ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেষ সুযোগ রাশিয়ার ক্রীড়াবিদদের

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২ আগস্ট ২০১৬

শেষ সুযোগ রাশিয়ার ক্রীড়াবিদদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জ্বলজ্বলে মশালটা রিও ডি জেনিরোর ঐতিহাসিক শহর প্যারাটিতে পৌঁছে গেছে গত বুধবার। এবারের মর্যাদার অলিম্পিক এই রিও ডি জেনিরোতেই অনুষ্ঠিত হবে। আর মাত্র ৩ দিন। তবে সেই মশালের দীপ্তিটা রাশিয়ার ক্রীড়াবিদদের উদ্দীপ্ত করতে পারছে না। কারণ তাদের অন্তরে জ্বলছে হতাশা আর ক্ষোভের আগুন। সব ক্রীড়াবিদ অংশ নিতে পারছেন না এবারের অলিম্পিকে। কারণ, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ক্রীড়াবিদদের ব্যাপক হারে নিষিদ্ধ ড্রাগ গ্রহণের প্রমাণ পাওয়ার পর ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড এ্যাথলেটরা ইতোমধ্যেই হয়েছেন নিষিদ্ধ। এছাড়াও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) রাশিয়ার ক্রীড়াবিদদের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি ন্যস্ত করেছে স্ব-স্ব ক্রীড়ার আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলোর ওপর। অনেকেই নিষিদ্ধ হয়েছেন আসন্ন অলিম্পিকে। তবে হাল ছাড়েননি তারা। মামলা করেছেন নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে। সেই ফলাফলটা জানা যাবে আজ। ক্রীড়া সালিশ নিষ্পত্তি-আদালতের (সিএএস) আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ট্রাইব্যুনাল সোমবার রাতেই এ বিষয়ে রায় দেবে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ফেডারেশন ইতোমধ্যে ১১৭ রাশিয়ান ক্রীড়াবিদকে নিষিদ্ধ করেছে। আইওসির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থমাস বাখ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিশ্ব ক্রীড়ায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের বড় একটি পদক্ষেপ হিসেবে মর্যাদার অলিম্পিককে কলুষমুক্ত করার কঠোর সিদ্ধান্তও ছিল। এই পদক্ষেপে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়া। রিও অলিম্পিক থেকে আগেই ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড এ্যাথলেটরা নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে ৬৮ এ্যাথলেট ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপীল করেছিলেন ক্রীড়া সালিশ-নিষ্পত্তি আদালতে (সিএএস)। সেটাও খারিজ করে সিএএস বহাল রাখে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও রাশিয়ার ভারত্তোলন দল পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়েছে, ৭ সাঁতারু নিষিদ্ধ হয়েছেন এবং অন্যান্য ক্রীড়া থেকেও বেশ কিছু তারকা ক্রীড়াবিদের ওপর নেমে এসেছে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। রাশিয়া ৩৮৭ সদস্যের যে দল ঘোষণা করেছিল এর মধ্যে ১১৭ জন ইতোমধ্যে রিও অলিম্পিক থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। রাশিয়াকে পুরোপুরি এবার রিও অলিম্পিক থেকে নিষিদ্ধের জোর দাবি উঠেছিল। কিন্তু আইওসি ক্রীড়ার মান, মর্যাদা ও ভাবমূর্তি অটুট রাখতে সেটা করেনি। দায়িত্ব দিয়েছে প্রতি ক্রীড়ার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলোকে নিজেদের অধীনে থাকা রাশিয়ান ক্রীড়াবিদদের সার্বিক বিষয়াদি বিবেচনা করে রিও অলিম্পিকে ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার। সেভাবেই কাজ করেছে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো। তাই বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা এসেছে। রাশিয়া গত অলিম্পিকেও (লন্ডন ২০১২) দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে শেষ করেছিল।
×