বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সরকার ও প্রশাসনের পক্ষে জঙ্গীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। না হলে অভিযান চলবে। পাশাপাশি জঙ্গী দমনের যুদ্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করারও অনুরোধ জানান তিনি। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, একাত্তরে রাজাকাররা যেভাবে পরাজিত হয়েছিল, জঙ্গীরাও সেভাবে পরাজিত হবে। ইতিমধ্যে রাষ্ট্র, প্রশাসন ও জনগণের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে গেছে জঙ্গীরা। যারা জঙ্গীবাদে সম্পৃক্ত তাদের উদ্দেশে বলছি-আত্মসমর্পণ করুন, নইলে অভিযান চলবে। জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্র, প্রশাসন ও জনগণের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়েছেন। পালাবার পথ নেই। তাই আত্মসমর্পণ করুন।
জঙ্গী-সন্ত্রাসকে বৈশ্বিক উৎপাত উল্লেখ করে ইনু বলেন, জঙ্গীরা মানবতার শত্রু, ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মের শত্রু, বাংলাদেশের শত্রু। দেশের বিরুদ্ধে জঙ্গী-সন্ত্রাসীরা অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা সংবিধান মানে না, সংস্কৃতি মানে না, দেশীয় ঐতিহ্য মানে না। তাই জনগণ ও প্রশাসন আজ এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। জঙ্গীরা পরাজিত হবেই।
গত ১ জুলাই গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গী হামলায় ১৭ বিদেশীসহ নিহত হন ২২ জন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গীসহ ছয়জন।
ঝুঁকিতে শিশুরা
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে স্কুলপড়ুয়া একটি শিশু ক্লাস শেষে রেললাইনের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে মারবেল খেলায় মেতে উঠেছে। তার সঙ্গী স্কুলে যায় না। এখানে মনের ভুলে তারা যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। ছবিটি তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী।
তুরাগ তীরে সোলার প্যানেল
প্রচলিত বিদ্যুত ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সোলার প্যানেল আমদানি করছে সরকার। গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরেও সোলার প্যানেলের ব্যবহার বাড়ছে। তার একটি দৃশ্য চোখে পড়ে বিরুলিয়া তুরাগ নদির বেড়িবাঁধ আশুলিয়ায়। নদির তীরে কাজ করা শ্রমিকরা একটি সোলার প্যানেল টাঙ্গিয়ে রেখেছে। ছবিটি তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী।