ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পদের বিপরীতে আয় বেড়েছে ব্যাংকগুলোর

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ৩ আগস্ট ২০১৬

সম্পদের বিপরীতে আয় বেড়েছে ব্যাংকগুলোর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট-২০১৫ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এ প্রতিবেদন অনুযায়ী সম্পদের বিপরীতে আয় বেড়েছে ব্যাংকগুলোর। যার প্রভাবে শেয়ারহোল্ডাররাও পেয়েছেন বেশি মুনাফা। দেশী-বিদেশী ৫৬ ব্যাংকের তথ্য ব্যবহার করে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০১৫ সালের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে তথ্যগুলো চূড়ান্ত নয়, সাময়িক। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় ঋণ পুনর্গঠন ও বিশেষ ছাড়ে ঋণ পুনঃতফসিলের ফলে আগের বছরের তুলনায় ২০১৫ সালে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমেছে। ফলে ২০১৫ সালে ব্যাংকগুলোর সম্পদ থেকে আয় (রিটার্ন অন এ্যাসেট) ও মূলধন থেকে শেয়ারহোল্ডারদের আয় (রিটার্ন অন ইক্যুইটি) দুটিই বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে নিট মুনাফার পরিমাণও। তবে এ সময়ে খেলাপি ঋণের মধ্যে মন্দ/ক্ষতিজনক ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে উদ্বেগজনকভাবে। তথ্যমতে, ২০১৫ সালে ব্যাংকগুলোর সম্পদের বিপরীতে আয় বেড়েছে। ২০১৫ সালে ব্যাংকগুলোর সম্পদের বিপরীতে আয় হয়েছে দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে যা ছিল দশমিক ৭ শতাংশ ও ২০১৩ সালে দশমিক ৯ শতাংশ। এ সময়ে শেয়ারহোল্ডাররাও বেশি মুনাফা পেয়েছেন। ২০১৫ সালে মূলধনের বিপরীতে আয় হয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৪ সালে যা ছিল ৮ দশমিক ১ শতাংশ ও ২০১৩ সালে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৫ সালে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমে হয় বিতরণকৃত ঋণের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে যা ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ ও ২০১৩ সালে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে ২০১৫ সালে ব্যাংকগুলোতে মন্দ বা ক্ষতিজনক ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ২০১৩ সালে খেলাপি ঋণের মধ্যে মন্দ বা ক্ষতিজনক ঋণ ছিল ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয় ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণকে নিম্নমান, সন্দেহজনক ও মন্দ বা ক্ষতিজনক এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ২০১৫ সালে ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনমতো সঞ্চিতিও সংরক্ষণ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। এ সময় ব্যাংকগুলো ৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা সঞ্চিতি সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৩ সালে ব্যাংকগুলো নিট মুনাফা করেছিল ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা, ২০১৪ সালে নিট মুনাফা হয় ৬ হাজার কোটি টাকা ও ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয় ৭ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক খাতে ঋণ গেছে ১ লাখ ২১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কৃষি খাতের ২৮ হাজার ২১ কোটির মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৪ হাজার ৬ কোটি টাকা। পোশাক খাতের ৭৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকার মধ্যে ৬ হাজার ১০৩ কোটি টাকা খেলাপি।
×