স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোপাস্বপ্ন নিয়ে এবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে এসেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আসরে নিদারুণ ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখে থ্রি লায়ন্সরা। শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নেয় ফুটবলের জনকরা। দলের এমন ব্যর্থতার জন্য কোচ রয় হডসনকে দায়ী করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়েন রুনি।
ইউরোতে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে সোমবার সাক্ষাতকারে রুনি বলেন, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেই আমাদের মনোবল ভেঙ্গে দিয়েছেন হডসন। তাই পরের রাউন্ডে ভাল খেলতে না পারায়, টুর্নামেন্টে থেকেই বিদায় নিতে হয় আমাদের। ইউরোতে ‘বি’ গ্রুপে খেলে ইংল্যান্ড। রাশিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে টুর্নামেন্ট শুরু করে তারা। এরপর ওয়েলসকে ২-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের স্বাদ নেয় ইংলিশরা। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সেøাভাকিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে গ্রুপ রার্নাসআপ হয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পায়। কিন্তু শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হয় ইংল্যান্ডকে। আইসল্যান্ডের কাছে অবিশ্বাস্যভাবে হেরে যায় হডসনের দল। এরপর কোচ পদ থেকে সরে দাঁড়ান হডসন। এ প্রসঙ্গে এতদিন মুখ না খুললেও এবার ঠিকই কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন রুনি। তিনি বলেন, ইউরোতে ইংল্যান্ডের খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য হডসন দায়ী। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ছয় খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেছিল সে। দলের অর্ধেক অংশকেই বিশ্রামে রেখেছিলেন। ওই ম্যাচ ড্র করে আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি। ম্যাচটি জিততে পারলে আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের রাউন্ডে খেলতাম। তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাসও বেশি থাকত। সেøাভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রুনি। ম্যাচের শুরু থেকেই খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন কোচের কাছে। কিন্তু রুনির কথা আমলে না নিয়ে নিজের মত পরিকল্পনা করেন হডসন। এ প্রসঙ্গে রুনি বলেন, আমি যখন সেøাভাকিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামি, তখন ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়া কঠিন ছিল। তারপরও আমার চেষ্টা ছিল। তবে ম্যাচটির শুরু থেকে আমরা সবাই খেলতে পারলে ইতিবাচক ফল নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতাম। এতে শেষ ষোলোর ম্যাচের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস টগবগে থাকত। হডসন পদত্যাগ করায় ইংল্যান্ড দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন স্যাম এ্যালারডাইচ। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, ইংল্যান্ডের অধিনায়কের পদে পরিবর্তন আনতে পারেন নতুন কোচ। এ প্রসঙ্গে রুনি বলেন, ২০১৮ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে খেলব। এরপর আমি সিদ্বান্ত নেব আর কতদিন ইংলিশদের হয়ে খেলা চালিয়ে যাব। তবে পরবর্তী দু’বছর অধিনায়ক বা অধিনায়ক হিসেবে নয়, আমি চাইলেই দলের হয়ে খেলব। তবে এসব নিয়ে কোচের সঙ্গে কথা বলব। দল নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা সাজাব। ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব পেয়ে বেশ খুশি এ্যালারডাইচ। আশা করছি দলের সাফল্য বয়ে আনবেন তিনি।