ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সবুজ অর্থনীতির বিকল্প নেই ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১ আগস্ট ২০১৬

পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সবুজ অর্থনীতির  বিকল্প নেই ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী জোরদার করার মাধ্যমে দেশের সবুজ উন্নয়ন নিশ্চিত করে পরিবেশগত সুরক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতি হিসেবে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সবার। মনে রাখতে হবে, গ্রীন হাউস গ্যাস ইফেক্টের কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষায় টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সবুজ অর্থনীতি গড়ার কোন বিকল্প নেই। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন, দূষণমুক্ত, পরিবেশবান্ধব সবুজ অর্থনীতি গড়তে হলে আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণকে মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে। বৃক্ষ নিধন, জলাভূমি ভরাট, পাহাড় কাটা, নদী দূষণ ও কৃষি জমিতে রাসায়নিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধসহ পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী জোরদার করার মাধ্যমে দেশের সবুজ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে, পরিবেশগত সুরক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশগত প্রভাব ভালভাবে নিরূপণ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। রবিবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০১৬’ এবং ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৬’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকার হাজারীবাগ থেকে যাতে না সরতে হয় সেজন্য ট্যানারি মালিকরা নানা ‘ছল চাতুরী’ করছেন মন্তব্য করে চামড়া ব্যবসায়ীদের অযথা দেরি না করে দ্রুত ট্যানারি সরানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাভারের হরিণধরা এলাকায় আমরা ট্যানারি শিল্প তৈরি করে দিয়েছি। সেখানে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ট্যানারি মালিকরা অযথা দেরি করছেন। তাদের বারবার বলা সত্ত্বেও নানা ছলছুতা নিয়ে কেন দেরি করছে আমরা জানি না। তবে এটা করা ঠিক না। তারা (মালিকরা) দ্রুত ট্যানারি স্থানান্তর করলে এ জায়গাটা (হাজারীবাগ) পরিবেশ আবার ফিরে পাবে। বন্যাদুর্গত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিককালে বন্যা শুরু হয়েছে। বন্যাটা এই সময়ে আমাদের দেশে স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। তবে মাঝে মাঝে বন্যা খুব বড় আকারে আসে। তিনি বন্যার ক্ষতির পাশাপাশি এর উপকারি দিক হিসেবে ভূগর্ভের পানির স্তর যে নিচে নেমে যায় তা রিচার্জ হয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি পলিবাহিত ব-দ্বীপ অঞ্চল। এখানে বন্যা আমাদের ভূমিও পুনর্গঠন করে। কিন্তু বন্যার ফলে মানুষের যে ক্ষতি সেই ক্ষতিটা যাতে না হয় তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ আমাদের নেয়া প্রয়োজন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নদীগুলো ড্রেজিং, পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নদীর প্রবাহ সচল রাখাসহ নানা কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। উদ্বোধনী বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন চত্বরে একটি তেঁতুল গাছের চারা রোপণ করেন এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলা ২০১৬’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং মেলা ঘুরে দেখেন। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ রইছউল আলম ম-ল, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ ইউনুছ আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজার্ভেশন-২০১৬, জাতীয় পরিবেশ এওয়ার্ড ২০১৬ এবং বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৫ বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন ও সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের চেক প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর নদী-নালা ও খাল-বিল রয়েছে। বাংলাদেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। এই দেশের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। নদী দূষণের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার যেমন আছে, আছে বর্জ্য আর জলযানও। এসব থেকে নদী ব্যাপকভাবে দূষণ হয়ে থাকে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বনভূমি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ম্যানগ্রোভ বন তৈরি করতে হবে। নারকেল বাগান তৈরি করতে হবে। যার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। ফলদ, বনজ ও ভেষজ- এই তিন ধরনের গাছ লাগানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশাকরি দেশের সব মানুষই বৃক্ষরোপণের প্রতি মনোযোগী হবেন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পরমুখাপেক্ষী না থেকে নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয় সেগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, তাঁর সরকার নিজস্ব তহবিল হতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গঠিত ট্রাস্টে ইতোমধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় এ পর্যন্ত ৪৩৪টি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে গ্রীন ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০১৫ সালে ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তিতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। একইসঙ্গে রান্নায় জৈব জ্বালানি ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সারাদেশে বন্ধুচুলা ব্যবহার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার পরিবেশ উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীকে ‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে তা ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশ অধিদফতরে মনিটরিং এ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের দূষণমুক্ত উন্নত প্রযুক্তির ইটভাঁটি প্রচলনের কার্যক্রম গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মীমাংসার ফলে বঙ্গোপসাগরে প্রাপ্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষার কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। তিনি দেশকে সবুজে সবুজে ভরে তোলা এবং সবুজ অর্থনীতি নির্ভর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে শিল্পাঞ্চল থাকবে, সেখানে জলাধারের ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে আবাসিক এলাকা তৈরি করা হবে, সেখনেও জালাধারের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যারা শিল্পাঞ্চল-আবাসিক এলাকা তৈরি করবেন, তাদেরই জলাধার তৈরি করতে হবে। কেননা পারিবেশ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিটি এলাকায় জলাধার রাখা প্রয়োজন। তাছাড়া আগুন লাগলে পানি পাব কোথায়? এজন্য আমাদের স্বার্থেই প্রতিটি এলাকা ও স্থাপনার পাশে জলাধার রাখতে হবে। আর ছাদে যে বৃষ্টির পানি পড়ে সেটা যাতে এই জলাধারে গিয়ে পড়ে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে নজরদারি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তাদের অব্যাহত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের চাপ প্রয়োগেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশগত প্রভাব ভালভাবে নিরূপণ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। আওয়ামী লীগ তার সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগকে সঙ্গে নিয়ে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি যখন দেখা দিয়েছে তখন আমরা বসে থাকিনি। নানামুখী কাজ করে যাচ্ছি। যেখানে আমাদের বনভূমি ৯ শতাংশ ছিল, সেটা এখন ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি তৈরি করা। আর সেখানে যাবার জন্য আমাদের কতগুলি পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপকভাবে বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূল ও নদীর মোহনাগুলোয় নতুন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় বিদ্যুতকেন্দ্র অথবা শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে সেখানেই বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনি গড়ে তোলা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে জীববৈচিত্র্য আজ চ্যালেঞ্জের মুখে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হবে। যার মাধ্যম জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৬’ ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। আগামী সংসদ অধিবেশনে এটি পাস করা হবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০’ প্রণয়নের কাজ চলছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গাজীপুরে ৩৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল এভিয়ারি ও ইকোপার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এ বছর বন বিভাগ প্রায় ৩ কোটি চারা উত্তোলন করেছে। ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর সুরক্ষায় পদক্ষেপের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছি। নৌযান থেকে নদীতে তেল পড়েও ব্যাপক দূষণ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। আসুন সবুজ-শ্যামল এই বাংলার মাটি কাজে লাগাই। আর পরিবেশ সংরক্ষণ করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী এই বর্ষার মৌসুমে অন্তত একটি করে হলেও ফলদ, বনজ ও ভেষজ গাছের চারা রোপণে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্বে জলবায়ুজনিত ক্ষতি যখন দেখা দিয়েছে তখন আমরা কারও জন্য অপেক্ষা করি নাই। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন ফান্ড তৈরি করে এই পরিস্থিতি মোকাবেলার উদ্যোগ নেই। যাতে করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা যায়। তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি বলেই আজ বিশ্ব কূটনীতিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, পরিবেশ আন্দোলন দেশে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এ আন্দোলন দেশের আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে। দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। জঙ্গীবাদকে সারাবিশ্বের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, সকলে মিলে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। একই সঙ্গে এই পৃথিবীটা বসবাসযোগ্য করে তুলতে সকলকে সম্মিলিতভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব দেশ উপহার দেবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সকলে মিলে পরিবেশকে অযোগ্য করে ফেলেছি। তবে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে হতাশ না হয়ে, হতাশাকে জয় করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
×