ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে গৃহবধূকে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৩ আগস্ট ২০১৬

কক্সবাজারে গৃহবধূকে বেঁধে নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ পেকুয়া সদর বলির পাড়ায় অনৈতিক কর্মের অভিযোগ তুলে গৃহবধূকে পাশের পাড়ার এক অবিবাহিত যুবকের সঙ্গে দড়ি বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ওই গৃহবধূকে চালানো হয়েছে এ নির্যাতন। শুধু তাই নয়, ওই মহিলাকে শারীরিকভাবে মারধরও করা হয়েছে। জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তির কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ এনেছে বলে নির্যাতিত মহিলার দাবি। নির্যাতনের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে ওই নারীর মানহানিও করা হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। তিন সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানায়, পেকুয়া সদর দক্ষিণ মেহের নামার বলির পাড়ার মৃত কেরামত আলীর পুত্র মোহাম্মদ শরিফ সাড়ে তিন বছর আগে মালয়েশিয়া চলে যান। শরিফের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই নারী বর্তমানে তিন সন্তানের জননী। শরিফ মালয়েশিয়া যাওয়ার পর থেকে এলাকার কিছু লোক তার সঙ্গে নানাভাবে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। সর্বশেষ ষড়যন্ত্রকারীরা কৌশলে ওই নারীকে ডেকে এনে পাশের গ্রাম মোরার পাড়ার ফজল আমিনের পুত্র মোহাম্মদ আপেলকে দড়ি দিয়ে বাঁধে জনসম্মুখে নিয়ে যায়। ওসময় তাদের অনৈতিক সম্পর্কের অপবাদ দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ আরও কিছু বখাটে তাদের শারীরিক নির্যাতন করে। এ অবস্থায় তাকে সোমবার ঘর থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। নির্যাতন চলাকালে বখাটে ইব্রাহিম খলিল আক্রান্ত নারী ও যুবক আপেলকে কোমরে এক দড়িতে বেঁধে নির্যাতনের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে। এলাকাবাসী জানায়, অনৈতিক অপবাধের খবরটি মালয়েশিয়ায় তার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে ওই নারীর সংসার ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের জঙ্গীবিরোধী মানববন্ধন সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে অধিদফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গী হামলার এক মাসপূর্তিতে জঙ্গীবাদবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, সারাদেশে জঙ্গীবাদবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসক সমাজসহ স্বাস্থ্য সেক্টরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দায়িত্ব নিতে হবে। এ সময় ডাঃ মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, তানভীর শাকিল জয়, ডাঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, ডাঃ জাফরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। -বিজ্ঞপ্তি
×