ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সব্যসাচী দাস

ট্যাটুতে রাঙিয়ে হাত

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১ আগস্ট ২০১৬

ট্যাটুতে রাঙিয়ে  হাত

সময় মানুষকে যে কতকিছুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, মানুষ তা জানে না। অভিনব সব চিন্তা-চেতনা নিয়েই সময়ের পরিবর্তন ঘটে। অন্যভাবে বলতে গেলে, জীবনযাপনে শুরু থেকে শেষ অবধি প্রায় সব ক্ষেত্রেই আমাদের হতে হয় যুগোপযোগী। আমাদের জীবন ব্যবস্থায় অন্যসব অনুষঙ্গের সঙ্গে ফ্যাশন এখন মৌলিক চাহিদার গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। নতুন নতুন দিক যোগ হচ্ছে এর সঙ্গে। শরীরে ট্যাটুস অঙ্কন আধুনিক ফ্যাশনের নতুন অনুস্বর্গ। বহির্বিশ্বে এই ফ্যাশনের সূচনা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশেও এর বেশ জনপ্রিয় রয়েছে। বিশেষ করে প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা শরীরের বিভিন্ন অংশে ট্যাটুস এঁকে নিজেদের সৌন্দর্য বর্ধন করছে। তাদের আগ্রহের কারণে ট্যাটুস অঙ্কন এখন বাণিজ্যিকভাবে বিস্তৃতি লাভ করছে। আমাদের দেশেই এখন গড়ে উঠেছে ট্যাটুস অঙ্কনের একাধিক প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি এ বিষয়ে কথা হয়, ‘সাইদুর প-িত ট্যাটুস’- এর পরিচালক সাইদুরের সঙ্গে। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্লান শপিং মলে ১০০০ নং শপে তার প্রতিষ্ঠান। ট্যাটুস নিয়ে কাজ করছেন প্রায় ৮ বছর। শুরুর তুলনায় এখন বেশ জনপ্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা এবং সেলিব্রেটি মডেল প্রতিদিনই আসেন শরীরে ট্যাটুস আঁকাতে। ট্যাটুস অঙ্কনে চামড়ার কোন ক্ষতি হয় কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্কিনে সমস্যা তৈরি হওয়া নির্ভর করে ইঙ্ক বা কালির কোয়ালিটির ওপর। ভাল মানের ইঙ্ক ব্যবহারে চামড়ার ক্ষতির আশঙ্কা নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে তিনি বলেন ট্যাটুস অঙ্কনে আমরা ইন্ডিয়ান ও জাপানিজ ইঙ্ক ব্যবহার করি। এক্ষেত্রে সবাই বাইরের ইঙ্কই ব্যবহার করে। ট্যাটুস অঙ্কনের খরচ নির্ভর করে সাইজের ওপর। ৩ হাজার টাকা দিয়ে শুরু পর ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরে বয়সের নিচের ছেলেমেয়েদের চামড়ার ট্যাটুস অঙ্কন ঠিক নয় বা করা হয় না। কারণ ১৮ বছর পর্যন্ত চামড়ার ইঙ্ক ধারণের ক্ষমতা তৈরি হয় না। স্কিনে সমস্যা দেখা দেয়। আর যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের চামড়ায় ট্যাটুস অঙ্কন সম্ভব নয়। এই বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও ফ্যাশনের নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে শরীরে ট্যাটুস অঙ্কন এখন বেশ জনপ্রিয়। ছবি : বাধন মডেল : আফজাল ও রিনি ট্যাটু সাইদুর পন্ডিত
×