১৭টি গোল্ড ১৯টি রৌপ্য ও ২৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৫৯টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সামার অলিম্পিকের ২৪তম আসর বসে দ. কোরিয়ার সিউলে। অলিম্পিকে ১৫৯টি দেশের ৬১৯৭ জন পুরুষ ও ২১৯৪ জন মহিলাসহ ৮৩৯১ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২৩টি খেলার ২৩৭টি ইভেন্ট এ প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট রো টি উ এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ৫৫টি স্বর্ণ ৩১টি রৌপ্য ও ৪৬টি ব্রোঞ্জসহ মাত্র ১৩২টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, পূর্ব জার্মানি ৩৭টি গোল্ড ৩৪টি রৌপ্য ও ৩০টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০২টি এবং যুক্তরাষ্ট্র ৩৬টি গোল্ড ৩১টি রৌপ্য ও ২৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৯৪টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৯২ সালের ২৫ জুলাই সামার অলিম্পিকের ২৫তম আসর বসে স্পেনের বার্সেলোনায়। এ অলিম্পিকে ইথিপিয়ার আবেবে বিকেলে ম্যারাথনে খালি পায়ে দৌড়ে শিরোপা জিতে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেন। মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি এ অলিম্পিকে লাইট ওয়েটে স্বর্ণ জয় করেন। অলিম্পিকে ১৬৯টি দেশের ৬৬৫২ জন পুরুষ ও ২৭০৪ জন মহিলাসহ ৯৩৫৬ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। কিং জুয়ান কার্লোস এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। ২৫টি খেলার ২৫৭টি ইভেন্টে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ইনফিল্যান্ড ৪৫টি স্বর্ণ ৩৮টি রৌপ্য ও ২৯টি ব্রোঞ্জসহ ১১২টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, যুক্তরাষ্ট্র ৩৭টি গোল্ড ৩৪টি রৌপ্য ও ৩৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০৮টি এবং জার্মানি ৩৩টি গোল্ড ২১টি রৌপ্য ও ২৮টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৮২টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ১৯৯৬ সালের ১৯ জুলাই সামার অলিম্পিকের ২৬তম আসর বসে আটলান্টায়। অলিম্পিকে ১৯৭টি দেশের ৬৭৯৭ জন পুরুষ ও ৩৫২৩ জন মহিলাসহ ১০৩২০ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২৬টি গেমসের ২৭১টি ইভেন্টে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। যুক্তরাষ্ট্র ৪৪টি স্বর্ণ ৩২টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জসহ ১০১টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, রাশিয়া ২৬টি গোল্ড ২১টি রৌপ্য ও ১৬টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৬৩টি এবং জার্মানি ২০টি গোল্ড ১৮টি রৌপ্য ও ২৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৬৫টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ২০০০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অলিম্পিকের ২৭তম আসর বসে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অলিম্পিকে ১৯৯টি দেশের ৬৫৮২ জন পুরুষ ও ৪০৬৯ জন মহিলাসহ মোট ১০৬৫১ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২৯টি খেলার ৩০০টি ইভেন্টের এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সিডনির গবর্নর জেনারেল স্যার উইলিয়াম ডেন এ অলিম্পিকের উদ্বোধন করেন। যুক্তরাষ্ট্র ৩৭টি স্বর্ণ ২৪টি রৌপ্য ও ৩২টি ব্রোঞ্জসহ ৯৩টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান, রাশিয়া ৩২টি গোল্ড ২৮টি রৌপ্য ও ২৯টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৮৯টি এবং চীন ২৮টি গোল্ড ১৬টি রৌপ্য ও ১৪টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৫৮টি পদক পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ২০০৪ সালের ১৩ আগস্ট সামার অলিম্পিকের ২৮তম আসর গ্রীসের এথেন্সে। অলিম্পিকে ২০১টি দেশের ৬২৯৬ জন পুরুষ ও ৪৩২৯ জন মহিলাসহ মোট ১০৬২৫ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২৮টি খেলার ৩০১টি ইভেন্টে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রীসের প্রেসিডেন্ট এ অলিম্পিকের উদ?
×