ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফেরার পথটা কঠিন ॥ বিজয়

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১ আগস্ট ২০১৬

ফেরার পথটা কঠিন ॥ বিজয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছর নবেম্বরে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন এনামুল হক বিজয়। টি২০ খেলে ছিলেন জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে। আর ওয়ানডে দলে নেই গত বছর মার্চ থেকে এবং টেস্ট দলেও সুযোগ হয়নি ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর। এর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছে। ধারাবাহিক সাফল্য পেতে থাকা দলে সুযোগ করে নেয়াটা কঠিন ছিল ছিটকে পড়া বিজয়ের। সফল এ দলটিতে আবার জায়গা করে নেয়াটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের। ফেরার পথটা বেশ কঠিন সেটা ভালভাবেই বুঝতে পারছেন। তবে সুযোগ পেলে দারুণ কিছু করার বিশ্বাস আছে বিজয়ের। একটা সুযোগেরই অপেক্ষায় আছেন জানিয়ে বিজয় দাবি করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্যরে ক্রিকেটের চেয়ে লঙ্গার ভার্সন কিংবা টেস্ট বেশি পছন্দনীয় তার। রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এসব কথা বলেন তিনি। অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজের জন্য ৩০ সদেস্যর প্রাথমিক দল নিয়ে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। ক্যাম্পে আছেন বিজয়ও। দীর্ঘদিন তিনি দলের বাইরে। মাঝে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে টি২০ ম্যাচে দলে ফিরলেও ভাল কিছু করতে পারেননি। তাই আবার ছিটকে গেছেন। আর বাংলাদেশ দলও বর্তমানে দারুণ শক্তিধর হয়ে উঠেছে। পারফর্মারও বেড়েছে। তাই কঠিন সময় পার করতে হয়েছে বিজয়কে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমার জন্য কঠিন সময় গেছে। এখন জাতীয় দলে প্রতিযোগিতা বেশি টপ অর্ডারে। সবাই পারফর্ম করছে এটা অনেক ভাল বিষয়। আমি যখন ছিলাম না তখন জাতীয় দল অনেক ভাল খেলেছে। অবশ্যই প্রতিযোগিতা বেশি ছিল। চেষ্টা করেছি প্রিমিয়ার লীগে ভাল খেলার। যদি সুযোগ আসে অবশ্যই ভাল কিছু করব। তবে পথটা অনেক কঠিন।’ ইংল্যান্ড দল আসলে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে বা টি২০ ক্রিকেটের চেয়ে টেস্ট খেলতেই বেশি ভাল লাগে বলে জানিয়েছেন বিজয়। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। অবশ্যই ওরা যদি আসে আমরা আমাদের শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করব। আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী। প্রথম থেকেই আমি বলেছি আমার চারদিনের ম্যাচ কিংবা টেস্ট ম্যাচ খেলতে ভাল লাগে। হয় তো আমি সফল নই। কিন্তু আমি এখানে আস্থাশীল থাকি, আমি লঙ্গার ভার্সন পছন্দ করি। আসলে সব ফরমেটে একজন ক্রিকেটারের প্রস্তুত থাকা জরুরী। আমার কাছে মনে হয় আমি তিন ফরমেটের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ চলমান জাতীয় দলের ক্যাম্পে আপাতত ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। বিজয় মনে করেন ফিটনেস ভাল থাকলে মানসিক শক্তি বাড়ে। নিজে ব্যক্তিগতভাবে ব্যাটিং কৌশল নিয়ে বাড়িতে এবং মাঠে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে বিজয় বলেন, ‘আসলে আমি কঠোর পরিশ্রম করছি। এটা এমন না যে আজকে কঠোর পরিশ্রম করছি, কাল সফল হব। কিন্তু কাল সুযোগ আসবে এরপর পরশু ভাল খেলব, এ রকম দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করছি। যদি কখনও সুযোগ আসে এবং উন্নতি করে দেখাতে পারি অবশ্যই আমার জায়গায় ফিরে আসবে। আমি দেশের হয়ে খেলতে চাই। দেশের পতাকা হাতে নিয়ে মাঠে নামতে চাই। কখনই আমার নিজের জন্য চিন্তা ছিল না। সব সময় চিন্তা থাকে দেশের জন্য খেলব। অবশ্যই এটা ঠিক না। কারণ আমি নিজের জন্য খেলি না। গুজবে অনেক সময় অনেকে অনেক কথা বলে। যে কথাটা উঠেছে সেটা যদি আবারও ওঠে আমি চেষ্টা করব নামিয়ে দেয়ার জন্য।’ শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই নয়, ভাল একজন উইকেটরক্ষকও হতে চান বিজয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমেই আমি উইকেট কিপার ছিলাম। অনুর্ধ ১৭, ১৯ ও জাতীয় দলে ঢুকার সময়ও কিন্তু উইকেট কিপিং সবসময় প্রাধান্য ছিল। মাত্র চার টেস্ট খেলেছি। টেস্ট ক্রিকেটেও আমি কিপিং করতে চাই। লং টাইম কিপিং করতে চাই। বেস্ট কিপারের একজন হতে চাই। আসলে বার বার সুযোগের কথাটাই আসছে। যদি সুযোগ না আসে তাহলে প্রমাণ করার কিছু নেই। বিসিএল, প্রিমিয়ার লীগে তো কিপিং করছি। সুযোগ আসলে শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করব। যদি দশ নম্বরেও খেলতে হয় সেটাও হবে। আমি সুযোগের অপেক্ষায় আছি।’
×