ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিনারে অভিমত

ইসলাম পছন্দ না করে ধর্মনিরপেক্ষতায় থাকলে অন্যরকম হতো

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১ আগস্ট ২০১৬

ইসলাম পছন্দ না করে ধর্মনিরপেক্ষতায়  থাকলে অন্যরকম হতো

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণমাধ্যম সাহসী ভূমিকা পালন না করলে জঙ্গীবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করত। তবে এ আত্মতুষ্টি নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে আরও সোচ্চার হতে হবে। উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর জঙ্গীবাদ নিয়ে গণমাধ্যমে কাজ করার নতুন ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কেন হঠাৎ পরিবর্তন আসে কিংবা অতি ধার্মিক হয়ে ওঠে তা নিয়েও হতে পারে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। সন্ত্রাসবাদের উৎস অনুসন্ধান করে একদিকে যেমন অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে হবে, অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদের মহাবিপদের মাত্রাও তুলে ধরতে হবে। রবিবার রাজধানীর মুক্তি ভবনের প্রগতি সেমিনারকক্ষে মুক্তিসংগ্রামের মুখপাত্র সাপ্তাহিক একতার ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রগতিশীল চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমই মনোজাগতিক চেতনাকে প্রসারিত করতে পারে। তাই গণমাধ্যমকে তার সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতাও উপলব্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, হতাশাগ্রস্ত ও সমাজ বিচ্ছিন্নরা উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। হতাশার উদ্ভব মূলত দু’দিক থেকে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের নিশ্চয়তা না থাকায় সে অর্থ থেকেও হতাশার সৃষ্টি হয়। আবার নুন-ভাতের গ্যারান্টি না থাকায়ও অনেকেই হতাশ। আরেকটি অংশের মধ্যে এমন চেতনা কাজ করে যে, এত টাকা দিয়ে কী করব? তখন তারা ভিন্নদিকে ধাবিত হয়। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদ একমাত্রিক সমস্যা নয়, এটি বহুমাত্রিক সমস্যা। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে এর চেতনা উৎসারিত হচ্ছে। ইসলাম পছন্দের প্রতিযোগিতা না করে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রতিযোগিতা হলে দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন রকম হতে পারত। প্রগতিশীল চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে একতার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে সিপিবি নেতা বলেন, কায়েমী স্বার্থে বারবার একতাকে আঘাত করা হয়েছে, বেশ কয়েকবার বন্ধও করে দেয়া হয়েছে। আবার এ নামেই আরেকটি পত্রিকা শুরু করতে চেয়েছিল একটি গোষ্ঠী। ঢাবির অর্থনীতির শিক্ষক অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা আমরা ঠিকমতো না বুঝলেও আইএস বা উগ্রবাদী সংগঠনগুলো তা বোঝে।
×