ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে বিল্লাল হত্যা মামলায় তিন সহোদরসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২ আগস্ট ২০১৬

শেরপুরে বিল্লাল হত্যা মামলায় তিন সহোদরসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১ আগস্ট ॥ শেরপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র বিল্লাল হোসেন হত্যা মামলায় ৩ সহোদরসহ ৪ ব্যক্তিকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। ১ আগস্ট সোমবার বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হচ্ছে ঝিনাইগাতী উপজেলার কোনাগাও গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের তিন পুত্র আবু জাফর সুরুজ (৫৫), মনিরুজ্জামান হান্নান ওরফে মেন্দা (৩২), দুদু মিয়া (৪৫) ও আবু জাফর সুরুজের পুত্র আল আমিন (২০)। এরা সবাই ঘটনার পর থেকেই পলাতক। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার হাজির থাকা ৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৩ মে রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার কোনাগাও গ্রামের গৃহকর্তা নুর ইসলামের স্কুলপড়ুয়া পুত্র বিল্লাল হোসেন (১৬) ঘুমন্ত অবস্থায় বসতবাড়ি থেকে অপহৃত হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ৮ মে পার্শ্ববর্তী জনৈক রব্বানীর বসতবাড়ির স্যানেটারি ল্যাট্রিনে পাওয়া যায় অপহৃত বিল্লালের লাশ। ওই ঘটনায় বিল্লালের বাবা নুর ইসলাম বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩১ আগস্ট নুর ইসলামের আত্মীয় আবু জাফর সুরুজসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে মাহবুবে সোবাহানী নামে এক আসামি মৃত্যুবরণ করায় অন্য ৯ জনের বিরুদ্ধে চলে সাক্ষ্যগ্রহণ। বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, ডাক্তার ও ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দঃবিঃ ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় আবু জাফর সুরুজসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- ও ৫ হাজার টাকা করে অর্থদ- দেয়া হয়। এছাড়া আমিনুল ইসলাম রাজু, আনোয়ারা বেগম, আবু সালেহ চান, শামছুন্নাহার ও রব্বানীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলাটি রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু ও আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন পরিচালনা করেন।
×