ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পায়রা বন্দরের পণ্য খালাস স্থগিত

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২ আগস্ট ২০১৬

পায়রা বন্দরের পণ্য খালাস স্থগিত

মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া ॥ পায়রা সমুদ্র বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কার্যক্রম সোমবারও স্থগিত করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে মাদার ভ্যসেল এফবি ফরচুন বাণিজ্যিক জাহাজ সোমবার বিকেল পৌনে চারটায় বহির্নোঙ্গরে পৌঁছেছে। কিন্তু সমুদ্র ভয়াল উত্তাল থাকায় লাইটার জাহাজ মাদার ভ্যাসেলের কাছে যেতে পারছে না। ফলে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি ফরচুন বার্ড থেকে পণ্য খালাসের জন্য দু’টি লাইটার জাহাজ এফবি পেয়ারা-০৬ ও বাংলার সৈনিক-৫ পায়রা বন্দর টার্মিনাল ঘাট থেকে ছেড়ে গিয়েও সাগর থেকে ফেরত এসেছে। সোমবার বিকেল পৌনে তিনটায় এ জাহাজ দুটি পণ্য খালাশের জন্য পায়রা বন্দর ছেড়ে বহির্নোঙ্গরে যায়। ৫৩ হাজার টন পণ্য নিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজটি বিকেল নাগাদ রামনাবাদ চ্যানেলের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছেছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার পণ্য খালাসের সকল প্রস্তুতি নেয়ার পরেও সাগর ভয়াল উত্তাল থাকায় পণ্য খালাস কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পণ্য খালাসের এজেন্ট খুলনা ট্রেডার্সের সুপারভাইজার মিজানুর রহমান জানান, আপাতত সাগর উত্তাল থাকায় পণ্য খালাস স্থগিত করা হয়েছে। সমুদ্র শান্ত হলে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ২০১৩ সালের ১৯ নবেম্বর। এ অঞ্চলের মানুষের কাছে ওই দিনটি হয়ে আছে ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ হিসেবে। যা ছিল মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। এর বাস্তব প্রতিফলন এখন দেখছেন তারা। ফলে অজানা, অচেনা এ জনপদ এখন হয়ে আছে কর্মমুখর। ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলবে অন্তত টানা ১৫ বছর। হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকা-ে মানুষ সারা বছর থাকবে সম্পৃক্ত। ২০১৮ সালে পুরোদমে চালু হবে এ বন্দরটির কার্যক্রম। উল্লেখ্য, টিয়াখালীতে ১৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে পায়রা বন্দর প্রকল্প এলাকার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৩ সালের ৩ নবেম্বর, মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পায়রা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩ পাস হয়। এ আইনের আওতায় রামনাবাদ পাড়ের মধ্যবর্তী টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়াতে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। আজ সোমবার বহির্নোঙ্গরে নদীপথে পণ্য খালাসের মধ্য দিয়ে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল।
×