ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় হ্যান্ডকাফ পরা আসামির পলায়ন

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৩ আগস্ট ২০১৬

বগুড়ায় হ্যান্ডকাফ পরা আসামির পলায়ন

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ মঙ্গলবার দুপুরে ধুনট থানা পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় হত্যা মামলার সন্দেহজনক এক অভিযুক্ত পালিয়ে গেছে। তার নাম আনিসুর রহমান। পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক। বাড়ি ধুনটের বানিয়াগাতি গ্রামে। গত ৩ জুলাই ধুনটের গোপালনগর ইউনিয়নের কাজী মতিউর রহমানকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে। এই মামলার সন্দেহজনক অভিযুক্ত ছিল আনিসুর রহমান। সোমবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে ধুনট থানায় আনা হয়। মঙ্গলবার সকালে ধুনট থানার ২ জন কনস্টেবল তাকে নিয়ে অটোরিকশায় বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হয়। সড়ক পথে বগুড়ার কাছাকাছি লিচুতলা এলাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরানোর জন্য অটোরিকশা দাঁড়ায়। এ সময় হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় কৌশলে পালিয়ে যায় আনিসুর রহমান। নির্যাতনের শব্দ শুনিয়ে ঘুষ দাবি ॥ এসআই ক্লোজড স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ গ্রেফতারকৃত এক আসামিকে অমানুষিক নির্যাতন করার শব্দ তার স্বজনদের মোবাইল ফোনে শুনিয়ে ঘুষ দাবি করার অভিযোগে পুলিশের এসআই আব্দুল মান্নানকে ক্লোজ করা হয়েছে। সোমবার রাতে অভিযুক্ত এসআইকে থানা থেকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এসআই আব্দুল মান্নান বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। ক্লোজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আব্দুল রউফ জানান, এসআই মান্নানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক আসামির পরিবার। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এসআই আব্দুল মান্নানকে ক্লোজ করা হয়েছে। অপরদিকে গ্রেফতার হওয়া আসামি শাহাদাত হোসেন শৈশবের (২২) বোন সুইটি বেগম জানান, একটি মারামারির মামলার আসামি শৈশব। গত রবিবার দুপুরে তাকে (শৈশব) নগরীর গোরস্তান রোডের নিজ বাসা থেকে এসআই মান্নান গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তিনিসহ স্বজনেরা থানায় গেলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এসআই আব্দুল মান্নান থানা থেকে বের করে দেন। কিছু সময় পর (০১৬২৩-৩০২০৬৬) নম্বর মোবাইল ফোন থেকে তাদের কাছে ফোন করে অমানুষিক নির্যাতনের ফলে শৈশবের আর্তনাদ ও চিৎকার শুনানো হয়। এরপর নির্যাতন বন্ধের জন্য তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দাবি করে এসআই মান্নান। সুন্দরবন বস্ত্রকলে শ্রমিক ধর্মঘট অব্যাহত স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ মজুরি বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিক ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে সুন্দরবন বস্ত্রকল। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কাজে যোগ না দিয়ে আবারও মিলের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এ সময় তারা তাদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানায়। এছাড়া ঈদ বোনাসসহ প্রতিমাসের মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন ভাতা প্রদান ও মিলের টেকনিক্যাল ম্যানেজার খলিলুর রহমানের অপসারণের দাবি জানায় তারা। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। সোমবার থেকে সুতা তৈরির কাজ বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করায় মিলটি দুইদিন ধরে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
×