ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে রেলের বাসা নিয়ে কেলেঙ্কারি

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৩ আগস্ট ২০১৬

চট্টগ্রামে রেলের বাসা নিয়ে কেলেঙ্কারি

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ রেলের বাসা নিয়ে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে জিএম (পূর্ব) এর বাজেট দফতরের কম্পিউটার অপারেটর সুজন করের পরিবার। প্রভাব খাটানোর কারণে গত তিন মাসেও সুজন করের বিরুদ্ধে জিএম দফতর থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার দফতরের অডিটর বিজয় চন্দ্র করের বাসাটিতে সুজন কর অবৈধভাবে বাস করছে। কিন্তু কেন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এদিকে সুজন করকে বিজয় করের বাসা থেকে উচ্ছেদ না করার কারণে সৃষ্টি প্রশ্নের হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, জিএম দফতরে কর্মরত সুজন কর তার বরাদ্দকৃত বাসাটির বরাদ্দ বাতিল করে অডিটর বিজয় করের বাসাটি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবারও পাঁয়তারা শুরু করেছেন। তবে এর আগে বিজয় করের বাসাটি সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে প্রতারণা করে বরাদ্দ নেয়ার পাঁয়তারা করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও জিএম দফতর থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে এর নেপথ্যে কাজ করছে সুযোগ সন্ধানী নেতাকর্মীদের একটি চক্র। অথচ ই এ্যান্ড ডি বিধি অনুযায়ী সিআরবি’র অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা (সার্বিক) স্বাক্ষরিত গত ২৫ এপ্রিল বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্টে সুজন করের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছেনা অশুভ প্রভাবে। রেকর্ড অনুযায়ী সুজন করের বাসা (নং ৫/২-ও, পলোগ্রাউন্ড কলোনি) ও বিজয় করের বাসা (নং-ডিএসআর-১/বি, পলোগ্রাউন্ড) বসবাস করায় এফএএ্যান্ডসিএও/পূর্ব কর্তৃক বরাদ্দ আদেশ বহাল এবং অতিরিক্ত জিএম কর্তৃক জারিকৃত আদেশ বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তিন মাস আগে। কিন্তু কার কথা কে শোনে আবার লিখিত আদেশও দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকর্তাদের কারণে কার্যকর হচ্ছে না। এদিকে প্রতারণার আশ্রয় নিতে গিয়ে সুজন কর গত ১৮ এপ্রিল তার বরাদ্দপ্রাপ্ত বাসা (নং ৫/২-ও, পলোগ্রাউন্ড কলোনি) এসএসএই/ কার্য/ কলোনি/ চট্টগ্রামের কাছে হস্তান্তরে কাগজে কলমে চিঠি চালাচালি করলেও ওই বাসাটি সুজন করের আয়ত্তে রয়ে গেছে। এদিকে পাহাড়তলী রেল কারখানার ডিসপেন্সারিতে কর্মরত রবিন্দ্র চন্দ্র কর লিখিত চুক্তিনামায় রেল কর্মচারী সাইফুলের কাছে (ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনির বাসা নং-এম/৫৮১/এ) ভাড়া দেয়ার ঘটনায় চিঠি লেখালেখি শুরু হয়েছে আরও ৪ মাস আগে। তবে মেডিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তারা বাসাটির বরাদ্দ বাতিলের কোন সিদ্ধান্ত না নেয়ায় অর্থ বাণিজ্যের বিষয়টি উঠে এসেছে। অথচ রবিন্দ্র চন্দ্র কোয়ার্টারটি বরাদ্দ পাওয়ার দিন থেকেই দীর্ঘ প্রায় দশ বছর অবৈধভাবে ভাড়া বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। এই বাসাটি দীর্ঘ প্রায় ৪৬ বছর সাইফুলের দাদা ও বাবার নামে বরাদ্দ ছিল। প্রশ্ন উঠেছে, যেহেতু রবিন্দ্র চন্দ্রের বাসাটি প্রয়োজন নেই তথা ভাড়া বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন তাহলে ঐ বাসাটি সাইফুলের নামে বরাদ্দ হতে প্রতিবন্ধকতা কোথায়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে রবিন্দ্র চন্দ্র, সাইফুল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার ঘটনায় রেল কর্মকর্তারা আদৌ কোন পদক্ষেপ নেননি। এদিকে রেলের আইন বিভাগ থাকা সত্ত্বেও পাহড়তলী থানার মাধ্যমে পুলিশী হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাইফুল ও তার পরিবার। এদিকে পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ও বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা (পাহাড়তলী) বরাদ্দ গ্রহীতা কর্মচারীর বিরুদ্ধে এখনও কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এই দুই কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার পরিচয় মিলেছে।
×