ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুকের জন্য দুই গৃহবধূকে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১ আগস্ট ২০১৬

যৌতুকের জন্য দুই গৃহবধূকে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ৩১ জুলাই ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথক স্থানে যৌতুকের দাবিতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাশিদা বেগম ও নাসরিন আক্তার নামে দুই গৃহবধূকে নির্যাতন করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও ও দিঘুলিয়ারটেক এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। গৃহবধূ রাশিদা বেগম মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার আদর্শগ্রাম এলাকার মৃত কালা মিয়া আকনের মেয়ে ও নাসরিন আক্তার দিঘুলিয়ারটেক এলাকার তারা উদ্দিনের মেয়ে। গৃহবধূ রাশিদা বেগম জানান, ৯ বছর পূর্বে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও এলাকার মৃত গনি ওস্তাগারের ছেলে আমান উল্লাহর সঙ্গে রাশিদা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ইয়াছিন (৮) ও রাহিন (৫) নামে ছেলেসন্তান জন্ম নেয়। সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকেই তার ভাশুর জামান, স্ত্রী নাসিমা বেগম, ভাশুর মেয়ে আফরোজার কু-পরামর্শে স্বামী আমান উল্লাহ গৃহবধূ রাশিদা বেগমের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় তাকে জ্বালা-যন্ত্রণা ও মারধর করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। রবিবার সকালে স্বামীসহ অভিযুক্তরা তিন লাখ টাকা না পেয়ে রাশিদা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে। অপর গৃহবধূ নাসরিন আক্তার জানান, তিন বছর আগে দিঘুলিয়ারটেক এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সালাউদ্দিনের সঙ্গে নাসরিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়েতে স্বর্ণালঙ্কারসহ পাঁচ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেয়া হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে সামি নামে এক ছেলেসন্তান হয়। সন্তান হওয়ার পর পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে নাসরিন আক্তারের ওপর প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। রবিবার সকালে ফের যৌতুকের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্বামী সালাউদ্দিনসহ শ্বশুর রফিকুল ইসলাম, শাশুড়ি হালিমা বেগম, দেবর আলাউদ্দিন মিলে নাসরিন আক্তারকে পিটিয়ে আহত করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে।
×