ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গা চেয়ারে গুপ্তধন

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩ আগস্ট ২০১৬

ভাঙ্গা চেয়ারে গুপ্তধন

বছর দশেক আগে রঙচটা, ভাঙ্গাচোরা একটা পুরনো চেয়ার কিনেছিলেন এক দম্পতি। নিলামে মাত্র ৫ পাউন্ডে স্কটল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের এই দম্পতি চেয়ারটি কেনেন। ওই সময় তারা ভাঙ্গাচোরা চেয়ারটির মেরামত করতে পারেননি। তাই এটিকে চিলেকোঠায় রেখে দিয়েছিলেন। এ্যাঞ্জেলা মিলনার ব্রাউন এবং তার স্বামী আনগাস তখন ভাবতেই পারেননি যে এটির ভেতরে থাকতে পারে গুপ্তধন। এ্যাঞ্জেলা পেশায় প্রুফ রিডার। তিনিই জানিয়েছেন, চেয়ারটির আসনের ভেতরে গুপ্তধন পাওয়ার কথা। এক ব্রিটিশ সংবাদপত্রকে তিনি বলেন পুরনো ওই চেয়ারের আসনের মধ্যে লুকানো ছিল বহু গয়নাগাঁটি। চেয়ারটি মেরামত করতে গিয়ে তার স্বামী আনগাসই ওই গুপ্তধনের সন্ধান পান। এ্যাঞ্জেলা কিন্তু প্রথমে কিছুই জানতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, ছয় বছর চিলেকোঠার ভাঙ্গা আসবাবের মধ্যেই ঠাঁই হয়েছিল চেয়ারটির। এরপর সারানোর পরিকল্পনা হয়। নতুন চেহারায় চেয়ারটি খুবই সুন্দর লাগছে। কিন্তু এর আসনের মধ্যে যে কিছু থাকতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও আমরা টের পাইনি। এ্যাঞ্জেলা বলেছেন, কয়েক বছর আগে বিবাহবার্ষিকীতে হীরের আংটি উপহার দিয়ে তাকে চমকে দিয়েছিলেন আনগাস। এরপর ভ্যালেন্টাইন্স ডেতেও হীরের কানের দুল উপহার দেন আনগাস। ইস্টারে ফের হীরের গয়না। পর পর এত দামী উপহার পেয়ে বিস্ময়ের সীমা ছিল না এ্যাঞ্জেলের। স্বামীর কাছে জানতে চান, কোথা থেকে তিনি ওইসব দামী গয়না কেনার অর্থ পাচ্ছেন। কিন্তু প্রথমে তো কিছুই বলতে চাইছিলেন না আনগাস। এ্যাঞ্জেলা বলেছেন, আমার স্বামী আনগাস খুবই রোমান্টিক। আমাকে সারপ্রাইজ দিতে গুপ্তধন প্রাপ্তির কথা গোপন করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত আনগাস স্ত্রীকে সব কথা জানান। এ্যাঞ্জেলা জানিয়েছেন, চেয়ারটি মেরামত করতে গিয়ে ওই গয়নাগাঁটি খুঁজে পান আনগাস। সারানোর আগে চেয়ারের গদি খুলছিলেন আনগাস। এটির তিন থেকে চারটি স্তর ছিল। একেবারে শেষস্তরে লুকানো ছিল এসব গয়না। সম্ভবত চেয়ারটির প্রথম মালিক এগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন। ওয়েবসাইট অবলম্বনে।
×