ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানবন্দরে জঙ্গী সন্দেহে এক ছাত্র আটক

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২ আগস্ট ২০১৬

বিমানবন্দরে জঙ্গী সন্দেহে এক ছাত্র আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় জঙ্গী সন্দেহে মাহবুব ইকবাল ওরফে মুন্না নামে সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। রবিবার রাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। রাতেই তাকে সিলেট পাঠানো হয়। সোমবার তাকে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু শুনানি না হওয়ায় তাকে হাজতে যেতে হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আটক মাহবুব লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাবার নাম মৃত আবদুল বাছির। সিলেটের খাসদবীর বন্ধন আবাসিক এলাকার এফ-১ নম্বরে তাদের বাসা। গত ২০১১ সালে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণকালে আটক করেছিল পুলিশ। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি পান। সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। জানা যায়, এ নিয়ে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে লিডিং ইউনিভার্সিটির তিন ছাত্রকে গ্রেফতার করল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ২০১১ সালে মদন মোহন কলেজের সামনে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের হাতে আটক হয় মুন্না। এর পর তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়ে জেল থেকে ছাড়া পান। জুলাইয়ে ৪৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার চোরাচালান ও মাদক আটক স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযানে ৪৫ কোটি ৮৯ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়া মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৪ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৫৭ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিজিবি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) মুহম্মদ মোহসিন রেজা এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোহসিন রেজা জানান, চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৫ কোটি ৮৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৩,১৩,০০২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০,৯৮১ বোতল ফেনসিডিল, ১,৭৭৩ কেজি গাঁজা, ১৬,৭৭২ বোতল বিদেশী মদ, ৩ কেজি ৬৫৩ গ্রাম হেরোইন, ৪,৩০০ পিস বিভিন্ন প্রকারের উত্তেজক ট্যাবলেট, ১,৬৩৯টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ১৬,৯০,৫৮৭ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট। এছাড়া আটককৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৭,৩৫৬টি শাড়ি, ১,৩৮৫টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৮৩,৪৮২ মিটার থান কাপড়, ৫,২৯৯ সিএফটি কাঠ এবং ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি।
×