ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৫ জেলায় মেরিন ইনস্টিটিউট স্থাপনে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব একনেকে উঠছে আজ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২ আগস্ট ২০১৬

৫ জেলায় মেরিন ইনস্টিটিউট স্থাপনে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব একনেকে উঠছে আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাঁচ জেলায় মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উঠছে। এছাড়া নতুন চারটি ও দুটি সংশোধিত প্রকল্পসহ মোট সাতটি প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য একনেকে তোলা হবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন প্রকল্পগুলো জামালপুর ও শেরপুর জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ এবং বৃক্ষরোপণ ও মহিলা কারারক্ষীদের জন্য আবাসন নির্মাণ। সংশোধিত প্রকল্পের অন্য দুটি হলো ঢাকা মহানগরীতে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছয়টি মহাবিদ্যালয় স্থাপন এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন। এর মধ্যে মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট স্থাপন সংক্রান্ত প্রকল্পে তৃতীয়বারের মতো সংশোধনী আসছে। সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলায় ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপনে ২০১০ সালে এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এসব ইনস্টিটিউটে বেকার যুবক ও যুব-মহিলাকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করে নদী ও সমুদ্রগামী জলযানসমূহে সরবরাহের পাশাপাশি কর্মোপযোগী জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল এর উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি ২০১৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এ সময়ও শেষ না হওয়ায় এখন দেড় বছর বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হচ্ছে। করা হচ্ছে। প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ছাত্রীদের আবাসনের জন্য নতুন মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা জরুরী, তাই সংশোধিত প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রাক্কলন অনুসারে নতুন ভবন নির্মাণ ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটগুলোতে পিডিবির পরিবর্তে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যুত সরবরাহ গ্রহণ করায় নিরাপত্তা জামানত বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি, যানবাহন ও আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ ব্যয় প্রাক্কলন করে ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব কারণে ব্যয় বেড়েছে। সূত্র জানায়, একনেকে অনুমোদনের সময় প্রকল্পের মূল ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৯২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। পরবর্তীতে প্রকল্প ব্যয় দুই দফা বাড়িয়ে ২১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে তৃতীয় দফায় ২৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হচ্ছে ২৪৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে প্রকল্প সারসংক্ষেপে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য আবদুল মান্নান জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের মেরিন টেকনোলজি ও জাহাজ নির্মাণ বিষয়ে যুগোপযোগী কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব হবে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বে বিদ্যমান শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করবে।
×