স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বনানীতে ট্রেনের ধাক্কায় এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। খিলগাঁওয়ে ঝিলের পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরায় এক কিশোরী গৃহকর্মী নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে বনানীতে ট্রেনের ধাক্কায় সেলিম (২০) মিয়া নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। নিহতের বাবার নাম আব্দুল সালাম। গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায়। ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, ঘটনাস্থলে পাশাপাশি দুটি লাইন চলে গেছে। মাঝের অংশটুকু ফাঁকা। সোমবার সকাল ৭টার দিকে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেলিম মিয়া। এ সময় আকস্মিকভাবে দুটি লাইন দিয়েই একই সময়ে ট্রেন চলে আসে। মাঝে পড়ে যান সেলিম মিয়া। মারাত্মকভাবে আঘাত পান মাথায়। পরে দ্রুত সেলিম মিয়াকে উদ্ধার করে সম্মিলিত সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু ॥ রাজধানীর খিলগাঁও ইমামবাগ বিলের পানিতে ডুবে জীবন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ওই বিলের পানি থেকে তাকে ভাসমাণ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
খিলগাঁও থানার ওসি কাজী মঈনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জীবন খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা। সে মাদকাসক্ত ছিল। তিনি জানান, সোমবার সকালে বা ভোরে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জীবনের মরদেহ উদ্ধার করে।
গৃহকর্মীর আত্মহত্যার চেষ্টা ॥ রাজধানীর উত্তরায় রতœা আক্তার (১৫) নামে এক গৃহকর্মী নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের ১১ নম্বরের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত রতœার বাবা গাড়িচালক নজরুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায়। রতœার নানি রহিমা বেগম জানান, তার বাবা-মা গাজীপুরে থাকেন। রতœা ৩ মাস আগে থেকে মিরপুর থানার আনসার অফিসার শামছুদ্দোহার উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ওই বাসায় ঝিয়ের কাজ করে আসছিল।
তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে সে বাথরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙ্গে তাকে মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ পার্থ শংকর পাল জানান, রতœার শরীরের শ্বাসনালীসহ ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধ রতœা জানায়, অন্যায় করলে বাড়ির মালিক বকাঝকা করত।