ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুস্তাফিজুর রহমান সিঙ্গাপুরে নয়া হাইকমিশনার নিযুক্ত

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৩ আগস্ট ২০১৬

মুস্তাফিজুর রহমান সিঙ্গাপুরে নয়া হাইকমিশনার নিযুক্ত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ মুস্তাফিজুর রহমানকে সিঙ্গাপুরে নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার । তিনি বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিয়োগের তথ্য জানানো হয়। প্রতিবাদ গত ৩০ জুলাই ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘গো. আজমের ভাগ্নের দাপটে গণপূর্ত ভবন ছেড়েছেন জাইকা কর্মকর্তারা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা গণপূর্ত জোন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি তার প্রতিবাদলিপিতে বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ ও অত্যন্ত স্পর্শকাতর শিরোনামে আমাকে জড়িয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মনগড়া ও বাস্তবতা বিবর্জিত। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করায় আমি গভীরভাবে ব্যথিত, আশাহত ও বিস্মিত হয়েছি। কারণ উক্ত প্রতিবেদনে আমাকে ঘিরে যেসব বক্তব্য লেখা হয়েছে তার প্রতিটি বাক্য ও শব্দ সর্বৈব মিথ্যা ও অবাস্তব। আমি মনে করি, বিশেষ উদ্দেশ্যে গণপূর্ত অধিদফতরের একটি প্রতিক্রিয়াশীল ও স্বার্থান্বেষী চক্রের প্ররোচনায় ষড়যন্ত্রমূলক এ সংবাদ প্রকাশ করে আমার ব্যক্তিগত ইমেজসহ পেশাগত, পারিবারিক ও সামাজিক মান-মর্যাদা ক্ষুণœ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কাজেই আমি উপরোল্লেখিত মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও অবাস্তব সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিগত ইমেজ ক্ষুণœ করা এবং আমাকে পেশাগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। সংবাদে লেখা হয়েছেÑ ‘গো. আযমের ভাগ্নে’ এবং দ্বিতীয়ত ‘গণপূর্ত ভবন ছেড়েছেন জাইকা কর্মকর্তারা’, যা সম্পূর্ণরূপে ভুয়া ও অসত্য। শিরোনামের একটি অংশে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী ‘গো. আযমের’ সঙ্গে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার আত্মীয়তা সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষায় সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, মহান ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গণহত্যা, লুণ্ঠন, অপহরণ ও পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম যুদ্ধাপরাধের প্রধান দোসর গোলাম আযম এবং তার পরিবারের কোন সদস্যের সঙ্গে আমার পরিবারের কোন সদস্যের কখনও কোন প্রকার যোগাযোগ নেই। আত্মীয়তার কোন সম্পর্ক নেই। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমার পিতার চাচাত, মামাত, ফুফাত ও খালাত ভাইসহ চাচা-মামারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। আমার পরিবারের সঙ্গে গোলাম আযমের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। শিরোনামের দ্বিতীয় অংশে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, আমার দাপটে জাইকা কর্মকর্তারা গণপূর্ত ভবন ছাড়ছেন, যা একেবারেই মিথ্যাচার এবং অবাস্তব। জাপানী দাতা সংস্থা জাইকার সহায়তায় গণপূর্ত অধিদফতর একটি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে (সিএনসিআরপি)। প্রকল্পটি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। জাইকার সহায়তায় গণপূর্ত অধিদফতরে আরও একটি প্রকল্পের কাজ সহসা শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের এখনও পরামর্শক নিয়োগ হয়নি। বর্তমানে পূর্ত ভবনে জাইকার কোন কর্মকর্তা বা পরামর্শক কর্মরত নেই। এ বক্তব্যটিও ভিত্তিহীন।
×