ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামায়াতকে নিয়ে সরকার রাজনৈতিক খেলা খেলে ॥ হান্নান শাহ

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ৩১ জুলাই ২০১৬

জামায়াতকে নিয়ে সরকার রাজনৈতিক খেলা খেলে ॥ হান্নান শাহ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ঐক্য গঠন প্রশ্নে সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিক কার্ড বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ। সরকার জামায়াত নিষিদ্ধ করছে না কেন? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জামায়াত কাদের প্রিয় আর কাদের অপ্রিয় তা জনগণ বোঝে। সরকার বলেছিল, জামায়াত নিষিদ্ধ হবে; কিন্তু নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। কারণ সরকারই জামায়াতকে নিয়ে রাজনৈতিক খেলা খেলে। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া পরিষদের ‘জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হান্নান শাহ বলেন, আওয়ামী লীগ যেহেতু ক্ষমতায় আছে, সেহেতু তাদেরই উচিত জাতীয় ঐক্য গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। জাতীয় কনভেনশনে তারা কোন কোন রাজনৈতিক দলকে ডাকবেন সেটা তাদের বিষয়। তিনি বলেন, সরকার যদি জাতীয় ঐক্য করতে না চায় তাহলে বিএনপি দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবে। তখন যদি সরকার বাধা দেয় তাহলে জনগণ মনে করবে সরকার নিজেই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত। অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে মামলায় আগে খালাস দেয়া হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশে আবার সে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে জামায়াত ছাড়ার কথা বলছে। কিন্তু সরকার জামায়াত নিষিদ্ধের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। তিনি বলেন, হাইকোর্টে মামলা হয়ে গেছে, জামায়াত নির্বাচন করতে পারবে না, প্রতীক পাবে না, তাদের নিবন্ধন বন্ধ হয়ে গেছে। তাই সরকারকে বলব, তাহলে এত চিন্তা করেন ক্যান? আপনারা মিটিং করে বলেছিলেন জুন মাসের মধ্যে জামায়াত বন্ধ করবেন, তাহলে করছেন না কেন? হান্নান শাহ বলেন, সরকার সব সময় উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপায়। কথায় কথায় বিএনপি-জামায়াতের কথা বলে। কাজটা করে উল্টো। আমি একটা চ্যালেঞ্জ দেই, গত ২০ বছরে কয়টা বিএনপি ঘরানার মানুষ আওয়ামী লীগের ঘরানার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। পক্ষান্তরে, আওয়ামী লীগ ঘরানার কতগুলো মানুষ জামায়াতের সঙ্গে আত্মীয়তা করেছেনÑ একটা হিসাব নেন। তাহলে দেখা যাবে এখন জামায়াতের প্রিয় কারা। তিনি আরও বলেন, শত শত উদাহরণ দেখাতে পারব, উন্নয়নের নামে এ দেশের সম্পদ কী করে লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় যান দেখবেন, এ দেশের কত মানুষ ঘোরাঘুরি করছে। ওদের ভূমি অফিসে যাবেন, দেখবেন তিন বছরে কত বাংলাদেশী সেকেন্ড হোম করেছে। আর তার মধ্যে বিএনপির কয়জন, আওয়ামী লীগের কয়জন। সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করছি, যান না ঘুরে আসেন, গিয়ে দেখে আসেন। জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেনÑ কল্যাণ পার্টির নেতা সাইদুর রহমান তামান্না, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
×