ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দৌলতপুরে জঙ্গীবিরোধী সমাবেশে অংশ নেয়া শিক্ষকদের ওপর হামলা ॥ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২ আগস্ট ২০১৬

দৌলতপুরে জঙ্গীবিরোধী সমাবেশে অংশ নেয়া শিক্ষকদের ওপর হামলা ॥ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, ১ আগস্ট ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজে জঙ্গীবিরোধী সমাবেশ শেষে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছে কতিপয় শিক্ষক। এ সময় হামলাকারীরা অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে। সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে হামলা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বেলা ১১টায় দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজে জঙ্গীবিরোধী মানববন্ধন, মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কলেজ গেটে মানববন্ধন শেষে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষর্থী জঙ্গীবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশ করে। সমাবেশে কলেজের অধ্যক্ষ আমানুল হক, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অমরেন্দ্র নাথ, সরকার আমিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে কর্মসূচীতে অংশ নেয়া সকল শিক্ষক অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। এ সময় মানববন্ধন, মিছিল ও সমাবেশে অংশ না নেয়া কলেজের প্রদর্শক জহুরুল আলমের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক অধ্যক্ষের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অধ্যক্ষের ওপর চড়াও হন এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেন জঙ্গীবিরোধী সমাবেশ করা হলো তা জানতে চান। কলেজের অধ্যক্ষ উপজেলা পরিষদ চত্বরে জঙ্গীবিরোধী সমাবেশের ব্যাখ্যা দিতে গেলে জহুরুল আলম অধ্যক্ষের ওপর চড়াও হন এবং তাকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করেন। জহুরুল আলমের গালমন্দের প্রতিবাদ করায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক সরকার আমিরুল ইসলাম ও প্রভাষক শরিফুল ইসলামকেও লাঞ্ছিত করা হয়। অধ্যক্ষসহ কলেজের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কলেজের সকল শিক্ষক ক্ষুব্ধ হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। বিষয়টি দৌলতপুর থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলকারী জহুরুল আলম গা-ঢাকা দেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজর অধ্যক্ষ আমানুল হক জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী জঙ্গীবিরোধী মানববন্ধন, মিছিল ও সমাবেশ শেষে নিজ কার্যালয়ে এলে কলেজের ভূগোল বিষয়ের প্রদর্শক জহুরুল আলম তার কার্যালয়ে উত্তেজিত অবস্থায় হাজির হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেন জঙ্গীবিরোধী সমাবেশ করা হলো তা জানতে চান। এ সময় তিনি আমাকেসহ কর্মসূচীর সমন্বয়কারী সরকার আমিরুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলামকে গালমন্দ করেন এবং আমাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। সেই সঙ্গে জহুরুল আলম শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেন। জঙ্গীবিরোধী সমাবেশ শেষে শিক্ষকদের ওপর হামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, দৌলতপুর কলেজে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জঙ্গীবিরোধী সমাবেশে হামলা ও শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
×