ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবাধ চলাচল মেনে নেব না ॥ তেরেসা মে

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১ আগস্ট ২০১৬

অবাধ চলাচল মেনে  নেব না ॥  তেরেসা মে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দিয়ে ব্রিটিশরা অভিবাসন হ্রাস প্রয়োজন বলে স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে। তিনি ব্রাতিসøাভার সেøাভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও এরপর ওয়ারশোতে পোলিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঐ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার ভিত্তি তৈরি করতে ইউরোপীয় রাজধানীগুলো সফর করছিলেন। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের যুক্তরাজ্য লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইইউ ত্যাগ করার প্রক্রিয়া শুরু না করা পর্যন্ত ব্লকের নিয়ম অনুযায়ী ব্রেক্সিট (ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ) নিয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কথা বলতে পারে না। কিন্তু মে গত আট দিনে ছয় ইউরোপীয় নেতার সঙ্গে দেখা করেন। লোকজনের অবাধ চলাচলের ওপর বাধানিষেধ আরোপ করেও ইইউ’র অবশিষ্টাংশের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য বজায় রাখা সম্ভব কিনা তা যাচাই করাই এ সফরের উদ্দেশ্য। ব্রাতিসøাভায় ঐ অনুষ্ঠানে মে জানিয়ে দেন যে, ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের চুক্তিতে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ভোটারদের মতামত বিবেচনায় নিতে হবে। তবে সেøাভাকিয়ার নেতা রবার্ট ফিকো বলেন, ইইউ অভিবাসন সম্পর্কে ব্রিটিশ ভোটারদের ধারণা এ মহাদেশে অভিবাসন সম্পর্কে আমাদের ধারণা থেকে সামান্য পৃথক। মে ওয়ারশোতে ঐ বার্তা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, চলাচলের স্বাধীনতা অতীতের মতোই অব্যাহত থাকুক এটা চান না বলে ভোটাররা খুবই স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছেন। এর জবাবে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বিয়াতা সিদল বলেন, তার দেশ লোকজনের অবাধ চলাচলকেই অন্যতম মূল ইস্যু বলে দেখতে পায়। তিনি বলেন, চলাচলের স্বাধীনতা সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে যেকোন বন্দোবস্তই উভয় পক্ষের আলোচনায় সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে বলে মনে হয়। এটি সহজ হবে না। কিন্তু আমি মনে করি, অভ্যন্তরীণ বাজারের চার স্বাধীনতার অন্যতম এ ইস্যুটি রক্ষা করা ব্রিটেন ও ইইউ উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। মে তার এ অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন যে, যুক্তরাজ্যে পোলিশ ও সেøাভাকিয়ান শ্রমিকদের অধিকার অক্ষুণœ রাখা হবে, কেবল যদি পোল্যান্ড ও সেøাভাকিয়ায় যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা একই অধিকার ভোগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) প্রধান জেমস কোমি ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পরাজয়ের বিষয়টি পাশ্চাত্যের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। খবর সিএনএনের। কোমি আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেছেন, আইএস জঙ্গীরা ইরাক ও সিরিয়া থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সন্ত্রাসীরা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য এলাকাসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিধি বিস্তার লাভ করবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি ইউরোপে সাম্প্রতিক মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ব্রাসেলস ও প্যারিসের ঘটনায় আমরা আমাদের অন্ধকার ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি। এফবিআইর প্রধান এমন সময় সারাবিশ্বে আইএসের হামলার বিষয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন যখন পাশ্চাত্যের অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে ইউরোপের অনেক নাগরিক রয়েছে। তাদের মতে, ইরাক ও সিরিয়ায় বিপর্যয়ের পর তারা ওই এলাকা ত্যাগ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়ে অশান্তি ছড়াতে পারে। পাশ্চাত্যের কর্মকর্তারা কখনও এটা ভাবতেও পারেনি যে, তাদের সহায়তায় গড়ে ওঠা সন্ত্রাসীরা এক সময় পাশ্চাত্যের জন্যও হুমকি হয়ে দেখা দেবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদের যে ভয়াবহ বিস্তার লাভ করেছে তার বীজ পাশ্চাত্যের সরকারগুলোই বপন করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রও আইএসের হামলা থেকে নিরাপদ নয়।
×