ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন লক্ষ্যের কথা জানালেন রুবেল

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২ আগস্ট ২০১৬

নতুন লক্ষ্যের কথা জানালেন রুবেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। ইনজুরিতে পড়ার আগে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য পেসার ছিলেন রুবেল হোসেন। এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, গত বছর জুনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ খেলেছেন। এবার অবশ্য ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (ডিপিএল) দিয়ে ফিরেছেন ক্রিকেটে। কিন্তু আপাতত আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন করছেন রুবেল। যখন ছিলেন না তখন তরুণ মুস্তাফিজুর রহমান ও আলআমিন হোসেন দলকে দারুণ সার্ভিস দিয়েছেন। তাই এখন দলে জায়গা করে নেয়াটা বেশ কঠিন রুবেলের জন্য। কিন্তু মুস্তাফিজ কিংবা আর কারও সঙ্গে তুলনায় যেতে চান না, বরং ফিরতে চান দলে। সেজন্য যাতে নির্বাচকরা পছন্দ করেন সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন রুবেল। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তিনি জানিয়েছেন আপাতত ফিটনেসে উন্নতিই মূল লক্ষ্য। আর নতুন একটি ডেলিভারি নিয়ে বেশ কঠোর পরিশ্রম করছেন, চাইছেন ডেলিভারিতে নতুন কিছু আনতে। এরপর ভারতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে সফর করতে গিয়ে ইনজুরি ছোবল হানে রুবেলকে। সে কারণে দলের অনেক সফলতার সময়ই থাকতে পারেননি। যদিও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ার কারণে পরে আবারও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকতে হয়েছে। তাই জাতীয় দলে ফেরা হয়নি, টি২০ এশিয়া কাপ কিংবা টি২০ বিশ্বকাপ কোনটাই খেলা হয়নি রুবেলের। এর মধ্যে দলকে দারুণ সার্ভিস দিয়েছেন তরুণ মুস্তাফিজ ও আলআমিন। কিন্তু সেই মুস্তাফিজ এখন ইনজুরিতে, কাঁধে অস্ত্রোপচার করাতেই হবে। অন্তত ৫ মাস থাকবেন ক্রিকেটের বাইরে। এ বিষয়ে রুবেল বলেন, ‘মুস্তাফিজের সঙ্গে তুলনা করার কিছু নেই। ও অন্যরকম বোলার। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো বিশ্বে মুস্তাফিজ নিজেকে প্রমাণ করেছে। আমি মনেপ্রাণে চাই, খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ দলে ফিরে আসুক। বাংলাদেশ দলের জন্য তাকে প্রয়োজন। ও যখন দলে খেলে তখন প্রতিপক্ষ দলের জন্য খুব চাপ হয়। আমরা সবাই চাই, মুস্তাফিজ ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে আসুক। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য এই ক্যাম্পে নিজের ফিটনেসের উন্নতি করা। নির্বাচকরা পছন্দ করলে হয় তো সামনের টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাব।’ পুরোপুরি ফিট হয়ে সর্বশেষ এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেন রুবেল। তবে শুরুতে পুরো ছন্দে বোলিং করতে না পারলেও সবমিলিয়ে ১৫ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সফলতম বোলার তিনি। এ বিষয়ে রুবেল বলেন, ‘আমি অনেক কিছু মিস করেছি। এই ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছি, এই ক্যাম্পের মাধ্যমে চেষ্টা করছি আমার ফিটনেসটা আরও বাড়িয়ে নিতে। আমার মূল শক্তি হচ্ছে জোরে বোলিং করতে পারি। ইয়র্কার আমার মূল শক্তির জায়গা। মূলত আমি আমার বোলিংয়ে পেস বাড়ানোর জন্য অনেক কঠোর পরিশ্রম করছি। আগের গতিতে ফিরে আসতে অনেক চেষ্টা করছি। আমার কাছে মনে হয়নি আমার গতি খুব একটা কমেছে।’ অবশ্য নতুন একটি ডেলিভারির কথা প্রিমিয়ার লীগ চলার সময়েই বলেছিলেন রুবেল। তবে আপাতত জাতীয় দলের বোলিং কোচ না থাকাটাকে তেমন সুবিধাজনক বিষয় মনে করছেন না তিনি। এ দুটি বিষয় নিয়ে রুবেল বলেন, ‘ওটা (নতুন ডেলিভারি) আমার জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়। কিছুদিন পরে স্কিল অনুশীলন শুরু হবে। তখন সেখানে আরও কাজ করার সুযোগ পাব। এটা হচ্ছে আঙ্গুলের মাঝখানে বল রেখে ডেলিভারি দিতে হয়। বল ছাড়ার পর ক্রিজে পড়েই কিছুটা সেøা হয়ে যাবে। খুব ভাল ডেলিভারি, সফলভাবে দেয়া গেলে নিশ্চিত সাফল্য পাওয়া সম্ভব। সাইড আর্ম এ্যাকশন তো, এটা একটু কঠিন। আমি চাচ্ছি অতিরিক্ত কিছু যোগ করতে। বোলিংয়ে ভেরিয়েশন আনা গেলে আরও ভাল হয়। জাতীয় দলের বোলাররা নেটে যখন বোলিং করে তখন আমি এটা নিয়ে কাজ করি। অবশ্যই এক্ষেত্রে কোচের ভূমিকা অনেক। আমাদের জন্য বোলিং কোচ খুবই প্রয়োজন। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। বিভিন্ন কোচের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। তারপরও নতুন নতুন অনেক কিছু শেখার থাকে।’
×