ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধভাবে মাছ ধরলে এক বছরের বেশি কারাদণ্ড

দক্ষিণ চীন সাগর মামলার পর জলসীমা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ বেজিংয়ের

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৩ আগস্ট ২০১৬

দক্ষিণ চীন সাগর মামলার পর জলসীমা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ বেজিংয়ের

চীন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে, তাদের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ শিকার করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদ-সহ জরিমানা করা হবে। এই জলসীমার মধ্যে রয়েছে চীনের দাবি করা দক্ষিণ চীন সাগর। যদিও কয়েক সপ্তাহ আগে আন্তর্জাতিক আদালত রায় দিয়েছে যে, চীনের এ দাবির কোন আইনগত ভিত্তি নেই। খবর এএফপির। চীনের সুপ্রীম কোর্ট এই বিতর্কিত এলাকা ও তার সংলগ্ন অর্থনৈতিক জোনসহ দেশটির জলসীমায় মাছ ধরলে জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে। দেশটির এমন পদক্ষেপের ফলে ওই অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে। অবৈধ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করাসহ জলসীমা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চীনা শাসন আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্তকে। এখন প্রশ্ন হলো, চীন ও ফিলিপিন্সের মধ্যে বিতর্কের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু দক্ষিণ চীন সাগরে কাদের মাছ ধরার অধিকার আছে। নেদারল্যান্ডসের দি হেগে অবস্থিত সালিসি আদালতে (পারমানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন) দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের মালিকানা দাবি করার বিরুদ্ধে করা মামলায় জয়ী হয়েছে ফিলিপিন্স। চীনের নতুন এই নিয়মে বলা হয়েছে, চীনের জলসীমায় চীনা ও বিদেশী উভয় জেলে অবৈধভাবে মাছ ধরলে দ- দেয়া হবে। এই জলসীমার মধ্যে রয়েছে দেশটির ‘বিশেষ অর্থনৈতিক জোন’ বা ইইজেড। এটি চীনের চারপাশের ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। স্প্র্যাটালি দ্বীপপুঞ্জ ইইজেডের অন্তর্ভুক্ত, চীনের এমন দাবি জাতিসংঘ সমর্থিত ওই আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই দ্বীপপুঞ্জে ফিলিপিন্সের মাছ ধরার জাহাজকে নিয়মিতই বিতাড়িত করে চীনা কোস্টগার্ড। এদিকে চীন ওই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ওই আদালতের বিচারের কোন অধিকার নেই। জাপান ও ভিয়েতনামসহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চীনের জলসীমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। চীন ও উত্তর কোরিয়া নিয়ে জাপানের উদ্বেগ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ও আসন্ন হুমকি বলে অভিহিত করে জাপান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়া সামরিক বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক কর্মকা-কে বিপজ্জনক বলে সমালোচনাও করেছে জাপান। প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার জাপানের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে এবং জাপান যাতে বিদেশে বৃহত্তর সামরিক ভূমিকা পালন করে, প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সরকারের চাপের প্রেক্ষিতে এমন অনুমোদন দেয়া হয়। এবারের ৪৮৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রত্যেক দেশের জন্য আগের চেয়ে আরও বেশি পাতা বরাদ্দ করা হয়েছে।
×