ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মেন্ডিজে মুগ্ধ ম্যাথুস

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১ আগস্ট ২০১৬

মেন্ডিজে মুগ্ধ ম্যাথুস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থেকেও পাল্লেকেলে টেস্টে ১০৬ রানের দারুণ জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। যেটিকে বলা হচ্ছে, ইতিহাস ফেরানো জয়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর অসিদের বিপক্ষে লঙ্কানদের হাসি, প্রতিপক্ষ সেই অস্ট্রেলিয়া যারা বর্তমানে র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে। চমৎকার বোলিং করেছেন অভিজ্ঞ রঙ্গনা হেরাথ ও অভিষিক্ত লক্ষণ সানদাকান। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় কুশল মেন্ডিজের ওই ১৭৬। টেস্টে অনেক অনেক সেঞ্চুরি ইনিংস রয়েছে, কিন্তু এটি যে শ্রীলঙ্কাকে ২৬৮ রানের লিড এনে দেয়। শেষ পর্যন্ত ইতিহাস ফেরানো জয়ে ‘নায়ক’ তো মেন্ডিজই। তরুণ এই ব্যাটসম্যানে মুগ্ধ সেনাপতি এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। মেন্ডিজ কি কঠিন সময়ে এই ইনিংসটা খেলেছে। নইলে আমরা ২শ’র বেশি লিড পেতাম না। আমার মতে এটিই শ্রীলঙ্কান মৌসুমের সেরা ব্যাটিং। ও অসাধারণ খেলেছে।’ ঘরের মাটিতে পাকিস্তান ও ভারতের কাছে নাস্তানবুদ হওয়ার পর ইংল্যান্ড সফরেও ব্যর্থ শ্রীলঙ্কা। সময়টা তাদের জন্য কতটা কঠিন সেটি উল্লেখ করে ম্যাথুস আরও বলেন, ‘একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটারে অবসরে গত কয়েকটা মাস আমাদের জন্য ছিল খুবই কঠিন। এই জয় অনেক বড় অর্জন। তারও পর প্রতিপক্ষ যখন র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল।’ ৮৬ রানে পিছিয়ে থেকে শুরুর পর এভাবে ম্যাচ জয়ের অনন্দ অন্যরকম। প্রথম ইনিংসে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টিসহ মোট ৯ উইকেট নিয়ে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন হেরাথ। ‘উইকেটের সুবিধা কাজেল লগিয়ে হেরাথ দারুণ বোলিং করেছে। প্রমাণ করেছে অভিজ্ঞতা ও পারফর্মেন্সের বিচারে সে এখানও অনন্য। ম্যাচে আমাদের বড় প্রাপ্তি তরুণ সানদাকান, ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও কুশল মেন্ডিসের নৈপুণ্য।’ বলেন ম্যাথুস। সানদাকানের বোলিংও আলোচিত। প্রথম ইনিংসে ৫৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনিÑ টেস্টের ১৪০ বছরের ইতিহাসে অভিষেকে কোন লেগস্পিনারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটিই! দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৩টি। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ২০৩ ও ১৬১ রানে। অতপর সাফল্য। ১৯৮৩ থেকে এ পর্যন্ত ২৭ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লঙ্কানদের এটি মাত্র দ্বিতীয় জয়। আগের একমাত্র জয়টি ছিল সেই ১৯৯৯ সালে ক্যান্ডিতে, সনাথ জয়সুরিয়ার নেতৃত্বে। বিপরীতে মাইকেল ক্লার্কের কাছ থেকে নেতৃত্ব পাওয়ার পর প্রথম হারের স্বাদ পেলেন স্টিভেন স্মিথ। প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় শরীয়তপুর জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ উদ্বোধন করা হয়। শরীয়তপুর জেলা স্টেডিয়ামে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মাহমুদুল হোসাইন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি সাইফুল্লাহ আল মামুন। ফুটবল লীগের উদ্বোধন করেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলী। অবসরেই থাকছেন লিওনেল মেসি? স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লিওনেল মেসিকে ফেরাতে কত প্রচেষ্টাই না করে চলেছে আর্জেন্টাইনরা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। তারকা এই ফুটবলার জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার পর এ বিষয়ে আর কিছুই বলেননি। সম্প্রতি মেসির পরিবার জানিয়েছে, সে নাকি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে। কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে হারের পর চরম হতাশা থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিয়েছেন মেসি। সে সময় অনেকেই বলেছিলেন, আবেগের বশে নেয়া এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। কিন্তু এই সম্ভাবনা নাকি আর নেই। মেসির পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এখন তিনি (মেসি) আর জাতীয় দলের অংশ নন।’ আগামী সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ খেলতে হবে আর্জেন্টিনাকে। তার আগেই মেসিকে ফিরে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আছে দেশটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেসি না খেললে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়া কঠিন হবে আর্জেন্টিনার জন্য। হ্যালেপের মধুর প্রতিশোধ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে সিমোনা হ্যালেপের মুখোমুখি হয়েছিলেন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। সেই ম্যাচে কারবারের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। শনিবার রজার্স কাপের সেমিফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই তারকা। মন্ট্রিয়েলের এই টুর্নামেন্টে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছেন সিমোনা হ্যালেপ। রোমানিয়ান টেনিস তারকা এদিন ৬-০, ৩-৬ এবং ৬-২ সেটে হারান জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবারকে। সেই সঙ্গে উইম্বলডনে পরাজয়ের প্রতিশোধটাও নিয়ে নিলেন দারুণভাবে। রজার্স কাপের ফাইনালে পঞ্চম বাছাই হ্যালেপের প্রতিপক্ষ এখন মেডিসন কেইস। আমেরিকান টেনিসের এই প্রতিভাবান তারকা শেষ চারে সেøাভাকিয়ার ক্রিস্টিনা কুকোভাকে হারিয়ে রজার্স কাপের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন। কারবার-হ্যালেপ দুজনই দুজনের পরিচিত। তাই সেমিফাইনালের লড়াইটা সহজ হবে না তা জানাই ছিল তাদের। কারবারকে হারিয়ে সিমোনা হ্যালেপ স্বীকারও করেছেন তা। এ বিষয়ে ম্যাচের শেষে তিনি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই জানতাম যে, তার বিপক্ষে কঠিন লড়াই হবে। তার বিপক্ষে যখনই খেলেছি সেই ম্যাচটাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।’
×